পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক মাস আগে অপহৃত ট্রাক চালকের লাশ পাওয়া গেছে পাহাড়ি এলাকার একটি ডোবায়। শনিবার গভীর রাতে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা চৌধুরী খিলে পাহাড়ের পাদদেশে ডোবা থেকে আজিজুল হক (২৫) নামে ওই ট্রাক চালকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের দেওয়া তথ্যেই আজিজুলের লাশ পাওয়া গেছে। আজিজুলের বাড়ি রাঙ্গুনিয়ার রানীরহাটের ইসলামপুর এলাকায়। গত ২৫ মার্চ থেকে তার নিখোঁজ থাকার কথা জানিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিল পরিবার। জিডির তদন্ত করতে গিয়ে পুলিশ বুঝতে পারে, আজিজুলকে অপহরণ করা হয়েছে। পরে ৬ এপ্রিল ওই জিডি ‘অপহরণ’ মামলায় রূপান্তর করা হয়।
তদন্ত করতে গিয়ে কক্সবাজারের রামু থেকে আজিজুলের মোবাইল ফোন ও ট্রাকটি উদ্ধার করে পুলিশ। সেখান থেকে নাসির নামে একজনসহ দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে শনিবার দুপুরে স›দ্বীপ থেকে গ্রেফতার করা হয় নেজাম উদ্দিন ওরফে নিজামকে। নিজামই এ হত্যাকান্ডের ‘হোতা’। রাঙ্গুনিয়া উপজেলার পোমরা এলাকায় তার বাড়ি। গ্রেফতার বাকি দুজনের বাড়ি কক্সবাজারের রামুতে।
নিজামকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাতে থানার ওসি মাহাবুব মিল্কী বলেন, গ্রেফতার নিজামও পেশায় ট্রাক চালক। তার সাথে আজিজুলের বিভিন্ন বিষয়ে বিরোধ ছিল। তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেই ২৫ মার্চ রাতে নিজাম তার বাড়িতে বালু নেয়ার কথা বলে আজিজুলের ট্রাক ভাড়া করে। ট্রাক থেকে বালি নামানোর পর ট্রাকের চাকা খোলার রড দিয়ে মাথার পেছনে আঘাত করে আজিজুলকে হত্যা করে নিজাম। পরে ঘটনাস্থল থেকে অন্তত ২০ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ি এলাকায় নিয়ে লাশটি ডোবায় ফেলে দেওয়া হয়। আজিজুলের ট্রাকটি বিক্রি করে দেয়ার জন্য নিজাম সেটি রামুতে নিয়ে একটি গ্যারেজে রেখে দেয়। মোবাইল ফোনও বিক্রি করে দেয়। তার সূত্র ধরেই পুলিশ এ হত্যা রহস্য উদ্ঘাটন করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।