পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে প্রতিদিন মৃত্যুর পারদ কিছুটা নিম্নমুখি হয়েছে। তিন ডিজিট থেকে মৃত্যু দুই ডিজিটে নেমে এসেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১০ হাজার ৯৫২ জনের। নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬৯৭ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ জন। গতকাল শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগের দিন করোনায় মৃত্যু হয় ৮৮ জনের। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর গত ১৯ এপ্রিল রেকর্ড ১১২ জনের মৃত্যু হয়। মূলত ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষের দিন প্রথমবারের মত দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ৯০ ছাড়িয়ে যায়। এর দুই দিনের মাথায় তা একশ ছাড়িয়ে যায়। ১৬ থেকে ১৯ এপ্রিল চার দিন দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল একশর বেশি। ১৪ থেকে ২২ এপ্রিল টানা ৯ দিন পর দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা নিম্নমুখি হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৭৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৬ লাখ ৫৩ হাজার ১৫১ জন। সারাদেশে সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩৫০টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা হয়েছে।
দেশে রয়েছে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২২টি, জিন এক্সপার্ট ৩৪টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ১৯৪টি। এসব ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ২০ হাজার ২২৮টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ২০ হাজার ৫৭১টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৩ লাখ ২৩ হাজার ৫৭৯টি। এতে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ১১ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৭ দশমিক ৯৮ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৮ শতাংশ।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, ২৪ ঘণ্টায় মৃত ৮৩ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৫২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৩ জন, খুলনা বিভাগে ৫ জন, বরিশাল বিভাগে চার জন। এছাড়া রাজশাহী, সিলেট, রংপুর বিভাগে ৩ জন করে ৯ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৫৩ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ২৮ জন, বাড়িতে দুই জন। মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৫৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৫ জন রয়েছেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন ৫৫৯ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ২৭২ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ১৯ হাজার ৭২৯ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন ১ লাখ ২৭৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ১৯ হাজার ৪৫২ জন।
এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে করোনা শনাক্ত হয় ৭ হাজার ৬২৬ জন। যা দেশে একদিনে করোনা শনাক্তে সর্বোচ্চ রেকর্ড। আর গত ৬ এপ্রিল একদিনে করোনা শনাক্ত হয়েছিল ৬ হাজার ২১৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।
বিশ্বে শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ১৪ কোটি ৪৯ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৩০ লাখ ৭৬ হাজারের বেশি মানুষের। জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে ৩৩তম স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ৩৭তম অবস্থানে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।