বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
লকডাউনে এবার ফেনীতে পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে এক রিকশাযাত্রীর হাতাহাতির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। শহরের ট্রাংক রোডের মডেল হাই স্কুলের সামনে ওই যুবককে আটকের সময় পুলিশের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা ও ধস্তাধস্তির এই ঘটনা ঘটে। এরআগে রোববার রাজধানীতে চিকিৎসকের সঙ্গে পুলিশের তুমুল বাকবিতণ্ডার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।
সোমবার ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া তিন মিনিট ৩৮ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একজন রিকশাযাত্রী হঠাৎ করেই হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন লকডাউনে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে।
ভিডিওতে দেখা যায়, ফেনীর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে রিকশায় বসে থাকা মাস্কবিহীন এক যাত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন একাধিক পুলিশ সদস্য। সে রিকশাযোগে শহরের উকিলপাড়া থেকে ট্রাংক রোডের দিকে আসছিল। পুলিশ সদস্যরা চলমান লকডাউনে মাস্ক পরা ও বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে চলাচল করতে তাকে বাধা প্রদান করছিলেন। এ সময় ওই যাত্রীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় এবং তাকে রিকশা থেকে নামতে বলেন পুলিশ সদস্যরা।
একপর্যায়ে তাকে রিকশা থেকে জোরপূর্বক নামানোর পর ওই যুবক গালমন্দ করতে থাকেন। পুলিশ তাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলে কেন পাগল বলা হয় তার কারণ জানতে চায় যুবক। তার হাতে হাতকড়া লাগানোর চেষ্টা করলে চার পুলিশ সদস্যের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। রিকশা থেকে নামিয়ে ফেলা ওই ব্যক্তি বলতে থাকেন, তুই অন্য রিকশা ছারছিস, আমারটা ধরলি ক্যান? একাধারে তিনি পুলিশ সদস্যদের গালাগালি করতে থাকেন।
পরে একপর্যায়ে ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য তাকে হ্যান্ডকাফ পরানোর জন্য জোরপূর্বক মাটিতে ফেলে চাপ প্রয়োগ করে। তারা চিৎকার করে বলতে থাকেন, হ্যান্ডকাফ লাগা, ধর। এ সময় উপস্থিত জনতার তোপের মুখে তারা আবার ওই ব্যক্তিকে ধরে উঠান এবং হ্যান্ডকাফ পরান। এ সময় ওই ব্যক্তি এটা আওয়ামী লীগের দেশ বলে চিৎকার করতে থাকে। পরে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
ঘটনাস্থলে উচ্ছুক জনতার ভিড় জমতে শুরু করলে ওই ব্যক্তি সবার উদ্দেশে বলেন, মসজিদে কোরআন পড়তে যাচ্ছিলাম, বলছি আমাকে ছেড়ে দেন। এ সময় ওই হ্যান্ডকাফ পরতে অস্বীকৃতি জানায় এবং গালাগালিসহ এলোপাথাড়ি হাত-পা ছুড়তে থাকে। একই সময় তিনি উপস্থিত জনতার উদ্দেশে চিৎকার করে ভিডিও করতে বলে।
স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের সাথে মারামারিতে লিপ্ত হওয়া ওই যুবকের নাম শহিদ। তিনি ফেনী সদর উপজেলার মোটবী ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং যুবলীগের সক্রিয় সদস্য।
ফেনী মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ওমর হায়দার জানান, রোববার ফেনী শহরের ট্রাংক রোডস্থ মডেল স্কুলের সামনে থেকে অটক যুবক শহীদের মানসিক সমস্যা রয়েছে। তাকে হাজতখানায় রাখার পর শোরচিৎকার করে সবাইকে অস্থির করে তোলে। একপর্যায়ে তার স্বজনদের ঢেকে আনলে তারা মানসিক সমস্যার কথা জানায়। পরে মুচলেকা নিয়ে তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।