Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

৭০ বছরের সামসুদ্দীন রোজা রেখেই মাটি কাটছেন

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ৩:১৮ পিএম

সূর্যের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপরে। প্রচণ্ড এই তাপদাহের মাঝে রোজা রেখে শক্তসামর্থ্য যেকোনো যুবকই প্রায় হাঁপিয়ে যাওয়ার কথা। তার ওপর যদি আবার মাটির বোঝা টানতে হয় তবে তো প্রাণ যায় যায় অবস্থা হওয়ার কথা। কিন্তু এসবের মধ্যে ব্যতিক্রম এক মানুষের খোঁজ পাওয়া গেছে নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলায়। তার নাম সামসুদ্দীন। বয়স সত্তরের ঘরে। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়া এই ব্যক্তি কোনো কিছুর কাছেই হার মানেননি। এই বয়সে এসেও কারো কাছে সাহায্যের জন্য হাত না পেতে রোজা রেখেও মাটি কাটার মতো কঠিন কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিদিন।

গত মঙ্গলবার উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নে চলমান ‘‘হতদরিদ্রদের কর্মসংস্থান কর্মসূচি“র আওতায় চলমান কজের পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম কাশেম। সাথে ছিলেন উপজেলার কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরাও। চন্দনবড়ি ইউনিয়নের নলুয়া ঘাগুটিয়া বিলের ধারে গিয়েই নজরে পরে এই বয়জ্যেষ্ঠ কর্মপ্রিয় মানুষের। কাজের এক ফাঁকে ডেকে এনে স্বল্প সময়ের আলাপ করেন সাসুদ্দীনের সাথে।

অল্প সময়ের এই আলাপের সময় তিনি জানান, চন্দন বাড়ি ইউনিয়নের মানারাকান্দী গ্রামে তার বাড়ি। স্ত্রী, এক ছেলেসহ তিন সদস্যবিশিষ্ট পরিবারের কর্তা তিনি। ভিটে মাটি ছাড়া চাষাবাদের জন্য নেই কোনো জমি। একমাত্র ছেলে ছোট থেকেই পড়াশোনা করেনি। ছোট কাল থেকেই ভবঘুরে ও কর্মবিমুখ হওয়ার কারণে কোনো কাজ না করে বৃদ্ধ এই পিতার পরিশ্রমের টাকায় কেনা খাদ্য খেয়ে আরামেই দিন কাটিয়ে দিচ্ছে।

তিনি আরো জানান, মাটি কাটার জন্য প্রকল্পের আওতায় দৈনিক ২০০ টাকা হাজিরায় কাজ করে যাচ্ছেন। ২০০ টাকা দৈনিক হাজিরা হলেও সেখান থেকে পান মাত্র ১৫০ টাকা মাত্র। বাকি ৫০ টাকা থেকে যায় সঞ্চয় হিসেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ