Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কাজ না করেই বিল ভাগবাটোয়ারা

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদতা | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

চুয়াডাঙ্গার কয়েকজন ঠিকাদার প্রমাণসহ অভিযোগ করেছেন, গত ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের ডে টু ডে প্রকল্পের ২০ লাখ টাকার কোন কাজ না করেই ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়া হয়েছে। এই ভাগ বাটোয়ারা হয়েছে কুষ্টিয়া নির্বাহী প্রকৌশলী ও চুয়াডাঙ্গার তৎকালীন উপ-সহকারি প্রকৌশলী গনেশ চন্দ্র সিংহর মধ্যে।

সূত্র জানায়, কুষ্টিয়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী জলিলুর রহমান, ২০ লাখ টাকার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলায় ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় এবং নিজে ১২ লাখ টাকা রাখে। এই টাকাগুলো মূলত হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ প্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় হওয়ার কথা। কিন্তু চুয়াডাঙ্গা জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে নিজস্ব কয়েকজন ঠিকাদারের প্যাড ব্যবহার করে বিলের টাকা ওঠিয়ে নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওই উঠিয়ে নেয়া বিলের মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জনের দফতরে নতুন এয়ারকন্ডিশন সরবরাহের বিলও রয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন এ.এস.এম. মারুফ হাসান বলেন, এই দফতরে কোন নতুন এয়ারকন্ডিশন লাগানো হয়নি। জেলা হিসাবরক্ষণ কার্যালয় থেকে বিলের টাকা ওঠিয়ে নেয়ার প্রমাণ দেখালে তিনি স্তম্ভিত হয়ে যান।
এ প্রসঙ্গে উপ-সহকারি প্রকৌশলী গনেশ চন্দ্র সিংহ বলেন, যে কোন কারণে এটা একটা ভুল হয়েছিলো। সিভিল সার্জন বলার পরে সেটা অন্যভাবে সমাধান করে দেয়া হয়েছে। সমাধানের কথা বলার পরও ওই দফতরে কোন নতুন এয়ারকন্ডিশন লাগানো হয়নি।

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী জলিলুর রহমান বলেন, কাজ না করে বিলের টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেয়ার বিষয়টি ঠিক নয়। বিলের টাকা ওঠাতে হলে কাজ তো করতেই হবে। চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজ না করে বিলের টাকা উঠিয়ে নেয়ার প্রমাণের ব্যাপারে বললে, তিনি বলেন এটা কিভাবে সম্ভব বুঝতে পারছি না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ