পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, গোটা বিশ্বের মতো কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আমাদের দেশেও হানা দিয়েছে। কোভিডে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন ভীতিকর হচ্ছে। ইতিমধ্যে ঢাকার সব হাসপাতালের আইসিইউ শয্যা পূর্ণ হয়ে গেছে। প্রতিদিনই আইসিইউ চাহিদা বাড়ছে। এরকম একটি কঠিন সময়ে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় জরুরিভিত্তিতে ডিএনসিসির এই মার্কেটটিকে একটি পুর্ণাঙ্গ কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল হিসেবে উদ্বোধন করা হলো।
এই হাসপাতালে কোভিড রোগীদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা রয়েছে ১০০০ টি। এর মধ্যে পুর্ণাঙ্গ আইসিইউ বেড আছে ২১২ টি, এইচডিইউ শয্যা আছে ২৫০ টি, কোভিড আইসোলেটেড রুম আছে ৪৩৮ টি। এখানে এমার্জেন্সি শয্যা আছে ৫০ টি, যার ৩০ টি পুরুষ ও ২০ টি নারীদের জন্য। এর পাশাপাশি এখানে আরটি পিসিআর ল্যাব, প্যাথলজি ল্যাব, রেডিও থেরাপি সেন্টার,এক্সরে সুবিধাসহ অন্যান্য নানাবিধ সুবিধাদি রয়েছে। গতকাল রাজধানীর মহাখালীস্থ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মার্কেটে (ডিএনসিসি) দেশের সবচেয়ে বড় ১০০০ শয্যার কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালটি উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, মাত্র ২০ দিনের মধ্যে অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে অতি দ্রুততার সাথে এই হাসপাতালটি প্রস্তুত করা হয়েছে। উদ্বোধনকালে হাসপাতালটির ২৬০ টি বেড সচল ছিল। যেখানে আইসিইউ বেড রয়েছে ৬০ টি, ইমার্জেন্সি ৫০ টি, জেনারেল ওয়ার্ড ১৫০ টি। আগামী সাত দিনের মধ্যে আরো আড়াই’শ শয্যা সচল হবে এবং এ মাসের ২৯ তারিখের মধ্যে হাসপাতালটি পরিপূর্ণভাবে সচল হবে বলেও জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
দেশের প্রতিটি হাসপাতালে কোভিড ডেডিকেটেড শয্যা সংখ্য বৃদ্ধি ও সেন্ট্রাল অক্সিজেন সুবিধাদি বাড়ানোর বিষয়টি তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ১০০ টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যাবস্থা চালু করা হয়েছে। আরো ৩৪ টি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যাবস্থা চালুর কাজ চলমান রয়েছে। এর ফলে বর্তমানে দেশে প্রায় ১২ হাজার শয্যায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন ব্যাবস্থা স্থাপন করা সম্ভব হয়েছে। এসব সুবিধাদি নিশ্চয়ই দেশের কোভিড রোগীদের জীবন রক্ষায় বড় ভূমিকা রাখছে। এই হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দিতে ৫০০ চিকিৎসক, ৭০০ নার্স, ৭০০ স্টাফ এবং ওষুধ, বিভিন্ন সরঞ্জামের ব্যবস্থা করছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনায় প্রতিশ্রুতির মাত্র আট মাসের মাথায় শুরু হলো দেশের সবচেয়ে বড় এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতাল এ করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম। ডিএনসিসির মেয়র বলেন, নগরবাসীর স্বাস্থ্য সেবার জন্যই মহাখালীর এই ভবনটিকে হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়েছে। তিনি নিজেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করে সুস্থ্য হয়েছেন উল্লেখ করে সরকারী হাসপাতালের সেবা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন। পাশপাশি সর্বস্তরের জনপ্রনিধিদেরকে দেশের অভ্যন্তরে সরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহণের জন্য উৎসাহিত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক প্রফেসর ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এডজুটেন্ট জেনারেল মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ, এফসিপিএস ডিরেক্টরেট জেনারেল মেডিকেল সার্ভিসেস মেজর জেনারেল মো. মাহাবুবুর রহমান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঞ্জুর আহমেদ, এইচইডি’র চীফ ইঞ্জিনিয়ার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল বশির এবং ডিএনসিসি কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম নাসির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।