পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে বিরুদ্ধ মত দমনে সরকার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ব্যবহার করছে বলে মন্তব্য করেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন দিয়ে সরকার স্বাধীন ও বিরুদ্ধ মতকে দমন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে একটি নিবর্তনমূলক কালো আইন। সরকার নিজেদের কর্তৃত্ববাদী ও ফ্যাসিবাদী শাসন টিকিয়ে রাখতে এ আইনের অপপ্রয়োগ করছে। গতকাল শুক্রবার বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরের চলতি দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ক্ষমতা জবরদখলকারী সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো নিবর্তনমূলক কালো আইন ব্যবহারের মাধ্যমে দমন-নিপীড়ন চালাচ্ছে। বর্তমান সরকার জনগণের সরকার নয়, বলেই সামান্যতম সমালোচনাও সহ্য করতে পারছে না। এ কালো আইনের মাধ্যমে জনগণের বাকস্বাধীনতা, লেখার স্বাধীনতা, মুক্তচিন্তার স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। জনরোষ থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এ আইনটি ব্যবহার করা হচ্ছে। চলমান বৈশ্বিক অতিমারি করোনার মধ্যেও এ আইনের অপপ্রয়োগ করে নিজেদের ফ্যাসিবাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব আরও বলেন, অনৈতিক সরকারের ব্যর্থতা, অযোগ্যতা, দমন-নিপীড়ন, গণতন্ত্র ও গণবিরোধী কার্যকলাপ এবং ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাকর্মীদের দুর্নীতি, লুটপাট, অনৈতিকতা, অনিয়ম, বেপরোয়া আচরণবিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লেখালেখির জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক, সাংবাদিক, কবি, কার্টুনিস্ট, মানবাধিকার ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও তাদের ওপর ধারাবাহিক নিষ্ঠুর-জুলুম চলছে। গণতান্ত্রিক অধিকার খর্বের পর এখন এ কালো আইন ব্যবহার করা হচ্ছে; যাতে মানুষ নিজেদের কষ্ট ও ক্ষোভ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ব্যক্ত করতে না পারে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুলনার ভোট ডাকাতির নির্বাচনে মেয়র ও তার স্বজনদের দুর্নীতি, অনৈতিক-বেআইনি অপকর্মের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশের জন্য খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি, এনটিভির ব্যুরো প্রধান সিনিয়র সাংবাদিক আবু তৈয়ব মুন্সীর বিরুদ্ধে মিথ্যা-সাজানো মামলা দায়ের, গ্রেফতার ও তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ফেনী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দোলন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সালাউদ্দিন মামুন, ছাত্রদল কর্মী এমরানুল হক ও নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার রামনারায়ণপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল করিম পাটোয়ারী মিন্টুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। যুবদল নেতা আব্দুল করিম পাটোয়ারী মিন্টু ও ফেনীর ছাগলনাইয়া পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন ফারুককে গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ফেনীর ছাত্রদল কর্মী এমরানুল হকের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী সরকারের এসব ন্যাক্করজনক ঘটনা চলমান ভয়াবহ দুঃশাসনের খন্ড চিত্র মাত্র।
খুলনায় সাংবাদিক, ফেনী ও নোয়াখালীর চাটখিলে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, গ্রেফতার-হয়রানির তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ জানিয়ে মির্জা ফখরুল গ্রেফতারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, হয়রানি বন্ধসহ নিবর্তনমূলক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।