দেশের অধিকাংশ জেলায় তাপদাহ অব্যাহত রয়েছে। তবে তা ধীরে ধীরে হ্রাস পাচ্ছে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছে। যা অস্থায়ীভাবে দমকায় ৫০ থেকে ৬০ কি.মি. উন্নীত হতে পারে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়া ও কালবৈশাখীর সাথে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি হয়েছে। এরমধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয় সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৫৪ মিলিমিটার। এছাড়া ঢাকায় ২ মি.মি., টাঙ্গাইলে ১১, মাদারীপুরে ১২, ঈশ^রদীতে ২, বগুড়ায় ১০, রংপুরে ১২, কুড়িগ্রামে ৬, ভোলায় এক মি.মি. এবং নেত্রকোণায় সামান্য বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত দু’দিনে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের ফলে তাপদাহের মাত্রা কিছুটা কমেছে। তবে অনেক জেলায় প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে তাপমাত্রা। গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে ৩৮.৮ ও সর্বনি¤œ রাজারহাটে ১৯.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকার তাপমাত্রা কমে এসে দাঁড়ায় সর্বোচ্চ ৩৬.৭ এবং সর্বনি¤œ ২২.৪ ডিগ্রি সে.।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ী দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি এবং এ সম্পর্কে পূর্বাভাসে জানা গেছে, সীতাকুÐ, রাঙ্গামাটি, চাঁদপুর, ফেনী, নোয়াখালী, রাজশাহী ও পাবনা অঞ্চলসহ ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, খুলনা, বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তাপপ্রবাহ কিছু জায়গায় কমে যেতে পারে।
সারাদেশের দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা পর বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টি এবং তাপমাত্রা হ্রাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপরের ৫ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এদিকে লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।