Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কৃষকের স্বপ্ন বাম্পার ফলন

রাঙ্গুনিয়ার গুমাইবিলে বোরো চাষ

নুরুল আবছার চৌধুরী, রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া গুমাইবিলে বিদ্যুৎ সরবরাহ ভাল থাকায় এবার কৃষকরা বোরো ধান চাষ করতে সফল হয়েছেন বলে কৃষকদের কাছ থেকে জানা গেছে। সবুজ ধান ধুলছে গুমাইবিলে। ৩ হাজারের বেশি কৃষক স্বপ্ন বোরো ধানের বাম্পার ফলনের। কর্ণফুলি নদীর পানি সরবরাহের মাধ্যমে উর্বর জমিতে গুমাইবিলের বোরো ও আমন ধানসহ বছরে দুইবার ফসল উৎপাদিত হয়। প্রবাদ আছে দেশের আড়াই দিনের খাদ্য উৎপাদন হয় এই গুমাইবিল থেকে।

জানা যায়, গত মৌসুমে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়েছে প্রায় ১৭ হাজার মেট্রিক টন। এতে গুমাইবিলের সাড়ে তিন হাজার হেক্টর থেকে উৎপাদিত ধানের বাম্পার ফলনে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। ১৯৪৫ সালে আব্দুর বারী তালুকদারের মেধায় ও চেষ্টায় এই গুমাইবিল সংস্কার করে আধুনিক চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছিল।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবার গুমাইবিলসহ উপজেলার অন্যান্য জমিগুলিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৮৪০ হেক্টর জমি।
গুমাইবিলের কৃষক মো. জাফর বলেন, এ বছর ৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করেছি। এর মধ্যে ১ হেক্টর বিন্নি ধান করেছি। কৃষি অফিসের উপ-সহকারিদের পরামর্শে হাইব্্িরট বীজধান ব্যবহার করেছি। জমিতে কীটনাশক থেকে শুরু করে সারসহ সবকিছু ব্যবহার করেছি তাদের পরামর্শে। তাই এবার ভাল ফলনের আশা করছি। গুমাইবিলের আরেক কৃষক চন্দ্রঘোনা আধুরপাড়ার নুরু বলেন, এবার তিনি ১০ কানি জমিতে বোরো চাষ করেছেন। ফলন পাওয়া পর্যন্ত কানি প্রতি প্রায় ৮ হাজার টাকা করে খরচ হয়। সময় মতো বিদ্যুৎ পাওয়ায় জমিতে সেচ দিতে সমস্যা হচ্ছে না। প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত না করলে এ বছর ভালো ফলন পাওয়ার আশাবাদী তিনি।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তা বলেন, কৃষি অফিসের মাঠ পর্যায়ে তদারকি, সময় মতো কীটনাশক প্রয়োগ পোকা দমনে প্রাকৃতিক পদ্ধতি ব্যবহার, কৃষকদের কঠিন পরিশ্রম ও আবহাওয়া ভালো থাকলে এবার বোরো ফলন প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, কৃষক যাতে সমস্যায় না পড়ে সেজন্য সময়মতো বীজ সরবরাহ থেকে সবকিছু ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিয়মিত সার, কীটনাশক ও প্রয়োজনীয় তদারকি অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ