পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ে কর্মরত অন্তত ৩২ কর্মকর্তা-কর্মচারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ কেউ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন সপরিবারে। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর। হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী। বাকিরা বাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। করোনা উপসর্গ নিয়ে গোপনে অনেকে ঘরে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাদের খোঁজ-খবর রাখার মতো সংস্থাটির পক্ষ থেকে বিশেষ কোনো উদ্যোগও নেই বলে জানা গেছে। এ পরিস্থিতে আক্রান্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
দুদক সূত্র জানায়, ‘লকডাউন’ ঘোষিত হওয়ার পরও সরকারি অনেক অফিস-আদালতে ‘জরুরি সেবা’র আওতায় অংশত: চালু রেখেছে। কিন্তু দুদক জরুরি সেবার আওতা বহির্ভূত হওয়া এটির কার্যালয় লকডাউন শুরুর পর থেকেই সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। এ সময় প্রতিষ্ঠানটির কোনো কার্যক্রমেরও আপডেট জানা যাচ্ছে না। তবে লকডাউন ঘোষিত হওয়ার আগে কর্মকর্তাদের অনেকে ভার্চুয়ালি অফিস করতেন।
প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা আক্ষেপ করে জানান, বিগত এক বছর ধরেই সংস্থার মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অনুসন্ধান-তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে করোনায় ত্রাণ কার্যক্রমে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, টিসিবি ডিলারদের দুর্নীতি, ত্রানের চাল-ডাল-তেল আত্মসাৎ অভিযোগের অনুসন্ধান করেন তারা। অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারী আক্রান্ত হয়েছেন। মারাও গেছেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু এই দায়িত্ব পালন এবং মৃত্যুর ঘটনায় সংস্থাটির পক্ষ থেকে কোনো ঝুঁকিভাতা কিংবা কোনো প্রণোদনা দেয়া হয়নি। করোনায় মৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবার-পরিজনের খোঁজ-খবরও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।দুদক সূত্র জানায়, উপ-পরিচালক মোজাহার আলী সরদার, উপ-পরিচালক মাসুদুর রহমান, মাহমুদুর রহমান, সহকারী পরিচালক সিলভিয়া ফেরদৌসসহ অনেকে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে উপ-পরিচালক এম.এ. মাজেদ করোনা আক্রান্ত হলেও ক্রমে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তার স্ত্রী এবং দুই সন্তানও করোনা আক্রান্ত। আক্রান্ত হয়েছে দুদক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব পাভেল। পরিদর্শক মাসুদ রানা করোনা আক্রান্ত হয়ে বাসায় কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। এর আগে পরিচালক বেনজীর আহমেদ, মীর মো.জয়নুল আবেদীন শিবলী, উপ-পরিচালক জহিরুল হুদা, উপ-পরিচালক সেলিনা আক্তার, উপ-পরিচালক সামছুল আলম, সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ ওয়াদুদ, মনিরুল ইসলাম করোনা আক্রান্ত হন। এখনও তারা সম্পূর্ণভাবে সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি। গত একবছর আরো অনেকে করোনা আক্রান্ত হলেও তারা নাম প্রকাশ করতে চাননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।