পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার কাছে হার মানলেন আরো এক চিকিৎসক। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গতকাল মৃত্যুবরণ করেছেন ‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টারের (এনআইএলএমআরসি) এর প্রথম পরিচালক প্রফেসর ডা. আবুল খায়ের মোহাম্মদ শামছুজ্জামান।
গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে রাজধানীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. ফারুক আহমেদ জানান, করেনা সংক্রমনে ডা. শামছুজ্জামানের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেটা আর ঠিক হয়নি। এছাড়া তার ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, ওবেসিটি সমস্যা ছিল। তার বয়সও ছিল ঝুকিপূর্ণ সময়ের অন্তর্গত।
জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ডা. একেএম শামসুজ্জামান। পরে ১০ এপ্রিল তাকে শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেয়া হয়। এরই মধ্যে আবার শারীরিক অবনতি হলে তাঁকে তিন দিন লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। এরই মধ্যে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। পরে আবারো আইসিইউতে নিতে হয়, সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল সকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
প্রফেসর ডা. একেএম শামসুজ্জামানের প্রথম নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন এন্ড রেফারেল সেন্টার প্রাঙ্গনে। এসময় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলমসহ উধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে তাঁর লাশ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছিলেন প্রফেসর ডা. একেএম শামসুজ্জামান। করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরুর পর থেকে নমুনা পরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এই প্রতিষ্ঠান। এর আগে তিনি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) পরিচালক এবং রোগতত্ত¡ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ এবং মুগদা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ছিলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ২২ তম ব্যাচের প্রথম স্থান অর্জনকারী শিক্ষার্থী।
ডা. এ কে এম শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ রিপোর্টার্স ফোরাম। এক শোক বার্তায় ফোরামের সভাপতি তৌফিক মারুফ এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ রাব্বি বলেন, ডা. শামসুজ্জামানের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দায়িত্বশীল মেধাবী, কর্তব্যনিষ্ঠ চিকিৎসক হারাল। তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ। সংগঠনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন এবং মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধরী তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।