পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভ্যাকসিন নেয়ার পরও যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের ঝুঁকি কম। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ^বিদ্যালয়ের একদল গবেষকের গবেষণায় এমন তথ্য জানা গেছে। এতে দেখা গেছে প্রথম ডোজ টিকা নেয়ার পর আক্রান্ত হয়েছেন এমন ৮২ শতাংশ রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে যেতে হয়নি। আবার ১৭ শতাংশ হাসপাতালে ভর্তি হলেও মারাত্মক কোনো ঝুঁকির মুখে পড়তে হয়নি। করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর করোনা আক্রান্ত ২০০ জনের ওপর করা গবেষণা করা হয়।
গবেষণায় দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের করোনা ল্যাবে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষার মধ্যে এক হাজার ৭৫২ জনের শরীরে করোনা পজেটিভ পাওয়া যায়। এরমধ্যে ২০০ জন ছিলেন ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণকারী। তাদের মধ্যে ১৬৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়নি। মাত্র ৩৫ জন রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে কোনো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি লক্ষ্য করা যায়নি।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকলেও ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের মধ্যে ১৭৭ জনের শ্বাসকষ্টের কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। যা ৮৮ দশমিক ৫ শতাংশ। একই সঙ্গে ১৮৪ জন রোগীর জন্য অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহেরও প্রয়োজন হয়নি। এই হার ৯২ শতাংশ। তবে বয়স বিবেচনায় বার্ধক্যজনিত কারণ ও বিভিন্ন কো-মরবিডিটি থাকার কারণে মাত্র ৮ শতাংশ রোগীর শ্বাসকষ্ট ও অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহ প্রয়োজন হয় বলে গবেষণায় উঠে আসে।
এছাড়া ভ্যাকসিন নেয়ার পর আক্রান্তদের মধ্যে যাদের শ্বাসকষ্ট ছিল, তা গড়ে পাঁচদিনের বেশি স্থায়ী হয়নি। তাদের সর্বনিম্ন অক্সিজেন সেচুরেশন ছিল ৯০ শতাংশ। তবে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যারা ভ্যাকসিন নেননি, তাদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন অক্সিজেন সেচুরেশন ছিল ৮৫ শতাংশ বা তার কম। যা আক্রান্ত রোগীদের মৃত্যুর প্রধান কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। গবেষণা দলের সদস্যরা জানান, গবেষণা এখনও চলমান রয়েছে। দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পর রোগীদের মধ্যে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় তাও পর্যালোচনা করা হবে।
বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর গৌতম বুদ্ধ দাশের নেতৃত্বে করোনা টিকার প্রথম ডোজ নেয়া করোনা আক্রান্তদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে এ গবেষণা করা হয়। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চালানো এ গবেষণায় গবেষক দলে আরও ছিলেন প্রফেসর ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রনেশ দত্ত, ডা. সিরাজুল ইসলাম এবং ডা. তানভীর আহমদ নিজামী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।