বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বিস্তীর্ন মাঠ জুড়েই এখন বোরো ধানের ক্ষেত। চারদিকে পাকা ধানের মৌ মৌ গন্ধে একাকার। বাতাসে দোল খাচ্ছে সোনালী ধানের শীষ। তবে দেশে মহামারী করোনার কারনে ধান কাটা শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। তাই স্বপ্নের কাঙ্খিত পাকা ধান প্রখর রোদে ক্ষেতেই ঝড়ে পরার শংকায় রয়েছে কৃষকরা। তবে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেছেন এ উপজেলা পাঁচটি ধান কাটা মেশিন বরাদ্ধ পেয়েছি। সেব স্থানে ধান কাটার শ্রমিক সংকট দেখা দিবে, সেখানে ধান কাটা মেশিন দিয়ে কৃষকদের সহযোগীতা করা হবে।
কৃষক ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ বছর বোরো চাষের জন্য আবহাওয়া মোটেও অনুকূলে ছিলনা। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কোন বৃষ্টির দেখা মেলেলি। কৃষকরা পুরো মৌসুম জুড়ে পুকুর,খাল আর বিলের পানির উপর নির্ভর করতে হয়েছে। এর পর প্রচন্ড তাপদাহ। এর ফলে কিছু কিছু জায়গার বোর ক্ষেতে চিটা হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এছাড়া ক্ষেতের ধান কাটার জন্য শ্রমিক না পাওয়ায় কৃষক পরিবার গুলো র্দূচিন্তায় পাড়েছে।
কৃষক আমির হোসেন বলেন, তার জমিতে এ বছর বোর চাষ ভালই হয়েছে। তবে প্রচন্ড তাপদাহ খালে পানি শুকিয়ে যাওয়া বাড়ির পুকুর থেকে সেচ করে বোরো ক্ষেতে পানি দিতে হয়েছে। দু’এক দিনে ধান কাটা শুরু করতে হবে। অপর কৃষক মাহাতার মৃধা বলেন, এখন ক্ষেত ভার ধান। করোন কারনে শ্রমিক পাচ্ছিনা। যাদের পাচ্ছি তাদের ও বেশি মুল্য দিতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো.আবদুল মান্নান বলেন, গত বছরের চেয়ে এবছর লক্ষ মাত্রা বেশি নির্ধারন করা হয়েছে। এ উপজেলায় প্রায় ছয় হাজার কৃষক তিন হাজার ৩৪০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ করা করেছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।