পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা লকডাউনে আবারো বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন শিল্প। ফের লোকসানের শঙ্কায় পর্যটন ব্যবসায়ীরা। স্থবির হয়ে পড়েছে এখানকার পর্যটন ব্যবসা। করোনার হানায় গত বছরের ধাক্কা সামলানোর আগে দুই দফার লকডাউনে হুমকির মুখে পড়েছে পর্যটন শিল্প নির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্য। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখন তিন দফায় লকডাউনের কবলে দেশ। এতে করে অজানা শঙ্কায় রয়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্মচারীরা।
রমজানের কয়েকদিন আগেও কক্সবাজার সৈকত ও হোটেল-মোটেল জোন ছিল লাখো পর্যটকের পদচারণায় মুখর। কিন্তু গত ১ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত কক্সবাজারের পর্যটন স্পটগুলো বন্ধ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসন। এরপর গত ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয় দেশব্যাপী ৭ দিনের লকডাউন। যা শেষ হওয়ার আগেই আরেক দফা বাড়িয়ে এখন চলছে কড়া লকডাউন।
এতে পর্যটক শূন্য হয়ে পড়ে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেল জোন। হোটেল-মোটেলগুলোতে পর্যটকদের নেই কোন আনগোনা। তাই সৈকতে এখন সুনসান নীরবতা। সরকারি নির্দেশনায় হোটেল-মোটেল বন্ধ ঘোষণা না করলেও পর্যটনস্পট বন্ধ ঘোষণা করায় আপনা আপনি পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে হোটেল-মোটেলগুলো।
কবে লকডাউন বিধি নিষেধ শীতিল হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। আসন্ন ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে পর্যটক আসতে না পারলে পর্যটন ব্যবসায়ীদের বড় লোকসান গুনতে হবে এ শঙ্কায় তারা দারুনভাবে শঙ্কিত। হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীরা বলছেন, বিগত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠতে না ওঠতেই ফের লকডাউনের কবলে পড়ে তারা দিশেহারা। লকডাউনে বন্ধ হয়ে গেছে অধিকাংশ হোটেল। বিদায় করে দেয়া হয়েছে হোটেল কর্মচারীদের। সব মিলিয়ে সাড়ে ৪ শতাধিক হোটেল-মোটেল মালিক আবারো বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন। বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৩০ হাজার কর্মচারী। ব্যবসায়ীদের মতে গার্মেন্টস শিল্প কারখানা বাঁচিয়ে রাখতে সরকার সেসব প্রতিষ্ঠান চালু রাখার সিদ্ধান্ত যেমন নিয়েছেন তেমনি পর্যটন শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে কঠোর স্বাস্থবিধি মেনে পর্যটন স্পট খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারে। না হলে এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পড়বে।
হোটেল ক্যাসেল বে-টাচ-এর জিএম আওলাদ হোসেন জানান, হোটেল মালিক ও কর্মচারীরা বর্তমানে চরম মানবেতন জীবনযাপন করছে। সেদিকে সরকারের নজর দেয়া প্রয়োজন। হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ জানান, পর্যটন স্পট বন্ধ করার পর ৩০ হাজার শ্রমিক কর্মচারী খুবই কষ্টের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, আমরা যারা বিনিয়োগকারী ছিলাম আমরা আবার ব্যাংকের দ্বারস্থ হয়েছি। এই পর্যটন শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা সরকারি কোন প্রনোদনা পেয়েছেন কিনা আমার জানা নেই। তাই এই শিল্পের সাথে জড়িতরা শঙ্কায় রয়েছেন। এ শঙ্কা কাটাতে স্বাস্থবিধি মেনে পর্যটন স্পট খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সরকারের কাছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।