পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংকটে দেশের জনসাধারণের প্রাণিজ আমিষ নিশ্চিতকরণে কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এ সময় জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভোক্তা পর্যায়ে দেশের ৬৪টি জেলায় ৭২০টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্রে ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকার প্রাণিজ আমিষ সরবরাহ করা হচ্ছে।গতকাল সোমবার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সারাদেশে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণন সংক্রান্ত কার্যক্রম নিয়মিত তদারকি ও বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দিচ্ছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়াও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন জেলায় সার্বক্ষণিক মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম মনিটরিং করছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত বিধি-নিষেধ চলাকালেও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণন অব্যাহত রাখতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দপ্তরে ও কর্মস্থলে সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় ও মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের উদ্যোগে হাঁস-মুরগি (লাইভ), গবাদিপশু, মাছের পোনা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, প্রাণিজাত পণ্য, মৎস্য ও পশু খাদ্যসহ এ ধরনের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত উপকরণ, কৃত্রিম প্রজনন এবং পশু চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধসহ সরঞ্জামাদি অবাধ উৎপাদন, পরিবহন ও সরবরাহ এবং বিপণন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা পরিস্থিতিতে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ন্যায্যমূল্যে মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্যের ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছেন। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের খামারিরা যেমন ন্যায্যমূল্যে উৎপাদিত পণ্য সহজে বিপণন করতে পারছেন, অন্যদিকে ভোক্তারা চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যেও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মাংস, দুধ, ডিম ও দুগ্ধজাত পণ্য সহজে ক্রয় করে তাদের প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন। করোনায় চলমান বিধি-নিষেধের মধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতের উৎপাদন, পরিবহন, সরবরাহ ও বিপণনজনিত উদ্ভূত সমস্যা সমাধান ও সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কার্যক্রম সমন্বয়ের জন্য মৎস্য অধিদপ্তরে একটি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে আরেকটি কন্ট্রোল রুম কাজ করেছে।
এ তথ্যানুযায়ী, গত ২ মে দেশের ৬৪টি জেলায় ৭২০টি ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র পরিচালনা করে ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৬৮ লিটার দুধ, ৮ লাখ ৪৮ হাজার ৮০১ পিস ডিম, ৫ হাজার ৯৩৪ কেজি গরুর মাংস, ১ হাজার ১৪০ কেজি খাসির মাংস, ৭৫ হাজার ৭২৬ কেজি মুরগি এবং ১৬১ মেট্রিক টন মাছ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য বিক্রয় করা হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।