পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের প্রথম ঢেউয়ের সময় বাংলাদেশ যে কার্যকরি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। স¤প্রতি এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছে আন্তর্জান্তিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক দপ্তরের সহকারী পরিচালক জোনাথন ডি অস্ট্রি বলেন, মহামারির আরেক নতুন ঢেউয়ের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নতুন চ্যালেঞ্জ ও সংক্রমণ বৃদ্ধির ঝুঁকি নিয়ে এসেছে।
বসন্তকালীন বৈঠনের অংশ হিসেবে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে অস্ট্রিকে প্রশ্ন করা হয়, মহামারি মোকাবেলায় সরকারগুলোর কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ। তিনি বলেন, প্রথম ঢেউয়ের সময় বাংলাদেশ যে কার্যকরি পদক্ষেপগুলো নিয়েছিল তা ধরে রাখাই আসল চ্যালেঞ্জ। সরকারকে অবশ্যই মহামারিতে বিপদের মধ্যে থাকা জনগোষ্ঠীকে সাহায্য করে যেতে হবে।
তাদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে দেশের কৃষি খাতের দিকেও সাহায্য বাড়িয়ে দিতে হবে। এটিই এখন চ্যালেঞ্জ।
গত বছরের ৮ মার্চ যখন বাংলাদেশে কোভিড ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে, সরকার তখন ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিল। তা ছিল প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ৫৩ কোটি টাকা অর্থাৎ জিডিপির ৪ শতাংশের বেশি। করোনার প্রথম ঢেউয়ে কৃষক এবং নিম¥ আয়ের মানুষেরা বড় সংকটের মধ্যে দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাদের জন্য যে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল তা পর্যাপ্ত ছিল না।
ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকৃতির উদ্যোগের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষিত হলেও এ বছরের ১৮ মার্চ পর্যন্ত ১৩ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তিনবার ডেডলাইন বাড়ানোর পাশাপাশি অনেক ব্যাংকক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগে ঋণ প্রদানে অনাগ্রহ দেখিয়েছে। অথচ এটিই বাংলাদেশের অর্থনীতি অন্যতম প্রধান ভিত্তি। স¤প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক এ বছরের জুন মাসের মধ্যেই এই অর্থ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে কৃষি খাতে যে ৫ হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা ঘোষিত হয়েছিল তার ৭২ শতাংশ প্রদান করা হয়েছে। অন্যান্য খাতগুলোতেও দেখা গেছে এখনো বড় অংশের প্রণোদনা দেয়া বাকি রয়ে গেছে। কিন্তু বড় ব্যাবসাগুলোর ক্ষেত্রে চিত্র একেবারেই অন্যরকম। সেখানে ব্যাংক প্রায় ৯৫ শতাংশ তহবিল প্রদান করেছে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ৪০ হাজার কোটিতে নিয়ে গেছে।
এর আগে আইএমএফ জানিয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত বাদে সব রাষ্ট্রই মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে উঠছে। এতে সবার আগে আছে বাংলাদেশ। এর পেছনে রয়েছে ধারণার থেকেও বেশি রফতানি এবং বৈদেশিক মুদ্রা। এরফলে ২০২১ সালে বাংলাদেশের জিডিপি হতে পারে ৫ শতাংশের বেশি। এর আগে এটি ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ধারণা করা হয়েছিল। আগামি বছরে অর্থনীতি ৭ দশমিক ৫ হারে বৃদ্ধি পাবে বলেও জানিয়েছে আইএমএফ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।