Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী খেপলেন কেন?

মন্তব্য প্রতিবেদন

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ভয়াবহতা যখন বাড়ছে; তখন করোনার প্রথম ডোজ টিকা কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এতে দেশের প্রথম ডোজ নেয়া ১৩ লাখ মানুষের দ্বিতীয় ডোজের টিকা অনিশ্চিত হয়ে গেল। সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে বেক্সিমকোর ক্রয় করা টিকা ভারতের নরেন্দ্র মোদি সরকার আটকে দেয়ায় মূলত এ অবস্থার সৃষ্টি হয়। গতকালও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘ভারত থেকে শিগগিরই টিকা মিলছে না। কবে পাওয়া যাবে তাও নিশ্চিত নয়’। এ অবস্থায় সরকারি পর্যায়ে ভারত সরকারকে চাপ দিয়ে সেরামের টিকা আনার প্রস্তাব দিয়েছেন আওয়ামী লীগের এমপি ও সরকারের পক্ষে টিকা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেছেন, ভারত সরকারও সেরামকে টিকার জন্য অগ্রিম টাকা দেয়নি; আমরা টাকা দিয়েছি। সেরামের টিকা আটকে দিয়েছে ভারতের সরকার। এখন আমাদের টিকার প্রয়োজন। সেরাম থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে সরকারের আর চুপ করে থাকার উপায় নেই। সরকার টু সরকার আলোচনা করে টিকা দিতে ভারতকে বাধ্য করা উচিত। আর ভারতের উচিত বাংলাদেশকে টিকা দিয়ে বন্ধুত্বের প্রমাণ দেয়া। পাপনের এই আহ্বানে ক্ষেপে গেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তার সাফ বক্তব্য ‘আমরা ভারতে কমান্ডো পাঠিয়ে টিকা নিয়ে আসতে পারব না; এটা সরকারের কাজ নয়। উনারা (বেক্সিমকো) যেহেতু সেরামের একটা অংশীদার, শেয়ার হোল্ডার, উনারা চুক্তি করেছেন। ওদের উচিত সেরামকে চাপ দেয়া। সেটা করছে না। সরকারের ওপর ছেড়ে দিচ্ছে কেন’।
সারাবিশ্বে টিকার জন্য হাহাকার চলছে। বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ করোনা টিকা পেতে উদগ্রীব। চীন, রাশিয়া থেকে টিকা না কিনে কেবল ভারতের সেরামের উপর নির্ভরশীল হতে হলো কেন? এখন বিপদ ভয়াবহ। ক‚টনৈতিক ও সরকারি পর্যায়ে এই ভুল এবং দিল্লিকে খুশি করতে চীনের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে সেরামের ওপর নির্ভরশীল হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক করার সময় নয়। ইংরেজদের কাছে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং গ্রেফতারের পর কারাগারে জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন ‘এখন ভুলের বিচারের সময় নয়। সবাই বিপদগ্রস্ত। আপনারাও ভুল করেছেন; আমিও ভুল করেছি; দেশকে বাঁচান তারপর সব বিচার করা যাবে’। করোনা নিয়ে বর্তমান পরিস্থিতি অনেকটা সেরকম। যে ভাবেই হোক টিকা আমাদের চাই। এ অবস্থায় টিকা পেতে সরকারকে চেষ্টা করার প্রস্তাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খেপে গেলেন কেন? জনস্বার্থ কি তার কাছে গুরুত্বহীন? দায়িত্বশীল চেয়ারে থেকে এমন ক্ষোভ ও বালখিল্য কথাবার্তা কী সমীচীন?
নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘ভারতের মিষ্টি কথায় সব চলবে না। বাংলাদেশকে অগ্রিম অর্থ দিয়ে কেনা টিকা বুঝিয়ে দিতে হবে। আর প্রতিবেশী দুই দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্ক বিবেচনা করার সময় এসেছে। আমরা সেরামের সঙ্গে যতবার যোগাযোগ করছি; তারা দেবে না বলছে না। সেরাম আমাদের ৫০ লাখ ডোজ টিকার চালান প্রস্তুত করে রেখেছে। কিন্তু বাংলাদেশে টিকা পাঠানোর অনুমতি দিচ্ছে না ভারত সরকার। এখন সরকার টু সরকার আলোচনা মাধ্যমে প্রয়োজনে চাপ দিয়ে টিকা আনতে হবে’। ভারতের আচরণ প্রসঙ্গে পাপন বলেন, বাংলাদেশ কখনোই ভারতের কাছে ঔষুধের কাঁচামাল আমদানি করেনি। এবার আনছি। এতে ভারত যা করছে। এর আগেও ভারত আরো ৬টি প্রোডাক্টের কাঁচামাল আটকে দিয়েছিল।’
কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত ‘উত্তম ও অধম’ কবিতায় লিখেছেন, ‘কুকুরের কাজ কুকুর করেছে কামড় দিয়েছে পায়/ তা’বলে কুকুরে কামড়ানো কি রে মানুষের শোভা পায়?’ করোনাকালে ভারত আবারো ‘করোনা টিকায়’ বাংলাদেশকে বন্ধুত্বের প্রমাণ দিয়েছে। দেশটি বাংলাদেশ থেকে ফেনি নদীর পানি নিলেও এক যুগ ধরে তিস্তা চুক্তির মুলা ঝুলিয়ে রেখেছে। গঙ্গার পানি ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে ৩০ বছরের চুক্তি করলেও পানি দিচ্ছে না। সীমান্ত বাংলাদেশি হত্যা স্বাভাবিক ঘটনা করে ফেলেছে। তারপরও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেন দাবি করেন ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘রক্তের সম্পর্ক’। তিনি ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’ ‘অনন্য উচ্চতার সম্পর্ক’সহ নানা সম্পর্ক বলেও মন্তব্য করে থাকেন। এই পররাষ্ট্র মন্ত্রীসহ বর্তমান সরকারের কয়েকজন মন্ত্রী ও শতাধিক আমলার সব ধ্যান-জ্ঞান ভারতকে নিয়ে। বাংলাদেশের জনগণের অর্থে বেতনভাতা নিয়ে অন্যের পদলেহি স্বভাবের লোকগুলো ভারত টিকা না দেয়ায় এখন বোবা হয়ে গেছেন।
এখন সেরামের টিকা ভারত না দিলে সরকার কি বসে থাকবে? টিকা পেতে ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করবে না? সরকার চীন, রাশিয়াসহ আরো একাধিক দেশ থেকে টিকা পাওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এটা ভালো খবর। কিন্তু অগ্রিম টাকা দেয়া সেরামের টিকা আনতে হবে না? দেশের যে ১৩ লাখ প্রথম টিকা নেয়া মানুষ দ্বিতীয় ডোজের জন্য অপেক্ষা করছে তাদের কী হবে? বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ‘প্রথম ডোজ এক কোম্পানির টিকা নিয়ে দ্বিতীয় ডোজ অন্য কোম্পানির টিকা নেয়ার ক্রিয়া বিক্রিয়া নিয়ে কোনো গবেষণা হয়নি। অতএব এটা হবে ঝুঁকিপুর্ণ’। কাজেই অগ্রিম টাকা দিয়ে কেনা সেরামের টিকা আনতেই হবে।
প্রশ্ন হলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এক দেশের বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অন্য দেশের প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বাণিজ্য করলে সরকার কি ভ‚মিকা রাখে না? এক দেশ থেকে আরেক দেশের বাণিজ্যের সবকিছুর অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রনালয়। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুজার উপহার হিসেবে বাংলাদেশ কয়েক ট্রাক ইলিশ মাছ ভারতকে দেয়। ইলিশ পেয়েই ওই দিন ভারত সীমান্তে বাংলাদেশ মুখি পেঁয়াজের ট্রাক বন্ধ করে দেয়। ভারত হঠাৎ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দেয়ায় হুহু করে বাড়ে পেঁয়াজের দাম। পরে সরকার টু সরকার আলোচনার পর সে পেঁয়াজ পুনরায় আসতে শুরু করে। বিদেশে শ্রমিক পাঠানোর ব্যবসা করেন দেশের শত শত রিক্রটিং এজেন্সি। বিভিন্ন দেশে শ্রমিক সঙ্কটে সরকার উদ্যোগ নিয়ে ওই দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেছে। নিকট অতীত সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, কুয়েতে শ্রমিক নিয়ে সঙ্কট দেখা দিলে সরকারের সঙ্গে সরকার আলোচনা করে সমস্যার সমাধান করেছে। তাহলে সেরামের কাছ থেকে করোনার টিকা পেতে সরকার দায়িত্ব পালন করবে না? দেশের জনগণের স্বার্থ জীবন বাদ দিয়ে কি সরকার? কোন যুক্তিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন বক্তব্য দেন?
অগ্রিম টাকা নেয়ার পরও ভারত সেরামের টিকা বাংলাদেশে রফতানি বন্ধ করে দেয়ার পর দেশের বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ, সংস্কৃতি সেবী ও তথাকথিত প্রগতিশীল মিডিয়া যেন নীরব হয়ে গেছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে সেরামের কাছে অগ্রিম টাকা দিয়ে ক্রয় করা টিকা মোদি সরকারের আটকে দেয়ার ঘটনা তাদের কাছে কোনো বিষয় নয়। এদের ভাবখানা আগে ভারতের চাহিদা মিটুক তারপর বাংলাদেশকে দেবে। চাটুকার, পদলেহি এই বুদ্ধিজীবী ও সুশীলরা নিজ দেশের চেয়ে ভারতের স্বার্থকে বেশি গুরুত্ব দেন। বিনিময়ে কিছু ‘এনাম’ পেলেই খুশি। একই ভ‚মিকায় যেন নেমেছে কিছু মিডিয়া। ভারত সেরামের টিকা আটকে না নিয়ে যদি পাকিস্তান বা অন্য কোনো দেশ আটকে দিত তাহলে কোমর বেঁধে মাঠে নামতেন ওই বুদ্ধিজীবী-সুশীল সমাজ ও মিডিয়াগুলো। ওই সব দেশের বিরুদ্ধে জনগণকে ক্ষেপিয়ে তুলতেন, দেশে জনমত গঠন করতেন। মোদি সরকার সেরামের টিকা দিতে দিচ্ছে না। দাদাদের পদলেহি যেন তাদের আসল কাজ। সীমান্তে বাংলাদেশি হত্যা হলে এরা বিবৃতি দিয়ে বলেন, ‘মানুষ নয় বিএসএফ গরু চোর মেরেছে’।
নরেন্দ্র মোদি গত ২৬ মার্চ ঢাকা সফরের সময় ২০ লাখ টিকা উপহার হিসেবে নিয়ে এসেছেন। এটা নিয়ে ওই বুদ্ধিজীবী, সুশীল সমাজ আর মিডিয়ার কত প্রচারণা। ‘আহা! আহা!! মোদিজি করোনা টিকা উপহার এনেছেন’। ইনিয়ে বিনিয়ে ভারত আর মোদিকে কত গুণগান, তোয়াজ, প্রচারণা, মিডিয়ায় প্রবন্ধ-নিবন্ধ লেখালেখি! বাস্তবতা হলো মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের ভোট পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে ‘টিকা উপহার’ রাজনীতি করেছেন। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে ‘নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে বাড়তি সুবিধা এবং মুসলমানদের ভোট পেতে বাংলাদেশে গেছেন ‘টিকা উপহার’ নিয়ে।
দেশের এই বুদ্ধিজীবী ও সুশীলদের সঙ্গেই সব সময় দেখা যায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল মোমেনকে। দেশের নাগরিকদের নিয়ে তিনি তার ভাইয়ের (সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত) মতো ‘রাবিশ’ ‘খবিশ’ শব্দের ব্যবহারে অভ্যস্ত। করোনাভাইরাস শুরুর প্রথম দিকে আবদুল মোমেন দেশে ফেরা প্রবাসীদের তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলেন, ‘প্রবাসীরা ’নবাবজাদা’ হয়ে গেছে। ওদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে’। এনিয়ে প্রবাসীরা তার উপর ক্ষুব্ধ। কুয়েতে সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে গ্রেফতারের পর দেশি-বিদেশি মিডিয়ায় লেখালেখি হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, ‘পাপুলের বিরুদ্ধে এসব মনগড়া তথ্য। মিডিয়ায় প্রচারিত অভিযোগ সঠিক নয়’। সে সময়ে কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে পাপুলের দুর্নীতিতে সহায়তার অভিযোগ উঠলে ‘ডাহা মিথ্যা’ বলে উড়িয়ে দেন মোমেন। তিনি সীমান্ত হত্যা নিয়ে নানান বক্তব্য দিয়েছেন। ‘তিস্তার পানির প্রয়োজন নেই’ বলেও দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করেছিলেন। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ‘স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক’ তারই আবিষ্কার। ‘ভারত মিথ্যা প্রতিশ্রæতি দেয় না’ বক্তব্য দিয়ে তিনি দিল্লিকে খুশি করার চেষ্টা করেন।
ভারতের সেরামের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আগেই চীন-রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা ক্রয়ের উদ্যোগ নেয়া উচিত ছিল। এখন বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে। চীন টিকা দেবে এটা প্রায় নিশ্চিত। সেরামের টিকা আটকে দিয়ে বন্ধুবেশি ভারত প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রতারণা করল তার কী হবে? মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা করলেও ৫০ বছরেও ভারত কার্যক বাংলাদেশের বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে পারেনি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষ্যে থাকেনি। এমনকি গত সাপ্তাহে বঙ্গোপসাগরের বাংলাদেশের মহীসোপানের মালিকানার বিরোধিতা করেছে ভারত। অতএব সেরাম থেকে টিকা পেতে বাংলাদেশের সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া উচিত। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন ২০১৬ সালে ভারতে রেলপথের সিগনালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন কাজ করার চুক্তি করেছিল চীনের বেইজিংয়ের ন্যাশনাল রেলওয়ে রিসার্চ অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউট অব সিগনাল অ্যান্ড কমিউনিকেশন। লাদাখ সীমান্তে যুদ্ধের সময় সে চুক্তি বাতিল করে ভারত। চীনের অভিযোগের কারণে আন্তর্জাতিক চাপে পড়তে হয়েছিল ভারতকে। সেরামের টিকা পেতে সরকারকে নরম-গরমে চেষ্টা চালাতে হবে। কারণ বিশ্বের ধনী দেশগুলো করোনার টিকা কিনতে অগ্রিম টাকা দিয়েছিল। তারা টিকা পেয়ে গেছে। কেবল সেরাম থেকে অগ্রিম টাকা দিয়ে বাংলাদেশের কেনা টিকা ভারত সরকার আটকে দিয়েছে। অবশ্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো দাদাদের তোয়াজকারী ব্যাক্তি ও দিল্লির তোষামোদকারী আমলাদের দিয়ে সেটা সম্ভব কি না সেটাই এখন দেখার বিষয়। আবার প্রবাদে রয়েছে ‘না কাঁদলে মা বাচ্চাকে দুধ দেয় না। এই কঠিন সময়ে সেরাম থেকে কেনা টিকা পেতে আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যেতেই হবে। বাংলাদেশ ছাড়া সব প্রতিবেশীর সঙ্গে ভারতের বিরোধ। উত্তর-পূর্ভ ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত রাজ্যগুলোর স্বাধীনতাকমীরা নীরব হয়েছে শুধু বাংলাদেশে কারণেই। ভারতকে আমরা অনেক দিয়েছি। এখনো দিয়েই যাচ্ছি। এ অবস্থায় সরকার চেষ্টা করলে মোদি সরকার অবশ্যই সেরামের টিকা বাংলাদেশে রফতানির ওপর বিধিনিষেধ তুলে নেবে। প্রশ্ন হলো এতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী খেপলেন কেন?



 

Show all comments
  • Md Kamrul ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২৮ পিএম says : 0
    চুক্তি অনুযায়ী টাকা নিয়েছেন নির্দিষ্ট সময় ভ্যাকসিন দিবে বলে । না দিলে শক্ত প্রতিবাদ করতে হবে । বন্ধুত্ব -বন্ধুত্বের জায়গায়, ব্যবসা -বানিজ্য চুক্তি অনুযায়ী সমাধান করতে হবে । না হয় আস্হার সংকট সৃষ্টি হবে ভবিষ্যতের বানিজ্য নিয়ে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Murad Chowdhury ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২৯ পিএম says : 1
    দুইটা কথা বলি ! প্রথমটা পাপণের এই বক্তব্যে তার পদ হারানোর সম্ভাবনা বেশি !! দ্বিতীয়তঃ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গায়ের মরিচ লাগলো কি কারনে !!!
    Total Reply(0) Reply
  • Md Tuhin ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:২৯ পিএম says : 0
    এভাবে কর্তার বিপক্ষে বলতে নাই তাহলে তুমি পাদটা হারাবে যে উক্তিতে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয় তেমন উক্তি করবেন না প্লিজ
    Total Reply(0) Reply
  • Saif Moazzem ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩০ পিএম says : 0
    এত অনুরোধ, অনুরোধ করে চাটাচাটির কি আছে? ভারত কি আমাদের বিনে পয়সায় টিকা দিচ্ছে নাকি?? অন্যদিকে চীন তো সহযোগী টিকা উৎপাদন কারী হবার প্রস্তাব করেছিলো সেটা কেন ফিরিয়ে দেয়া হয়েছিল মিঃ মিনিস্টার??
    Total Reply(0) Reply
  • Asraf Malek ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩১ পিএম says : 0
    পাপন যা বলেছে ঠিক বলেছে পেটে ভাত না থাকলে মিষ্টি কথায় পেট ভরে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Rana ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩১ পিএম says : 0
    পাপন জীবনে একটা সত্য কথা বলেছে এটা নিয়েও রাজনীতি হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Abdul Majed ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩১ পিএম says : 0
    টাকা দিয়ে কি এখন হুজুর হুজুর করতে হবে?আপনারা হার্ডলাইনে জান দেখবেন ভারতের বাপে পর্যন্ত ভ্যাক্সিন দিবে।পাকিস্তানের সাথে হাত মিলান দেখবেন সব বাহানা চলে যাবে। এক সপ্তাহর মধ্যে ভ্যাক্সিন পাবেন ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Ripon Khan ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩২ পিএম says : 0
    ভারত বাংলাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে কিন্তু টিকা দেয়নি এখনো,,,পাপন তো ঠিকই বলছে।,এভার তো ভারতের দালালী ছাড়েন আর কত।
    Total Reply(0) Reply
  • রেজাউল করিম ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩২ পিএম says : 0
    মন্ত্রীসাহেবের কথায়তো মনে হচ্ছে ভারত থেকে দান চাচ্ছে।টাকা অগ্রিম নিয়ে যথাসময়ে টিকা দেবে না এটা গ্রহনযোগ্য নয়।
    Total Reply(0) Reply
  • এক টুকরা কালো মেঘ ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩২ পিএম says : 0
    পাপন স্যার ঠিক কথা বলছে। ১ বছর আগে টাকা দিয়ে রাখা হয়ছে। যদি আমার দেশের ঠিক সময় ব্যাকসিন না পাই। তাহলে পরে ভ্যাকসিন দিয়ে কি করবে?
    Total Reply(0) Reply
  • Pranay Barua ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১০:৩৩ পিএম says : 0
    আমাদের দেশে টিকা বানানোর অনুমোদন দেওয়া হলো না কেন। একটি বছরে আমরা কি সাফল্য অর্জন করতে পারতাম না? এখন কেন হাত তুলে ভিক্ষা করতে হবে। এটা দেশের অবনতি ঘটে নাই? আমরা কি পারতাম না টিকা বানানোর ট্রায়ালে যেতে।এত উন্নতির বুলি মারেন, আসল জায়গায় কেন উন্নতি হয় না। ভিক্ষুকের মতো করে তাদের কাছে চাইতে হয়?
    Total Reply(1) Reply
    • ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১১:৪৬ পিএম says : 0
  • Kawsar Jahan Sarker ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৩ এএম says : 0
    পাপনের কথা ঠিক আছে। অগ্রিম টাকা নিয়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ বন্ধ করার অধিকার ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Amran Hossain ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৩ এএম says : 0
    ভারতের উপর নির্ভর করা ঠিক হয়নি। বাংলাদেশের উচিৎ ছিল একসাথে তিন, চারটা দেশ থেকে করোনার টিকার জন্য চুক্তি করা। এতে সহজে বুঝতে পারা যেত কোনটা দ্রুত কাজ করে।
    Total Reply(0) Reply
  • S.U. Rubel ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৪ এএম says : 0
    ”টাকা দিয়েছি, টিকা আটকানোর অধিকার সেরামের নেই: পাপন পাপন বলেন, ভারত যে বাংলাদেশের বন্ধু, সেটা এখন বিবেচনা করার সময় এসেছে। মিষ্টি কথায় সব চলবে না। ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে হবে।” শুধু মাত্র বেক্সিমকের হয়ে কথা না বলে সরকারে থাকা বাকীরাও যদি এমন আওয়াজ দিত, কিছুটা কাজ হলেও হত মনে হয়.... কথা ঠিক কিনা.
    Total Reply(1) Reply
    • ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৪৪ এএম says : 0
  • Mohammad Alamin ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৫ এএম says : 0
    পাপনের সময়ের সঠিক কথা। সচরাচর এমন হয় না।ন্যায্য দাবিতে গোলামী কেন করব।তবে যাই হওক সাইড এফেক্ট যাতে না হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রীর খেপার কোনো কারণ দেখছি না।
    Total Reply(0) Reply
  • a+aman ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:৩৫ এএম says : 0
    This papon guy should focus on his easy life with cricket , why he is talking such an important issue like vaccine !
    Total Reply(0) Reply
  • মাওলানা মামূনুর রশীদ ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:৪৯ এএম says : 0
    হলুদ সাংবাদিকগণ এখন নিরবতা পালন করবেন। চিমটি কেটেও তাদের ঘুম ভাঙ্গানো যাবে না। অথচ হেফাজত নিয়ে লেখতে লেখতে তাদের কলমের কালি শেষ হয় না।
    Total Reply(0) Reply
  • ash ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ৫:১৮ এএম says : 0
    KOTO GULO ......................... DESH TAKE CHALACHE !! R LUTE PUTE KHACHE
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ