বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নীলফামারী সৈয়দপুরে কৃষি শ্রমিকরা কাজের সন্ধানে ছুটছেন দক্ষিণের জেলায়। বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে সারাদেশে গণপরিবহন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় ধান কাটতে এসব শ্রমিকরা সরকারি সহযোগিতা ও ব্যক্তিগতভাবে দলবদ্ধ হয়ে পিকআপভ্যান ও মাইক্রোবাসে করে যাচ্ছেন বিভিন্ন জেলায়।
বিগত বছরগুলোতে স্বাভাবিক সময়ে দেশের দক্ষিণ জেলাগুলোতে কাজের সন্ধানে যাওয়ার পথে এসব শ্রমিকরা দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেল জংশন, সৈয়দপুর, নীলফামারী, ডোমার ও চিলাহাটি স্টেশনে ভিড় করতেন। মহামারি করোনা রোধে গত ৮ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে ট্রেন ও গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে সড়ক পথে পিকআপভ্যান, মাইক্রোবাস, ট্রাক্টর করে ইরি-বোরো ধান কাটতে শ্রমিকরা ছুটছেন দক্ষিণের জয়পুরহাট, সান্তাহার, আদমদীঘি, আত্রাই, নওগাঁ, নাটোর, খুলনা, যশোরসহ বিভিন্ন জেলায়। কিন্তু দেশের অর্থনীতি ও কৃষি ক্ষেত্রে অবদান রাখা এসব মজুররা এখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সড়ক পথে ছুটছেন দক্ষিণে।
নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার কৃষক শাহজাহান আলী ১০ জনের দল নিয়ে ইরি-বোরো ধান কাটতে চলছেন সান্তাহারের উদ্দেশে। ওই এলাকায় মজুরি বেশি পাওয়া যায়। আবার ধান পাকা শুরু হলেই সেখান থেকে তাদের মোবাইলফোনের মাধ্যমে আসার জন্য জানানো হয়।
আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) কথা হয় সৈয়দপুর উপজেলার কৃষক আফছার আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, কাজ না করলে সংসার চলবে কীভাবে? করোনার কারণে ‘লকডাউন’ পরিস্থিতিতে বাবা-মা ও সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে টাকা রোজগারের আশায় কাজ করতে যাচ্ছি। এখনও এলাকায় ধান কাটা শুরু হয়নি। তাই দু-পয়সা কামাইয়ের উদ্দেশে অন্যদের সঙ্গে আমিও ভাড়া করা মাইক্রোবাসে কাজের সন্ধানে যাচ্ছি।
সৈয়দপুর রেল স্টেশন মাস্টার বলেন, করোনার কারণে রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সড়ক পথই এখন ভরসা। উত্তরের কৃষি শ্রমিকদের যাতায়াতের সহজ মাধ্যম ছিল রেলপথ। স্বাভাবিক সময়ে কৃষি শ্রমিকরা খুলনাগামী মেইল ট্রেন, উত্তরা, আন্তঃনগর সীমান্ত, বরেন্দ্র ও রূপসা এক্সপ্রেস ট্রেনে করেই যাতায়াত করতেন।
এ ব্যাপারে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন, উত্তরের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন শত শত কৃষি শ্রমিক সড়ক পথে কাজের সন্ধানে দক্ষিণে যাচ্ছেন। ফলে বিভিন্ন পয়েন্টে শ্রমিক বহনকারী যানবাহনগুলো থামিয়ে যাচাইয়ের (প্রকৃত শ্রমিক কিনা) মাধ্যমে প্রতিনিয়ত তদারকি করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।