Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ভারতে কমান্ডো পাঠিয়ে টিকা আনতে পারব না

সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০০ এএম

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে চুক্তি অনুযায়ী করোনাভাইরাসের টিকা পেতে ‘সরকারের জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া উচিত’- বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসানের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত পর্যায়ে টিকা সরবরাহের জন্য আলাপের পরও তিনি (পাপন) কী চান আমি বুঝতে পারছি না।

তিনি বলেন, টিকা আনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা হয়েছে। আর টিকার জন্য সরকার টাকা দিয়ে দিয়েছে। এখন আনার দায়িত্ব এজেন্টের। গতকাল রোববার তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা ভারতে কোনো কমান্ডো পাঠিয়ে জোর করে সেরাম থেকে টিকা নিয়ে আসতে পারব না। আমাদের সেই সক্ষমতা নেই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না আসলে এটা তিনি কেন বললেন। আমরা পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে, সচিব পর্যায়ে কথা বলছি। রাষ্ট্রদূতকে প্রতিদিন বলা হচ্ছে, তিনি প্রতিদিন দিল্লি থেকে চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীও টিকার ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করেছেন। এরপর আর কী থাকতে পারে?

আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা কোনো কমান্ডো পাঠিয়ে জোর করে সেরাম থেকে টিকা নিয়ে আসতে পারব না। আমাদের সেই সক্ষমতা নেই। তবে উনারা যেহেতু সেরামের একটা অংশীদার, শেয়ার হোল্ডার, উনারা চুক্তি করেছেন, সুতরাং তাদের উচিত সেরামকে চাপ দেওয়া। সেটা করছে না কেন? খালি সরকারের ওপর ছেড়ে দেয়, সরকার তো পয়সা দিয়ে দিছে পুরোপুরি। এখন এটা তাদের দায়িত্ব, তারা এজেন্ট, তারা চেষ্টা করুক। সরকার যদি চেষ্টা না করে বসে থাকত তাহলে?

২০২০ সালের নভেম্বরে সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তিন কোটি ডোজ করোনাভাইরাসের টিকা কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ। বেক্সিমকো ফার্মা ওই টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী প্রতি মাসে ৫০ লাখ ডোজ করে ছয় মাসে তিন কোটি ডোজ টিকা পাওয়ার কথা ছিল বাংলাদেশের। জানুয়ারিতে ৫০ লাখ ডোজ দেওয়ার পর ভারতে ব্যাপক সংক্রমণের মধ্যে বিপুল চাহিদা তৈরি হয়। অন্যদিকে বিশ্বজুড়ে টিকার সংকটের কারণে ফেব্রুয়ারির চালানে বাংলাদেশ ২০ লাখ ডোজ হাতে পায়। এরপর আর কোনো টিকা আসেনি।

ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার বাংলাদেশে টিকা আমদানী বন্ধ করে দেয়ার পর গত শনিবার (২৪ এপ্রিল) করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে বলেন, ‘সেরাম থেকে টিকা পাওয়ার ব্যাপারে সরকারের আর চুপ করে থাকার উপায় নেই।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ভারতের টিকা পাওয়ার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নানাভাবে চেষ্টা করা হলে নয়া দিল্লির পক্ষ থেকে বারবার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে ঠিক কবে টিকা বাংলাদেশে পাঠানো হবে সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা দেয়নি ভারত। সবশেষ ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী নয়া দিল্লি থেকে ঢাকায় ফিরে গত শনিবার (২৪ এপ্রিল) সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সহসাই পাওয়া যাচ্ছে না মর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে জানায়। একইসঙ্গে হাইকমিশন ভারতের বায়োটেকের উদ্ভাবিত ‘কোভ্যাক্সিন’ বাংলাদেশে যৌথ উদ্যোগে উৎপাদনের প্রস্তাব দেয়। ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ