পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলে বাংলাদেশের বাজারে চলতি বছরের চার মাসে দুই দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। এবার মাত্র এক মাসের ব্যবধানে সরকারের কাছে আবারও ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে আমদানিকারক এবং পরিশোধন ও বিপণন কোম্পানিগুলো। তবে চলতি রমজানে ভোজ্যতেলের দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সায় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। কর্মকর্তারা জানান, প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা করার বিষয়ে একটি প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্যবৃদ্ধিকে কারণ হিসাবে দেখিয়েছে তারা।
তবে আগামী রোজার ঈদের আগে দাম বৃদ্ধির প্রস্তাবে সায় দেয়ার কোনো চিন্তা সরকারের নেই। কোন কোম্পানি ইচ্ছায় সরকারের বেঁধে দেয়া দামের চেয়ে বেশি দামে বিক্রি করলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে নতুন দরের বিষয়ে একটি চিঠি দেয় ভোজ্যতেল উৎপাদনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। আইন অনুযায়ী, দাম বাড়ানোর আগে তা ট্যারিফ কমিশনকে জানাতে হয়। সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে প্রতি ১৫ দিন পরপর নতুন দাম ঠিক করার কথা ছিল। চিঠি সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্যতেলের মূল্য পুনর্র্নিধারণের জন্য সমিতির পক্ষ থেকে গত ১০ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ট্যারিফ কমিশনে প্রস্তাব পাঠানো হয়। এতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছিল ১৫০ টাকা। সমিতির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ট্যারিফ কমিশন ২৯ মার্চ মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি পর্যালোচনায় রয়েছে বলে জানায়। সমিতি বলছে, এর মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিন তেলের দাম আরও বেড়েছে।
নতুন দর অনুযায়ী, প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১২২ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল ৬৮৫ টাকা এবং পাম সুপার তেল ১১৩ টাকায় বিক্রি হবে। এতে খোলা সয়াবিনের দাম বাড়বে লিটারে ৫ টাকা। পাঁচ লিটারের বোতলে বাড়বে ৫৫ টাকা। পাম সুপার তেলের দাম বাড়বে লিটারে ৪ টাকা। অবশ্য বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোম্পানিগুলো এখনো দাম বাড়ায়নি।
বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কথা বলে বাংলাদেশের বাজারে চলতি বছরের চার মাসে দুই দফায় ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে নিয়েছে ব্যবসায়ীরা। গত ১৭ ফেব্উয়ারির পর আরেক দফায় ১৫ মার্চ প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ৪ টাকা বাড়ানো হয়। এখন সেটা আরও ৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৪ টাকা করতে চান ব্যবসায়ীরা।
গত বছরের শেষ দিকে বাজারে খোলা সয়াবিন তেল ছিল প্রতি লিটার ৮৫ টাকা থেকে ৯০ টাকা যা এখন ১২০ টাকারও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দামও ছিল ৯৫ টাকা থেকে ১০০ টাকার মধ্যে যা এখন ১৩৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং রমজান মাসে ভোজ্যতেলের দাম সহনীয় রাখতে গত ১০ এপ্রিল সয়াবিন ও পাম তেল আমদানিতে ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহর করে নেয় এনবিআর। কর ছাড়ের পরও দাম কেন বাড়ছে জানতে চাইলে শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বিপণনকারী সিটি গ্রুপের পরিচালক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, বিশ্ববাজারে দাম অনেক বেশি।
আমরা সরকারের অনুরোধে ও মানুষের কথা চিন্তা করে ছাড় দিয়ে মূল্য প্রস্তাব করেছি। এই দর শিগগিরই কার্যকর হবে। বাংলাদেশে খোলা যেসব ভোজ্যতেল ব্যবহার হয়, তার ৭০ শতাংশই পাম সুপার। আগে এর প্রতি লিটারের দাম ছিল মিলগেইটে (খোলা) ৯৫ টাকা, পরিবেশক পর্যায়ে ৯৮ টাকা এবং খুচরা বাজারে ১০৪ টাকা। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানান হয়, গত জুলাই মাস থেকে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম বাড়ছে। প্রতি টন ৮০০ থেকে ৯০০ ডলারের মধ্যে থাকা সয়াবিন তেল এখন ১১শ’ ডলারেরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।