Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভুমিদস্যুদের কবলে করতোয়ার পাড়

মহসিন রাজু : | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত করতোয়া নদী ভ‚মি দস্যূদের কবলে। দিনে-দুপুরে মাটি কেটে ভরাট করা হচ্ছে নদীর পাড়। শহরের শাহ ফতেহ আলী (রহ.) এর মাজার সংলগ চেলোপাড়া ব্রিজ থেকে উত্তরে পুরাতন ব্রিজ পর্যন্ত এলাকায় চলছে এরকম জবর-দখল।
অথচ নদী রক্ষার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের কারো কাছেই নেই দখলের কোনো তথ্য। বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড, বগুড়া সদরের এসিল্যান্ড, ভ‚মি অফিস, জেলা প্রশাসনের কেউই জানে না মরতে বসা করতোয়া নদীর দুঃখগাঁথা। সকলেরই উদাসীনতায় ঐতিহাসিক নদীটি শুকিয়ে নর্দমায় পরিণত হচ্ছে। তৈরি হয়েছে মানচিত্র থেকে মুছে যাওয়ার শঙ্কাও। হতাশ হয়ে স্থানীয় প্রায় সবার মন্তব্য তবে কি এভাবেই বিলুপ্তি ঘটবে নদীটির?
শত শত লোকের সামনে নদী ভরাটের ঘটনা ঘটলেও বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড ও জেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অফিসিয়ালি তারা এই বিষয়ে অবগত নন। এমনকি এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অফিস টাইমে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়।
দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বগুড়া পৌরসভার ১ নম্বর প্যানেল মেয়র পরিমল চন্দ্র দাস জানান, ওই জায়গায় একটি মন্দির রয়েছে। মন্দির সংলগ্ন জায়গার ভাঙন ৫/ ৬ ফুট জায়গা লেভেল করে নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে দখলবাজির কোনো ঘটনা ঘটছে না।
পাড় ভরাট করার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হয়েছে কি না জানতে চাইলে কাউন্সিলর পরিমল জানান, এই সামান্য ব্যাপারে জানানের প্রয়োজন বোধ করিনি। মাটি কাটার জান্য আনা ভেকু মেশিনটি ব্যাক্তি মালিকানার এবং ভাড়া নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
তবে বাস্তবে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কথার কোনো সত্যতা মেলেনি সরেজমিনে। স্থানীয় অনেকের অভিযোগ, ওখানে কোন মন্দির নেই, এমন কি কোনো দিনও ছিল না। ওটা রেলওয়ের পরিত্যাক্ত জায়গা। দীর্ঘদিন ধরে ছিল পতিত। ১/১১ এর সময় তৎকালীন সরকারের কনসেপ্ট অনুযায়ী সেখানে চাষি বাজার গড়ে তোলা হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে ওখানে মাছের পাইকারি আড়ত বসছে। ফলে জায়গাটি ভ্যালু অনেকগুণ বেড়েছে। মূলত সেকারণেই আড়তের পাশের জায়গাটি ভরাট করা হলে সেখানে ৫০ থেকে ১০০ দোকানের পজেশান বিক্রি করে প্রভাবশালী রাতরাতি কয়েক কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বগুড়া শহরের একপাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া করতোয়া নদীর পাড়ের বসবাসকারীরা ধনী ও প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে তাদের দখলদারিত্ব অব্যাহত রেখেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভূমি

১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ