Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শেরপুরে মানবপাচার মামলায় পলাতক আসামি গ্রেফতার, আদালতে স্বীকারোক্তি

শেরপুর জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৩:৫৪ পিএম

শেরপুরে চাঞ্চল্যকর মানবপাচার মামলায় আব্দুর রহমান লিটন ওরফে কাঁচামাল (৫০) নামে এক পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৬ এপ্রিল সোমবার রাতে পার্শ্ববর্তী জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে স্থানীয় মৃত আফসার আলী ব্যাপারীর পুত্র। মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমগীর আল মামুনের কাছে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয় আদালত।
জানা যায়, শেরপুরের পুলিশ সুপার হাসান নাহিদ চৌধুরীর নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহাম্মদের নেতৃত্বে সোমবার গভীর রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির এসআই আজিজুল হাসান, মঞ্জুরুল হক ও মোফাখখির হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামে অভিযান চালায়। ওইসময় মানব পাচার মামলার পলাতক আসামি আব্দুর রহমান লিটন ওরফে কাঁচামালকে তার বসতবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে একই মামলায় শেরপুর শহরের খরমপুর মহল্লার ওমর ফারুকের বাসা থেকে গত ৯ মার্চ রাতে ভাড়াটিয়া রুহুল আমিন ওরফে ভুট্টো ও তার স্ত্রী কল্পনা আক্তারকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। ওইসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আব্দুর রহমান লিটন ওরফে কাঁচামাল পালিয়ে যায়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনসুর আহাম্মদ মানবপাচার মামলার পলাতক আসামি আব্দুর রহমান লিটন ওরফে কাঁচামালকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সে একটি সংঘবদ্ধ মানবপাচার দলের সক্রিয় সদস্য। ঘটনার পর থেকেই সে আত্মগোপনে ছিল। তাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। এর মধ্য দিয়ে ওই চাঞ্চল্যকর মামলার তদন্ত ক্ষেত্রেও যথেষ্ট অগ্রগতি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, শেরপুর সদর উপজেলার চরমোচারিয়া ইউনিয়নের মাঝপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রহুল আমিন ওরফে ভূট্টো ও তার স্ত্রী কল্পনা আক্তার শেরপুর শহরের খরমপুর মহল্লার ওমর ফারুকের বাসার চতুর্থ তলা ভবনের একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে দেশের বিভিন্নস্থান থেকে মেয়ে এনে পাচার এবং তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা করিয়ে আসছিল। গত ৮ মার্চ জামালপুর সদর উপজেলার শরীফপুর গ্রামের আব্দুর রহমান লিটন ওরফে কাঁচামাল নামে ওই ব্যক্তি গাজীপুর জেলার মাজুখান গ্রামের এক যুবতীকে ফুঁসলিয়ে রহুল আমিন ওরফে ভূট্টোর ভাড়াটিয়া বাসায় এনে তাকে জিম্মি করে রাখে। পরে রাতে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা কাজ করানোর চেষ্টা করে। এতে রাজি না হয়ে ওই যুবতী কান্নাকাটি ও চিৎকার শুরু করলে বিষয়টি বাসার মালিক ওমর ফারুক টের পেয়ে ডিবি পুলিশে খবর দেন।
ডিবি পুলিশ ওই বাসায় অভিযান চালিয়ে ওই যুবতীকে উদ্ধার করে এবং সেইসাথে মানবপাচারের অভিযোগে ভাড়াটিয়া রহুল আমিন ওরফে ভূট্টো ও তার স্ত্রী কল্পনা আক্তারকে গ্রেফতার করে। ওই ঘটনায় শেরপুর সদর থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ