পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাংলাদেশে উচ্চ ফলনশীল ও পুষ্টি সমৃদ্ধ আবহাওয়ায় অভিযোজন সম্পন্ন নতুন এক তেলজাত ফসলের নাম পেরিলা। মূলত দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া তথা দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, চীন, নেপাল, ভিয়েতনামসহ ভারতের কিছু অঞ্চলে এর চাষ হয়। এটি Lamiaceae (Mint Crop) পরিবারের ফসল। বৈজ্ঞানিক নাম Perilla frutescens। স¤প্রতি বাংলাদেশের আবহাওয়ায় এ ফসলের সফল অভিযোজন সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ^বিদ্যালয়ের (শেকৃবি) একদল গবেষক।
গত রোববার জাতীয় বীজ বোর্ড ‘সাউ পেরিলা-১ (Golden Perilla BD) নামে পেরিলার নতুন এ জাতটি নিবন্ধন প্রদান করেছে। সারা দেশেই এ ফসল উৎপাদনক্ষম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এটি কোরিয়ান পেরিলা নামেই পরিচিত। শেকৃবি কৃষিতত্ত¡ বিভাগের অধ্যাপক ড. এইচ এম এম তারিক হোসাইনের তত্ত¡াবধানে কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম মজুমদার পিএইচডি গবেষণায় পেরিলা নিয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন। গোল্ডেন পেরিলার নিবন্ধন প্রত্যয়নপত্রে বলা আছে, ‘পেরিলা একটি ভোজ্যতেল ফসল যার শতকরা ৬৫ ভাগই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এর তেল আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী। বিশেষ করে হৃদযন্ত্র, মস্তিষ্ক ও ত্বকসহ ডায়াবেটিস রোগে এটি কার্যকর ভূমিকা পালন করে।।’
ড. এইচ এম এম তারিক হোসাইন ইনকিলাবকে বলেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সহযোগিতায় আমরা এ ফসল সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে চাই। জুলাই এর মাঝামাঝি সময় থেকে অক্টোবর এর মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত যেহেতু এ ফসল চাষ উপযোগী সেহেতু উক্ত সময়ের আগেই আমরা কৃষকদের নিয়ে এ ফসল ছড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করতে চাই। তিনি জানান, পেরিলার পাতা সবজি হিসেবে ও বীজকে তেল উৎপাদনে কাজে লাগিয়ে প্রধানত দুইভাবে এর ব্যবহার করা যায়। ফুল আসলে পেরিলা খেতে মৌমাছির ব্যাপক আনাগোনা বাণিজ্যিকভাবে মধু চাষেও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে দেশে পেরিলার চাষ বিস্তৃত করতে পারলে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টর আরো সমৃদ্ধ হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।