পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে উচ্চ আদালতের সকল বিভাগ খুলে দিলে করোনার সংক্রমণ ঝুঁকি আরো বাড়বে। গতকাল রোববার এ মন্তব্য করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকা জজ কোর্টে দেখলাম, হাজার হাজার লোক। সবার গায়ের সাথে গা লাগানো। আমার কাছে এ ভিডিও এখনো আছে। আমরা কী করব? আমরা যদি এখানেও ভার্চুয়ালি সব কোর্ট ওপেন করি। আমাদের এখানেও প্রতিদিন অন্তত ৩ হাজার লোকের সমাগম হবে। আমাদের কোর্টের ভেতরে জায়গা হয় না। মানুষ এসে ঈদগাহ মাঠে, কোর্টের বিভিন্ন জায়গায় বসে থাকে।
এ সময় আপিল বিভাগের বিচারপতি মোহাম্মদ ইমান আলী বলেন, গত শনিবার ইন্ডিয়ান সুপ্রিম কোর্টে করোনায় একদিনে তিনজন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড মারা গেছেন। পরে আইনজীবীদের উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি বলেন, আমরা এখন কী করব? আমরা তো চাই কোর্ট চলুক। মানুষের আরজেন্সি আছে। জরুরি বিষয়গুলো অবশ্যই শুনব। আপনারা ঢাকা কোর্টের ভিডিও দেখলে অবাক হয়ে যাবেন। সেদিন ঢাকা কোর্টে ৫০ হাজার লোক ছিল।
এ সময় সিনিয়র অ্যাডভোকেট এএফ হাসান আরিফ আদালতকে বলেন, যেগুলো আমরা কাগজে (পত্রিকায়) দেখি, বন্ধুদের কাছে শুনি, মার্কেটেও ভয়াবহ অবস্থা।
প্রধান বিচারপতি বলেন, আমি তো চাই সব কোর্ট ভার্চুয়ালি চলুক। বাসায় বসে কোর্ট পরিচালনা করুক। কিন্তু লোকজন যে চলে আসে। এফিডেভিট করতে আসবে, এটা করতে আসবে, সেটা করতে আসবে। আমাদের ল’ইয়ারদেরও তো সাংঘাতিক অসুবিধা। আমি তো ল’ইয়ার থেকেই এখানে এসেছি। পরে আদালত আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় থাকা মামলার ওপর শুনানি শুরু করেন।
চলমান লকডাউনের মাঝে সীমিত পরিসরে পরিচালিত হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারিক কার্যক্রম। তবে বিচারপ্রার্থী ও আইনজীবীদের আর্থিক সঙ্কটের কথা ভেবে আদালত সংখ্যা বাড়াতে বারবার আবেদন জানিয়ে আসছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সমিতি ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।