Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৮ অক্টােবর ২০২৪, ২৩ আশ্বিন ১৪৩১, ০৪ রবিউস সানী ১৪৪৬ হজিরী

স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ফের কঠোর লকডাউন

ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চলমান লকডাউন শিথিলের পর আগামী বৃহস্পতিবার গণপরিবহন চালু হলে জনসাধারণ যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলে, তাহলে আবার কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।

গতকাল আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির উদ্যোগে ‘খাদ্য ও সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণে’ ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এই হুঁশিয়ারি দেন।

কাদের বলেন, লকডাউনের পরে গণপরিবহন চলাচলের সুযোগ দেওয়া হলে সবাইকে স্বাস্ববিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে সরকার আবারও কঠোর লকডাউন দিতে বাধ্য হবে। শপিংমল, দোকান-পাট ও বাজারগুলোতে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান তিনি। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে সরকার ৫ থেকে ১১ এপ্রিল একগুচ্ছ বিধিনিষেধের আওতায় লকডাউন দেয়। এরপর এর মেয়াদ ১৩ এপ্রিল পর্যন্তবাড়ানো হয়। পরে বিধিনিষেধ আরো কঠোর করে ১৪ এপ্রিল থেকে জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়, যা সর্বাত্মক লকডাউন হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এই লকডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল করা হয়। এ সময় গণপরিবহনও বন্ধ রয়েছে। তবে এর মধ্যে গত শুক্রবার জীবন-জীবিকার কথা চিন্তা করে গতকাল রোববার থেকে দোকান ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ওইদিনই জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ২৮ এপ্রিলের পর থেকে লকডাউন শিথিল করার কথা বলেন। পরদিন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গণপরিবহন চালুর কথা জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও নগদ সাহায্য নিয়ে যারা অনিয়ম করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ভাসমান ও ছিন্নমূল মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা উচিত, এরাই সাহায্য পাওয়ার যোগ্য।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক জানান, কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় বরগুনায় দুই হাজার খাবার স্যালাইন ও ২০০ পুশ স্যালাইন এবং বরিশাল বিভাগের অন্যান্য জেলার জন্য মোট ৭ হাজার খাবার স্যালাইন ও ৫০০ পুশ স্যালাইন ছাত্রলীগের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে। করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে বিএনপির আবারও অপপ্রচারে নেমেছে অভিযোগ করে কাদের বলেন, প্রথম ডোজের মত দ্বিতীয় ডোজের টিকাও যথাসময়ে জনগণ গ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। যারা সংশয়বাদী তারা সব কিছুতেই অনিশ্চিয়তা খুঁজে বেড়ায়, ছড়িয়ে দেয় বিভ্রান্তি। এ বিভ্রান্তি ও অপপ্রচার বিএনপির নতুন কোনো রোগ নয়, তারা অনেক আগে থেকেই এ ভাইরাসে আক্রান্ত।

কাদের বলেন, লকডাউন নিয়ে বিএনপি মহাসচিব যতটুকু গবেষণা করেছেন, তা বন্ধ করে জনগণকে সচেতন করার জন্য দুয়েকটি বক্তব্য রাখলেও করোনার সংক্রমণ রোধে সামান্যতম হলেও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতো। বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি প্রথমে বলেছিল- লকডাউন চাই, পরে বলে লকডাউন সমাধান নয়, আবার বলছে লকডাউন পরিকল্পিত নয়। কিন্তু এখন বলছে লকডাউনের নামে নেতাকর্মীদের অত্যাচার করছে সরকার। ক্ষণে ক্ষণে অ্যামিবার মত অবয়ব পরিবর্তন ও ভিন্ন ভিন্ন কথা বলে বিভ্রান্তি তৈরি করা বিএনপির লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির চেয়ারম্যান একেএম রহমতুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী,দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক সামছুন্নাহার চাঁপা, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য আবদুল আউয়াল শামীম প্রমুখ।##

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভিডিও কনফারেন্সে ওবায়দুল কাদের


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ