Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ধর্ষণের ভিডিও ধারণ মামলায় তিন বন্ধু গ্রেফতার

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

নীলফামারীর সৈয়দপুরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণের মামলায় ধর্ষকসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে ওই তিন বন্ধুকে পৃথক পৃথক স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ধর্ষণের ভিডিওটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরা হলেন সৈয়দপুর উপজেলার বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার আব্দুল মালেকের পুত্র মো. মুন্না (২৫), একই গ্রামের পাঠানপাড়ার শওকত আলীর পুত্র মো. আলাল (২৫) ও আমজাদের মোড়ের শহিদুল ইসলামের পুত্র তৌফিক ইসলাম তুহিন (২০)। তিনজনই পরস্পরের বন্ধু।

জানা যায়, সৈয়দপুরের বাঙালিপুর ইউনিয়নের লক্ষণপুর চড়কপাড়ার মাদরাসা ছাত্রী সাথী আকতারের (ছদ্মনাম) সাথে ২০১৮ সালে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে একই পাড়ার মো. মুন্নার। ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর পাঠানপাড়ার আলালের বাড়িতে দেখা করে মুন্না ও সাথী।

এ সময়ে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সাথীকে ধর্ষণ করে মুন্না। প্রেমিক কৌশলে ওই ধর্ষণের ঘটনাটি মোবাইলে ধারণ করে।
পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৪ জানুয়ারি সাথী আকতারের সাথে একই গ্রামের মশিউর রহমানের পুত্র আশিকুর রহমানের সাথে বিয়ে সুসম্পন্ন হয়। সুখের সংসারে বিপত্তি দেখা দেয় চলতি বছরের ১০ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে। সাথীর সাথে মুন্নার বন্ধু তুহিন দেখা করে জানায়, মুন্নার সাথে দৈহিক মেলামেশা একটি ভিডিও তার কাছে রয়েছে। ভিডিওটির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ১৪ এপ্রিল সাথী আকতার সৈয়দপুর প্লাজার ‘বার্গার কিং’ নামে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টে তুহিনের সাথে দেখা করতে গেলে তুহিন ২ মিনিট ৩০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও ক্লিপসটি দেখায় সাথীকে। পরে সেটি ডিলিট করার জন্য অনুরোধ জানালে তুহিন ২ লাখ টাকা অথবা দৈহিক মেলামেশা করার প্রস্তাব দেয় সাথী আকতারকে। এতে অসম্মতি জানিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যায় সাথী। গত ১ মে সকালে তুহিন মোবাইলে সাথীকে একই প্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হলে ভিডিওটি ইন্টারনেট ও ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি প্রদান করে। এ ঘটনায় ওইদিন বিকেলে সাথী আকতার বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে। সৈয়দপুর থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, গতকাল রোববার ভিকটিমকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য নীলফামারী আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। অপরদিকে গ্রেফতারকৃত আসামিদের আদালতে প্রেরণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ