Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সড়কে যানজট মার্কেটে ভিড়

নামেই ‘লকডাউন’ আজ শেষ হচ্ছে দ্বিতীয় দফায় কঠোর লকডাউন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জন্য ঘোষিত দ্বিতীয় দফার কঠোর লকডাউন আজ শেষ হচ্ছে। আগামীকাল থেকে শুরু হবে তৃতীয় দফায় কঠোর লকডাউন। আগামী ৫ মে পর্যন্ত চলবে। কিন্তু লকডাউনে দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ার ঘোষণার পর থেকে রাজধানীতে ফিরছেন মানুষ। কর্মস্থলমুখী এ মানুষের ঢল গতকালও অব্যাহত ছিল। ‘কঠোর লকডাউন’ শুরুর ঘোষণার পর নানা কৌশলে যেভাবে তারা ঢাকা ছেড়েছিলেন; সেভাবেই আবার রাজধানীতে ফিরছেন। আবার দোকানপাট ও শপিংমল খুলে দেয়ায় রাজধানীতে যেন ‘লকডাউন’ কেবল নামেই। একমাত্র গণপরিবহন চলাচল ছাড়া সবকিছু যেন স্বাভাবিক। রাজপথে প্রাইভেটকারের সারি; প্রায় প্রতিটা ক্রসিংয়ে যানজট। যেন রাজধানীর পুরোনো চেহারা। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সরকার প্রথমে গত ৫ এপ্রিল গণপরিবহন ও অফিস-আদালত চালু রেখে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ জারি করেছিল। পরে তা আরও দুদিন বাড়ানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত কঠোর লকডাউন দেয়া হয় দেশব্যাপী। এরপর ২২ এপ্রিল থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানো হয়। এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় এই মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এদিকে, সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধের মাঝেই জমে উঠেছে রাজধানীর শপিংমল-মার্কেট। তীব্র গরম এবং করোনার ঝুঁকি- দুটোই উপেক্ষা করে এসব স্থানে বিরাজ করছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। আর এতে বেশ খুশি বিক্রেতারাও। গতকাল সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড ও নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায় ক্রেতাদের সরব উপস্থিতিতে জমজমাট হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা। মূলত সকাল থেকেই ক্রেতাদের উপস্থিতি থাকলেও দুপুরের পর ভিড় আরও বাড়তে থাকে।
বিক্রেতারা বলছেন, এখন পর্যন্ত কেনাকাটা করতে যে ক্রেতারা আসছেন, তাদের অধিকাংশই পাইকারি ক্রেতা। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে খুচরা বাজারে বিক্রির জন্য কেনাকাটা করছেন তারা। দীর্ঘদিন দোকানপাট, মার্কেট ও শপিংমল বন্ধ থাকায় অনেকেই কেনাকাটা করতে পারেননি। সেজন্যই এখন মার্কেটে বেশি ভিড়।
প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকলেও আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে খোলা রাখা হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার অধিকাংশ দোকান মার্কেট ও শপিংমল। নূর ম্যানশন মার্কেটের থান কাপড় ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম সবুজ বলেন, করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে এতদিন মার্কেট বন্ধ থাকায় আমাদের বেশ আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে। দোকান ভাড়া, কর্মচারীদের বেতনসহ অন্যান্য খরচ উঠাতে না পারায় এখন ঋণ করে আবার দোকান চালু করতে হয়েছে। তবে এখন বিক্রি কিছুটা ভালো। ঈদের আগ পর্যন্ত যদি এভাবে চলে তবে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে ওঠা যাবে।

অপরদিকে, করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে চলমান ‘লকডাউনে’ গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও রাজধানীর সড়কে সরকারি-বেসরকারি যানবাহনের চাপ একটুও কমেনি। ঢাকার অনেক স্থানে যানজটও দেখা গেছে। গতকাল লকডাউনের ১৪তম দিনে রামপুরা, মালিবাগ, মৌচাক, মিরপুর, শ্যামলী, পুরান ঢাকা, নিউ মার্কেট, নাজিরাবাজার, ধানমন্ডি, মতিঝিল, কাকরাইল, বিজয়নগর, পল্টন, মগবাজার সড়ক ঘুরে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, রিকশা, ঠেলাগাড়ির ভিড় দেখা গেছে। পাশাপাশি বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল। লকডাউনের শুরুতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ী তল্লাশি চৌকি বসানো হলেও গতকাল সেসব জায়গায় কোনো তৎপরতা চোখে পড়েনি। পুলিশ সদস্যরা আগের মতো যানবাহন থামিয়ে ‘মুভেমেন্ট পাস’ দেখছেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ