বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফতুল্লা থানার মুসলিম নগর এলাকায় প্রায় দেড় বছর ধরে একটি পরিবারের উপর অত্যাচারের স্টিমরোলার চালাচ্ছে হোসনেআরা নামক এক অর্থলোভী নারী। জানা গেছে হোসনেআরা এবং তার অপকর্মের সহযোগীদের অত্যাচারে মুসলিম নগরের বাদশা মিয়ার পরিবার এখন রীতিমতো নড়ক যন্ত্রনা ভোগ করছে। হোসনেআরা বাদশা মিয়ার ছেলে মিজানূর রহমানকে ফাঁদে ফেলে বিবাহ করতে বাধ্য করে। পরে সে মিজানূর রহমানের সাথে ঘরসংসার করতে এসে পরিবারের টাকা পয়সা সরাতে থাকে। এ নিয়ে কিছু বললেই সে মিজানূর রহমানকে মারধোর করতো, এমনকি তার বৃদ্ধ মা বাবাকেও মারধোর করতো। হোসনেআরা বাহিরে বহু পুরুষের সাথে অবৈধ সম্পর্ক রাখতো। যখন তখন বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতো এবং তার ইচ্ছে মতো বাড়িতে ফিরতো। ফলে তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে মিজানূর রহমান তাকে ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর তালাক দেয়। মিজানূর রহমানকে বিয়ে করার আগেও হোসনেআরার আরো একাধিক বিয়ে হয়েছিলো। তার প্রমান হোসনেআরার ‘তৈরী করা’ কাবিনেই রয়েছে। হোসনেআরা মিজানুরকে বিয়ে করার সময় একটি আবার বিয়ে পরে আরো একটি কাবিননামা সৃজন করেছে। দ্বিতীয় কাবিনে সে নিজেকে তালাকপ্রাপ্ত হিসাবে উল্লেখ করেছে। এছাড়া সে মিজনূর রহমানকে দুই লাখ টাকার কাবিন লিখে বিয়ে করলেও এখন দশ লাখ টাকা দাবি করছে। তাকে তালাক দেয়ার পর সে এসে তাদের কাছে দশ লাখ টাকা দাবি করে এবং দশ লাখ টাকা দিলে সে তাদেরকে আর হয়রানী করবে না বলে জানায়। আর এই দাবিকৃত টাকা না দিলে এই নষ্ট মহিলা তাদেরকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় এবং শুরু করে তান্ডব। যখন তখন এসে বাড়িতে হামলা ভাংচুর চালায়। থানায়ও একের পর এক মিথ্যা অভিযোগ করে তাদেরকে হয়রানী করে। তবে গত দেড় বছরে থানা পুলিশ সবই জেনেছে। তাই যেহেতু তালাক হয়ে গেছে তাই পুলিশ একাধিকবার চেষ্ঠা করেছে তাকে তার ন্যায্য পাওনা বুঝিয়ে দিতে এবং তাকে সরে যেতে বলেছে। এলাকার পঞ্চায়েতও তাকে বুঝানোর চেষ্ঠা করেছে। কিন্তু তালাক দেয়ার পর সে ওই গ্রামের মাসুম মিয়ার বাড়িতে আশ্রয় নেয়। আর এই মাসুম মিয়ার বাড়িতে থেকেই সে নীরিহ বাদশা মিয়ার বাড়িতে এসে তান্ডব চালাচ্ছে। তাই মাসুম মিয়া (৩৯) কেনো তাকে আশ্রয় দিলো এ নিয়ে গ্রামবাসীর মাঝে নানা গুঞ্জন রয়েছে। সূত্রমতে জানা গেছে মিজানূর রহমানের সাথে বিয়ে হওয়ার আগে থেকেই এই হোসনেআরার সাথে মাসুম মিয়ার সম্পর্ক ছিলো। এক কথায় মাদকাশক্ত এবং পর ধন লোভী এই নারী এখন এতোটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে গোটা মুসুলিম নগর সমাজটাই এখন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পরেছে। সে ওই গ্রামের মুরব্বীদের কাউকে মানে না। মানে না পঞ্চায়েত কমিটিকে। আর স্থানীয় প্রভাবশালীদের মাঝে কোন্দল থাকার কারনে তারাও ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাকে কিছু বলছে না। এতে বদনাম হচ্ছে গ্রামেরও। তাই গ্রামের সাধারন মানুষ এখন নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। তারা মনে করেন নারায়ণগঞ্জের সন্মানিত পুলিশ সুপার যেনো বাদশা মিয়ার এই অসহায় পরিবারটিকে যথাযথ আইনগত সহায়তা দেন। বাস্তবতা হলো বৃদ্ধ বাদশা মিয়া একটি চারতলা ভবনের মালিক। বাড়ির নিচতলায় কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করেন তার ছেলে মিজানূর রহমান। মিজানূর রহমান কিছুটা সরল সহজ ও বোকা প্রকৃতির। তাই সহজেই সুন্দরী হোসনেআরা তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করতে বাধ্য করে। কিন্তু বিয়ের সময় সে নিজেকে কুমারী দাবি করে এবং দুই লাখ টাকা কাবিন করে বিয়ে করে। কিন্তু পরবর্তীতে যখন তাদের মাঝে বিরোধের সৃষ্টি হয় তখন সে মিজানূর রহমানকে ফুসলিয়ে তার পিতার বাড়ি ফরিদপুরে নিয়ে যায় এবং সেখানে নিয়ে তাকে আটকে রেখে মারধোর করে আরো একটি কাবিননামা লিখে। সেই কাবিন নামায় পাঁচ লাখ টাকা উল্লেখ করা হয় এবং নিজেকে আগে তালাকপ্রাপ্তা হিসাবে দাবি করে। তবে জ¦ালিয়াতির মাধ্যমে এই নতুন কাবিন নামা লিখেই সে ফেঁসে যায়। কারন আসল কাবিন নামাতে দুইজনেরই স্বাক্ষর রয়েছে। প্রথম কাবিনে সে নিজেকে কুমারী হিসাবে দাবি করেছে এবং পরের কাবিনে তালাকপ্রাপ্ত হিসাবে দাবি করেছে। কিন্তু নতুন কাবিন নামাতে মিজানূর রহমানের কোনো স্বাক্ষর নেই। আর এখন দাবি করছে দশ লাখ টাকা। মূলত এভাবেই নানা কায়দায় এই নীরিহ পরিবারটিকে নাজেহাল করে চলেছে মাদকাশক্ত উম্মাদ হোসনেআরা। তাই বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে পরিবারটিকে আইনগত সহায়তা দানের জন্য পুলিশ সুপারের প্রতি আহবান জানান ওই গ্রামের সাধারন মানুষ ও ওই পরিবারের সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।