Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

হলুদ তরমুজ চাষে বাজিমাত

এ কে নাসিম খান, কিশোরগঞ্জ থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো এ রংয়ের তরমুজ চাষ করে চমক লাগিয়েছেন ইসমাইল হোসেনসহ অরো কয়েক যুবক। কীটনাশক ব্যবহার না করায় এটি সম্পূর্ণ বিষমুক্ত তরমুজ।

জানা যায়, এ তরমুজ খেতে সুস্বাদু। বাইরে হলুদ ভেতরে টকটকে লাল। নতুন জাতের ও রংয়ের এ তরমুজ দেখতে উৎসুক লোকজন ভিড় করছেন। এ তরমুজ চাষে অন্যান্য কৃষকদের মধ্যেও আগ্রহ দেখা দিয়েছে। পড়ালেখা শেষ করে বেকার যুবকরা করোনার এমন পরিস্থিতিতে বসে না থেকে কিছু একটা করার চিন্তা করেন। আঙিয়াদী বøকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিমুল হক সোহাগের পরামর্শে ও উপজেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় নিজ জমিতে হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষাবাদ শুরু করেন। প্রথম অবস্থায় ২৫শতক জমিতে চাষ শুরু করেন তারা। প্রথমবারেই বেশ ফলন হয়েছেন। ওই জমিতে চারশ’ মতো গাছ রয়েছে। যার প্রতিটিতে ৪-৫টি করে তরমুজ এসেছে। অল্প সময়ে এ জাতের তরমুজ চাষে যে পরিমাণ ফলন এসেছে তা থেকে ভালো লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উদ্যোক্তা তৈরি করার লক্ষ্যেই ওই বেকার যুবককে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষাবাদ করে যুবকরা সফলতাও পেয়েছেন। জমিতে কীটনাশক ব্যবহারের পরিবর্তে ফেরোমেন ও ইয়েলো ট্যাপ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে পোকা-মাকড় ও রোগ-বালাইয়ের হাত থেকে ফসল রক্ষা পেয়েছে। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে। পরিপক্ক প্রতিটি তরমুজ ৩-৪ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়ে থাকে। এরআগে সবুজ ও ছোপছোপ রংয়ের তরমুজ চাষ হলেও এ উপজেলায় হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ এই প্রথম। এটি গোল্ডেন ক্রাউন জাত হিসেবে পরিচিত। এ বছর উপজেলায় এ জাতের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। এটি ৮০-৮৫ দিনের ফলন। এর মধ্যে চাষাবাদ শুরু হয়ে পরিপক্ক হয়ে বিক্রির উপযোগী হয়ে যায়।

দাওরাইট গ্রামের ইসমাইল হোসেন এর জমিতে গিয়ে দেখা গেছে, জমির চারপাশে জাল দিয়ে বেড়া দেয়া হয়েছে। মাচা পদ্ধতিতে হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ করা হয়েছে। প্রতিটি মাচা জাল দ্বারা আবৃত। প্রতিটি গাছে চার থেকে পাঁচটি করে ঝুলে আছে। একেকটি তরমুজ দুই থেকে আড়াই কেজি ওজনের মতো হবে।

তরমুজচাষি ইসমাইল হোসেন বলেন, পড়ালেখা শেষ করে বাড়িতেই ছিলাম। বসে না থেকে কিছু একটা করার চিন্তা করি। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে ২৫ শতক জমিতে হলুদ রংয়ের তরমুজ চাষ শুরু করি। এতে প্রথমবারই আমি সফল হই। আমার সবমিলিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। যে পরিমাণ ফলন হয়েছে তা বিক্রি করে আমি লাভবান হব বলে আশা করছি।

পাকুন্দিয়ার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা হামিদুল হক সোহাগ জানান, শিক্ষিত তরুণরা চাষাবাদে এগিয়ে এলে কৃষিখাত আরো সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি বেকারত্ব থেকে মুক্তি লাভ করে উদ্যোক্তা হবে। এতে ব্যক্তি, সমাজ ও দেশ উপকৃত হবে ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ