রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া আগ্রাসী পদ্মায় আবারও অসময়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে রাতের আঁধারে বিলীন হচ্ছে ফসলি জমি, বসত বাড়ি, রাস্তাঘাট ও মসজিদ মাদরাসা। কোনভাবেই যেন ভাঙন থামছে না। উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাঙন রোধে ফেলা হয়েছিল জিওব্যাগ। এখন সে ব্যাগও গিলে খাচ্ছে রাক্ষুসী পদ্মা নদী।
সরেজমিনে উপজেলার দিঘিরপাড়ে দেখা যায়- মুলচর, শরিষাবন, হাইয়ারপাড়, কান্দারবাড়ি এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। এতে শত শত পরিবার দিশেহাড়া হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, এখন আমাদের রাতে ঘুম আসেনা পরিবার নিয়ে আতঙ্কে থাকি, কখন যে, পদ্মায় আমাগো ঘরবাড়ি গিলে খায়। আমাগোরে দেখার কেউ নাই। দিনদিন ভাঙন আরও বাড়তাছে। আমাগো ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কিছুদিন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু প্রশাসনের পাশাপাশি তার নিজ অর্থায়নে নদী ভাঙন রোধে জিওব্যাগ ফেলেছেন। তা আবার পদ্মায় গিলে খাচ্ছে। আমার জমিটুকু রক্ষা করতে না পারলে ছেলে পেলে নিয়ে না খাইয়া মরুম।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু জানান- দীর্ঘ মেয়াদী বেড়িবাঁধ নির্মাণ না করলে ভাঙন রোধ করা যাবেনা। বর্ষাকালে ভাঙনরোধে জিওব্যাগ ফেলা হয়েছে। কিন্তু সে ব্যাগগুলোও আবার বিলীন হয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন জানান, ভাঙন এলাকায় সরকারের পক্ষ থেকে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। নদী ভাঙন এলাকায় বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডে প্রস্তাব দেয়া আছে। প্রস্তাব পাশ হলে নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।