পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইন প্রণয়ন করছে সরকার : মোস্তফা জব্বার
তথ্য বিক্রি হচ্ছে কোটি কোটি টাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রতিকার নেই
বিভিন্ন ঘটনার জের ধরে প্রায়ই ফাঁস হচ্ছে অডিও-ভিডিও ক্লিপ। কারা, কিভাবে এসব ফাঁস করছে-কোনো শেকড় খুঁজে পাওয়া যায় না। তবে ফাঁস হওয়া অডিও-ভিডিও কিংবা তথ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিটি অনেক সময় সামাজিক ভিলেনে পরিণত হন। পরিবারের সদস্যদের জন্যও তৈরি হয় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি। অনেক ক্ষেত্রে একপেশে, একপক্ষীয়, সুবিধামাফিক তথ্যে প্রাণ সংহারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ঘটনা গড়ায় আতœহত্যা পর্যন্ত।
অবাধ তথ্য-প্রবাহের যুগে নাগরিকের কোনো তথ্যই সুরক্ষিত থাকছে না। মোবাইল নেটওয়ার্ক, অ্যাপস, ই-মেইল, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, সার্চ ইঞ্জিন-ইন্টারনেট সংশ্নিষ্ট সব সেবার মাঝেই মানুষকে নজরদারি মধ্যে রাখা হচ্ছে। জ্ঞাতে কিংবা অজ্ঞাতেই মানুষ সরকারি-বেসরকারি এমনকি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের ট্র্যাকিংয়ে থাকছে মানুষ। আধুনিক যোগাযোগ প্রযুক্তির কাছ থেকে সুবিধা ভোগের পাশাপাশি নাগরিকরা হয়ে পড়ছে অসহায়ও। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার প্রশ্নটি এখন জরুরি হয়ে দেখা দিয়েছে।
নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান
তথ্যানুসন্ধানে দেখা যায়, অনলাইন বিশ্বে কেনাকাটা থেকে শুরু করে যে কোনো সেবা নিতে গেলেই গ্রাহককে দিতে হচ্ছে ব্যক্তিগত তথ্য। এ কারণে তথ্যের নিরাপত্তা বিধানের প্রশ্নটি গুরুতর হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হলে আর্থিকভাবে, সামাজিকভাবে কিংবা অন্য যেকোনো উপায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন গ্রাহক। ছোটখাটো অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও এনআইডি, পাসপোর্ট, ঠিকানা, পারিবারিক নানা তথ্য দিতে গ্রাহককে বাধ্য করছে। দেশে বেসরকারিভাবে মানুষের ব্যক্তিগত নানা তথ্য সংগ্রহ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। প্রায় সব মোবাইল অপারেটর, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে সেসব তথ্য বেহাত হওয়ার ঘটনা ঘটছে। অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবাদাতাদের বিরুদ্ধে আছে মানুষের তথ্য হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ। মুঠোফোনে রিচার্জ ব্যবসায়ী ও মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতার (এমএফএস) এজেন্টের কাছ থেকেও অনেক মানুষের তথ্য হাতবদল হচ্ছে। কারও কারও ফোনালাপ, ব্যক্তিগত ছবি, ভিডিও ছড়িয়ে পড়ছে ইন্টারনেটে, গণমানুষের হাতে। অথচ কোন্ কোন্ প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের ব্যক্তিগত তথ্য সংগ্রহে রাখতে পারবে, সংগৃহীত তথ্যই কি কাজে ব্যবহার করতে পারবে-এমন কোনো গাইডলাইন কিংবা নীতিমালা নেই। দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটির মতো। এ সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। এতে ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা না গেলে সাধারণ মানুষ বিপদে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
সংবিধানের ৪৩ (খ) অনুচ্ছেদে ‘প্রাইভেসি রাইটস’ বা ‘ব্যক্তির তথ্য সুরক্ষা ও গোপনীয়তা’ মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় অনুমতি ছাড়া কারও ব্যক্তিগত তথ্য প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে উল্লেখ রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণা (অনুচ্ছেদ ১২) নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সনদ (অনুচ্ছেদ ১৭), জাতিসংঘের কনভেনশন অন মাইগ্রেন্ট ওয়ার্কার্স (অনুচ্ছেদ ১৪) এবং শিশু অধিকার সনদে (অনুচ্ছেদ ১৬) প্রাইভেসিকে ‘অধিকার’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের কোনো আইনেই নাগরিকের তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে সুস্পষ্ট কিছু নেই। ফলে ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার হলে ভুক্তভোগীর আইনগত প্রতিকারের কোনো ক্ষেত্রও তৈরি হয়নি।
তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়, তথ্য-প্রযুক্তির সুফলভোগী অধিকাংশই এখনও ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন নন। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা টাইমলাইনে অবচেতনভাবেই ব্যক্তিগত তথ্য মেলে ধরছেন। তারা এমনটি খুব কমই ভাবেন যে, তথ্যগুলো একান্তই তার ব্যক্তিগত। তাকে শনাক্ত করার জন্য এ তথ্যগুলোই যথেষ্ট।
এ তথ্যগুলোর মাধ্যমেই ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট, ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টসহ ব্যক্তিগত অনেক গোপন তথ্যই ‘হ্যাক’ করা সম্ভব। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার দিনকে দিন বাড়লেও এসব বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণার কোনো উদ্যোগ সরকারের দায়িত্বশীল দফতরগুলো নিচ্ছে না।
তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়, ব্যক্তিগত তথ্য দু রকম। এক ধরণের ব্যক্তিগত তথ্য রয়েছে, যা দিয়ে একজন ব্যক্তিকে সরাসরি শনাক্ত বা চিহ্নিত করা সম্ভব। যেমন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনো ব্যক্তির নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর, মা ও বাবার নাম, জন্ম তারিখ বা যেকোনো বায়োমেট্রিক রেকর্ড যেমন আঙুলের ছাপ ইত্যাদি। এ তথ্যগুলো একজন ব্যক্তিকে সরাসরি চিহ্নিত বা শনাক্ত করতে সক্ষম। দ্বিতীয় ধরনের ব্যক্তিগত হচ্ছে, লিংকেবল বা লিংকযোগ্য। একটি তথ্যের সঙ্গে আরেকটি সংযুক্ত করে কাউকে শনাক্ত করা যায় এসব তথ্যের মাধ্যমে। এই তথ্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ড্রাইভিং লাইসেন্স, মেডিকেল তথ্য, ফিন্যান্সিয়াল তথ্য, ক্রেডিট কার্ড, চাকরির তথ্য, শিক্ষাসংক্রান্ত তথ্য ইত্যাদি। এই তথ্যগুলো একটির সঙ্গে আরেকটি জুড়ে একজন মানুষকে শনাক্ত বা চিহ্নিত করা সম্ভব। একজন ব্যক্তির জন্য এই তথ্যগুলো খুবই গোপনীয় এবং একান্ত ব্যক্তিগত। এই তথ্যগুলো জনসম্মুখে প্রচার খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এগুলোর জন্য ইন্টারনেটে হ্যাকাররা বসে থাকে এবং সুযোগ পেলেই তারা এই তথ্যগুলোর মাধ্যমে ব্যক্তির যেকোনো কিছু হ্যাক করা সম্ভব।
উন্নত বিশ্বে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় কঠোর আইন রয়েছে। প্রশিক্ষণ রয়েছে। আছে আইনের কঠোর প্রয়োগও। বিশেষ করে সরকারি কর্মকান্ডে ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবস্থাপনায় রয়েছে বিশেষ উদ্যোগ। ব্যক্তিগত তথ্য কে ব্যবহার করতে পারবে, কীভাবে ব্যবহার করতে হবে এবং সঠিকভাবে ব্যবহার না করলে তার শাস্তি কী হবে ইত্যাদি নীতিমালা কঠোরভাবে অনুসৃত হয়। এসব দেখভালের জন্য রয়েছে সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষও।
ঝুঁকিতে ব্যক্তিগত তথ্য
২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ১৮৪টি উপজেলার মানুষের মুঠোফোন নম্বর মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে নিয়ে নেয় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এ বিষয়ে বিটিআরসির দেয়া চিঠিতে বলা হয়েছিল, বিদ্যুৎ সংক্রান্ত জরিপের প্রয়োজনে নম্বরগুলো তাদের দরকার। দেশে আদমশুমারি থেকে শুরু করে সমস্ত জাতীয় জরিপ সম্পাদন করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। ওই সময় সংস্থাটির মহাপরিচালক পদে থাকা কৃষ্ণা গায়েন জানিয়েছিলেন বলেছিলেন, তারা তখন পর্যন্ত কোনো জরিপ করেননি। তবে এরকম একটি জরিপ তারা করবেন। ঘটনার দু’বছর পর বিবিএস’র তৎকালিন মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানান, তার জানামতে ২০১৯ ও ২০২০ সালে বিবিএস বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো জরিপ পরিচালিত হয়নি। অর্থাৎ বিদ্যুৎ জরিপের নামে গ্রাহকের মোবাইল নম্বরগুলো হাতবদল হয়েছে।
ইদানিং অহরহই ঘটছে ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনা। ঘটে প্রায়শই। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফাঁস হচ্ছে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিদের টেলিসংলাপ। কিভাবে এই আলাপ ফাঁস হচ্ছে- সেই প্রশ্নে কাউকে আইনী লড়াইয়ে নামতে দেখা যায় না। অডিও-ভিডিও ফাঁস ছাড়াও নানা তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটছে। রাইড শেয়ারিং প্রতিষ্ঠান পাঠাওয়ের বিরুদ্ধে প্রায়ই গ্রাহকের মোবাইল ম্যাসেজ সংগ্রহ করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতারও করা হয়। সম্প্রতি বেসরকারি মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণ ফোনের কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি গ্রাহকের তথ্য প্রতারকদের কাছে বিক্রি করেছেন। সেই তথ্য হাতিয়ে প্রতারকচক্র মানুষকে বø্যাকমেইল করেছে। পুলিশ তখন গ্রামীণফোনের বিরুদ্ধেও মামলা করে।
আর্থিক সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ‘বিকাশ’ থেকে প্রতারণা করে টাকা নেয়ার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিকাশ এজেন্টের দোকান থেকে লেনদেনের খাতার ছবি চুরি করে তারা গ্রাহককে ফোন করে প্রতারণা করত। ব্যক্তিগত তথ্য বেহাত হওয়ার কারণেই সংঘটিত হচ্ছে নিত্য-নতুন অপরাধ। অথচ গ্রাহকের তথ্য কোন্ কোন্ সংস্থা নিতে পারবে, কিভাবে সেই তথ্যের বেহাত হওয়া ঠেকানো যাবে-এ সংক্রান্ত বোনো বিধি-বিধান নেই। জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) তথ্যমতে, বিশ্বের ১৯৪টি দেশের মধ্যে ১২৮টিতে তথ্য সুরক্ষা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তার আইন রয়েছে। অনেক দেশ আইনের খসড়া করেছে। অনেক দেশ এখন পর্যন্ত কিছুই করেনি। বাংলাদেশ এমন দেশেরই একটি। সাম্প্রতিক সংযোজিত আইনে ব্যক্তিগত তথ্যের যৎকিঞ্চিৎ সুরক্ষা বা প্রতিকারের কথা বলা হলেও তা অস্পষ্ট।
দেশে বিদ্যামন আইনে শুধুমাত্র সরকারি সংস্থাকে আড়ি পাতার সুযোগ দেয়া হয়েছে। টেলিযোগাযোগ আইনের ৯৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, এই আইন বা অন্য কোনো আইনে ভিন্ন যা কিছুই থাকুক না কেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে যেকোন টেলিযোগাযোগে সংঘটিত বার্তা ও কথোপকথন প্রতিহত, রেকর্ড ধারণ বা তৎসম্পর্কিত তথ্যাদি সংগ্রহের জন্য সরকার নির্ধারিত সময়ের জন্য গোয়েন্দা সংস্থা, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্তকারী সংস্থা বা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থার কোনো কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দিতে পারবে। এ কাজে সহায়তা করার জন্য টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারীকে নির্দেশ দিতে পারবে। কিন্তু সরকার কোথায় কার ক্ষেত্রে কখন এই আইনের চর্চা করছে-এর কোনো প্রকাশ্য ঘোষণা নেই।
নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিয়ে আইনি লড়াই করছেন পরিবেশ ও মানবাধিকার আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়–য়া। তিনি বলেন, তথ্য সংগ্রহ এবং তথ্য সুরক্ষার সুনির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। নাগরিকের তথ্য এখন বিক্রি হচ্ছে কোটি কোটি টাকায়। মানুষের ব্যক্তিগত মোবাইলে বিভিন্ন পণ্যের বিজ্ঞাপন চলে আসে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো নাগরিকের নম্বরগুলো পায় কোথা থেকে ? শুধু তাই নয়। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে যে আমরা আঙুলের ছাপ দিচ্ছি, সেটা বেহাত হলে ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। এটিও কি কেউ কখনও ভেবে দেখেছি ?
আইন করছে সরকার
ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার ইনকিলাবকে বলেন, ডিজিটাল যুগে দিন দিন তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। শুধু ব্যক্তিগত তথ্যই নয়-অন্যান্য তথ্য সুরক্ষাও জরুরি হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সরকার খুবই সিরিয়াস। ইতিমধ্যেই আমরা এটি নিয়ে আলোচনা করেছি। তথ্য মন্ত্রণালয় একটি খসড়া প্রণয়ন করেছে। মন্ত্রী আরও বলেন, তথ্য বেহাত হয়ে অপরাধের ঘটনাও বেশ ঘটছে। ২০১৮ সালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করার সময়ও বিষয়টি ততটুকু গুরুত্বপূর্ণ ভাবা হয়নি। এখন তথ্য সুরক্ষাকে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। তথ্য সুরক্ষার বিষয়টি বিদ্যমান আইনে অন্তর্ভুক্ত করার ভাবনা ছিল। কিন্তু অন্য দেশগুলোতে এ নিয়ে আলাদা আইনই আছে। তাই সরকারও সেভাবেই আলাদা আইন প্রণয়নের কথা চিন্তা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।