বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র ও উপজেলা আ.লীগের সদস্য মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তিনদিন আগে আপনার ভাই সাহাদাত বাড়ির সামনে চকলেট বোমা কতগুলো রেখে একটা নাটক সাজিয়েছে। তাকে নাকি বোমা মেরে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনার ভাই সাহাদাত এমন কোন ঘটনা যে তাকে বোমা মেরে মারতে হবে। এখন আবার গুজব রটানো হচ্ছে। আপনার ভাইয়ের কর্মিরা এবং বাহির থেকে আনা সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণের কথা বলে একটা গুজব রটাচ্ছে। এটা কি হেডমাস্টার মোশারেফ সাহেবের বাড়ি? এটাকি ওবায়দুল কাদের সাহেবদের বাড়ি? নাকি এটা সন্ত্রাসীদের বাড়ি? আমি আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই। নাহলে আপনাদের বাড়ির ঘাটলায়, আপনাদের বাড়ির ভিতরে, আপনাদের সামনে, আপনার বাড়ির পিছনে, আপনার ভাইয়ের অফিসের পিছনে বোমা বানায় কিভাবে সন্ত্রাসীরা। কোম্পানীগঞ্জ কি আপনাদেরকে ইজারা দেওয়া হয়েছে?
বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু নিজের ফেসবুক লাইক ফেইজ থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মঞ্জু কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কাকে হুমকি দিচ্ছেন। কোম্পানীগঞ্জকে শান্ত করতে হলে আপনাকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। কিসের শান্তির বার্তা দিচ্ছেন আপনি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের একজন নেতাকর্মির শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকতে আপনার সাথে কোন বৈঠক হবেনা। আমাদের আর একটা কর্মির গায়ে যদি আঘাত পড়ে আবদুল কাদের মির্জাকে পৌরসভা থেকে নিয়ে আসব। তোকে পৌরসভা থেকে নিয়ে আসবো। যেখানে থাকোস সেখান থেকে নিয়ে আসবো। আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়ান না। বহু ধৈর্য ধরছি আমরা, ভদ্রতা অনেক দে*য়েছি। অনেক সম্মান দেখিয়েছি।
সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দেখতে দেখতে চার মাস দেখেছেন আ.লীগের দুই কর্মী জীবন দিয়েছে। আ.লীগের সভাপতি লাঞ্ছিত হয়েছে, সাধারণ সম্পাদক আজকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার দুটি হাঁটু বিকলকরে দেয়া হয়েছে। আপনি বসে বসে খেলা দেখছেন। কিসের খেলা দেখছেন। আপনি কি আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা নিচ্ছেন। শরীরের সব রক্ত চলে গেলেও কোম্পানীগঞ্জে আপনার ভাই আবদুল কাদের মির্জা ও সাহাদাত এবং আপনার ভাতিজা তাশিককে এখানে অপরাজনীতি করে আ.লীগকে ধ্বংস করতে দেয়া হবেনা। এটা স্পষ্টভাষায় আপনাকে বলে দিচ্ছি। আপনি ব্যবস্থা নেন। না হলে এর শেষ পরিণতির জন্য আপনি দায়ী থাকবেন।
এ সময় সেতুমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যে দুটি হত্যাকান্ড হয়েছে আজকে পর্যন্ত আপনি আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তার মানে হচ্ছে এ হত্যার দায় আপনিও এড়াতে পারেন না। আপনার এসব ডুয়েল স্ট্যান্টবাজি বন্ধ করেন। এর দায় আপনি এড়াতে পারেন না। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে আপনি পদত্যাগ করেন। কাদের মির্জার ছেলে শিবচরে ইলেকশন করতে গিয়ে সাংসদের গাড়ির স্ট্রিকার লাগিয়ে ধরা পড়ে। পরে মন্ত্রী তাকে ফোন দিয়ে রক্ষা করে। ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জের মানুষ একটু জানতে চায়। এ বেয়াড়া ভাই এবং তার ছেলেকে সামলান। কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে জিম্মি করে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে। আপনার ভাই রক্ত পিপাস ুনরপিশাচ ফেসবুকে লাইভে এসে ঘোষণা দিয়েছে সে লাশ ফেলবে। ভাইয়ের কারণে আপনার সম্মান গেছে। এসব নোংরা খেলা বন্ধ করুন। একবার ভাইয়ের পক্ষে একবার আ.লীগের পক্ষে। এসব করে কোম্পানীগঞ্জ ও নোয়াখালীর আ.লীগকে জাহান্নাম বানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, সেতো কুলাঙ্গার, তাকে নিয়ে কথাও বলতে চায়না। এ কুলাঙ্গার আ.লীগ থেকে পদত্যাগ করে এখন ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে কথা বলে, আ.লীগ নিয়ে কথা বলে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করবে। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আর ভাইয়ের সাইনবোর্ড বিক্রি করে আর কত দিন খাবে। আপনাকে আগামীকাল পর্যন্ত সময় দিলাম। এসব ইঁদুর বিড়াল খেলা বন্ধ করেন। যদি বন্ধ না করেন তাহলে পরদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জে লাগাতার আইন অমান্য আন্দোলন চলবে। সে আন্দোলন আপনি রুখতে পারবেন না। আপনাকে অনুরোধ করলাম, পবিত্র রমজান মাসে কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে যে জিম্মি দশায় আছে। এ থেকে মুক্তি দিন। আপনি এসে দ্যাখেন। আপনার ভাইয়ের সন্ত্রসীদের কারণে বসুরহাট বাজারে মানুষ ওঠেনা। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার ভাইয়ের সমস্যার সমাধান করতে না পারেন পদত্যাগ করেন। আপনার কারণে শুধু নোয়াখালীর আ.লীগনয়, সারাদেশের আ.লীগ বিতর্কিত হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।