রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় রাতের আঁধারে পাহাড়ের টিলা কাটার উৎসব চলছে। মাটি লুটেরারা টিলা কেটে উচ্চ মূল্যে এসব লাল মাটি বিক্রি করছে বিভিন্ন ইটভাটায়। দীর্ঘদিন ধরে অবাধে পাহাড়ের এই টিলা কাটা চললেও প্রশাসনিকভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছন।
জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে তরফপুর, বাঁশতৈল, ও আজগানা এই তিন ইউনিয়ন জুড়ে রয়েছে বিশাল বনভ‚মি। এই বনভ‚মিতে সরকারের বনাঞ্চল ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন স্থানে উঁচু লাল মাটির টিলা। মাটি লুটেরারা রাতের আঁধারে এই লাল মাটির টিলা কেটে কোটি কোটি টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছেন। তারা এসব মাটি ভেকু মেশিন দিয়ে কেটে ট্রাক দিয়ে বিভিন্ন ইটভাটায় উচ্চ মূল্যে বিক্রি করছে। মাটি লুটেরারা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় এলাকার লোকজন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। টিলা কেটে মাটি নেয়ায় একদিকে পাহাড় বিলীন হচ্ছে। অন্যদিকে, পরিবেশের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব পড়ছে। অধিক ওজনের ড্রামটাক ভর্তি মাটি বহন করায় স্থানীয় রাস্তা-ঘাটও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব মাটি লুটের মহোৎসব চললেও প্রশানিকভাবে তেমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তরফপুর ইউনিয়নের টাকিয়া কদমা ও দীঘলচালা, আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল, বাঁশতৈল ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থান থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে লাল মাটির টিলা কেটে নেয়া হয়েছে। দিন হওয়ায় একাধিক স্থানে ভেকু মেশিন ও সারি সারি ড্রাম ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। সন্ধ্যা শুরু হলেই এসব ভেকু মেশিন ও ড্রাম ট্রাক দিয়ে টিলা কাটা শুরু হবে। স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সন্ধ্যার পর ভেকু মেশিন ও ট্রাকের শব্দের নিরব পাহাড়ি এলাকা হয়ে সরব হয়ে ওঠে। ড্রাম ট্রাকের চাকায় পাকা রাস্তাগুলো ক্ষত বিক্ষত হয়ে পড়েছে। রাতভর পাহাড় কাটার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে তার জানিয়েছেন। বিগত কয়েক বছর ধরেই পাহাড়ি এলাকায় চলছে এই মাটি কাটার মহোৎসব। এতে একদিকে পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা বাড়ছে, অন্যদিকে রাস্তার ক্ষতি হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাঁশতৈল হোসেন মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রুকন, পাঁচগাওয়ের শহিদুল ইসলাম ও সৈয়পুরের সুজন মিয়া এই টিলা কেটে মাটি বিক্রি করছেন। টাকিয়া কদমা গ্রামের বাসিন্দা মো. জাকির হোসেন ও তরফপুর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ছিটমামুদপুর গ্রামের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাতের আঁধারে দীর্ঘদিন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী পাহাড়ি টিলা কেটে মাটি বিক্রি করে আসলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাদের মাটি কাটার কারণে এলাকার রাস্তাঘাট নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে পরিবেশ ও দূষণ হচ্ছে তারা জানান।
এ ব্যাপারে বাঁশতৈল রেঞ্জ অফিসের রেঞ্জ অফিসার মো. দেলুয়ার হোসেনের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, মাটিকাটার অপরাধে সম্প্রতি দুইটি ড্রাম ট্রাক আটক করে ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
মির্জাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, পাহাড় কেটে কেউ যদি পরিবেশের ক্ষতি করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।