পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই জনগণ টিকা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এতো বড় একটা বৈর্শ্বিক মহামারী, বিপর্যয়ে সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের কারণে জনগণ টিকা পাচ্ছে না এবং আরও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। এর পেছনে আর্থিক সম্পর্ক রয়েছে। অবশ্যই এটা একটা অপরাধমূলক কাজ। এ কাজের জন্য তাদেরকে (সরকার) ভবিষ্যতে বিচারের সম্মুখিন হতে হবে। সোমবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আমরা বহুবার কথা বলেছি। সরকার তখন কোনো কর্ণপাতই করেনি। আমরা তখনই বলেছিলাম যে, শুধুমাত্র ভারত থেকে ভ্যাকসিন না নিয়ে এসে একই সঙ্গে আরো কয়েকটি দেশের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করা এবং তাদের কাছ থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়া। আজকে কী অবস্থা দাঁড়িয়েছে? এখন নতুন করে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করা শুরু করেছে। এটা সংগ্রহ করতেও তো লেগে যাবে ৪/৫/৬ মাস। আজকে থেকে প্রথম ডোজ দেওয়া বন্ধ করে দিতে হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৬০ লাখ মানুষ টিকা পেয়েছেন-এটা প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে। প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করার মানেই হলো টিকা আর নেই।
তিনি বলেন, যেখানে সাড়ে ১২ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেটেড করে হার্ড ইউমেনিটি আনা প্রয়োজন সেখানে সরকারের অযোগ্যতা, ব্যর্থতা, দুর্নীতি এবং তাদের প্রোফিট করার মানসিকতা, নিজেদের লোকগুলোকে আর্থিকভাবে সুবিধা পাইয়ে দেয়ার জন্য দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে গোটা জাতিকে বিপদগ্রস্থ করে ফেলা হয়েছে। এটা ক্রিমিনাল অফেন্স এবং এ কারণেই সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।
চলমান ‘লকডাউনে’ ‘দিন আনে দিন খায়’ দরিদ্র নি¤œ আয় মানুষজনকে সরকার কোনো সহযোগিতা করেনি অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের দায়িত্বটা কী? প্রয়োজনে, প্রাকৃতিক বিপর্য়য়ে যদি এসব মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে না পারে তাহলে তারা কোন কাজটা করছে। তারা শুধু একটা কাজই করছে- ভিন্নমতকে দমন করছে এবং একই সঙ্গে দুর্নীতি করছে, দুর্নীতির পাহাড় গড়ে তুলছে। তিনি অবিলম্বে দুঃস্থ মানুষদের আর্থিক প্রণোদনার জন্য আহবান জানান।
কোভিড মোকাবিলায় সরকার আন্তরিক নয় মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, পাশ্বর্বতী দেশের মতো আমরাও এদেশে আশঙ্কা বরাবরই করছি। এটা সরকারের চরম ব্যর্থতা। আমরা জানি সমস্যা আছে, এখানে জনসংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু ন্যূনতম আন্তরিকতাটা কোথায়? এই ভ্যাকসিন আনার ক্ষেত্রেও চরম দুর্নীতি করেছেন। অন্যদিকে হাসপাতালগুলোতে যে কা--কারখানা হয়েছে, কিভাবে চুক্তি হয়েছে, ফলস রিপোর্ট দেয়া হয়েছে, ৯৪০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে কয়েকটি হাসপাতালে। এটা তো তাদের চরম ব্যর্থতা। এয়ারপোর্টে দশমাস ধরে পড়ে থাকলো করোনা চিকিৎসার যন্ত্রপাতি, সেগুলো ছাড় করতে পারেনি, হাসপাতাল উধাও হয়ে গেলো, সেখানে আবারো পয়সা মারতে নতুন করে হাসপাতাল তৈরি করা হচ্ছে। এই সরকার তো জনগণের সরকার নয়, জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়বন্ধতা নেই।
সরকার লকডাউনের লেজে-গোবরে অবস্থা তৈরি করেছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার নিজেরাও জানে না কি করবে, কী করবে না। গতবার যেমন পুলিশ বাহিনী, একসময় সামরিক বাহিনীও রাস্তায় নেমেছিলো, কন্ট্রোল করছিলো। এবার কিন্তু লকডাউন বাস্তবায়ন করার জন্য পুলিশ বাহিনী ছাড়া আর কেউ নেই। পুলিশ নিরাপদ দূরত্বে থেকে বলছে যে, আমরা অসহায়। কি করব বলুন? কিছু নিয়ন্ত্রণ করার তো উপায় নেই। দ্বিতীয় দিন থেকে অসংখ্য গাড়ি নেমেছে। ঢাকা শহরে কেউ বলবে না লকডাউন আছে? সরকারের চরম ব্যর্থতা।
তিনি বলেন, জনগণের প্রতি সরকারের দায়বদ্ধতা নেই, তারা তাদের সম্পদ বৃদ্ধি করছে, বিভিন্ন দেশে বাড়ি-ঘর তৈরি করছে এবং করোনাকালে স্বাস্থ্যখাতে তারা ২/৩ শ কোটি টাকা মালিক হয়েছে।
ফেইসবুকে ভুয়া একাউন্টের প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ফেইসবুকে ইদানিং আমার নিজের নামে ফলস ফেক একাউন্ট সৃষ্টি করে বিভিন্ন রকমের প্রচারণা চালানো হচ্ছে। একই সঙ্গে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেবের পরিবার এবং দেশনেত্রী নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যদের নামেও ভুয়া একাউন্ট তৈরি করে মিথ্যা সংবাদ মিথ্যা প্রচারণা চালানো হয়। আমরা এটার আগেও নিন্দা জানিয়েছি, আজো নিন্দা জানাচ্ছি।এই বিষয়টার সঙ্গে পুরোপুরিভাবে সরকারের মদদ আছে এবং সরকারের মদদপুষ্ট দুস্কৃতিকারীরা এই সমস্ত ঘটনা ঘটাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।