পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণ রোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন শেষে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা। তাঁরা বলেছেন, ৫৩ লাখের বেশি দোকানদার ও প্রায় ২ কোটি ১৪ লাখ শ্রমিক-কর্মচারীর জীবন ও জীবিকার স্বার্থে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া প্রয়োজন। রাজধানীর নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির কার্যালয়ে গতকাল আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চলমান আট দিনের লকডাউন শেষে দোকানপাট ও বিপণিবিতান খুলে দেয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির মহাসচিব মো. জহিরুল হক ভ‚ঁইয়া।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থে আট দিনের কঠোর লকডাউনের সিদ্ধান্ত আমরা ক্ষুদ্র পুঁজির ব্যবসায়ীরা মেনে নিয়েছিলো। তবে আমরা দেখলাম লকডাউনে তৈরি পোশাকসহ সমস্ত শিল্পকারখানা চালুর রাখার সিদ্ধান্ত দিল সরকার। ব্যাংক, বিমা ও শেয়ারবাজার খুলে দেয়া হলো। সড়কে চলাচলের জন্য পুলিশ লাখ লাখ মুভমেন্ট পাস ইস্যু করল। খোলা থাকল কাঁচাবাজার। নির্মাণকাজও চলছে। প্রবাসীদের জন্য বিশেষ ফ্লাইটও চালু হলো। আমরা দুঃখের সঙ্গে লক্ষ করলাম, শুধু দোকানপাট ও বিপণিবিতানের সঙ্গে আন্তজেলা পরিবহন বন্ধ রাখা হলো।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) একটি গবেষণার তথ্য তুলে ধরে দোকান মালিক সমিতি জানায়, ১৫ জন বা তার কম কর্মী নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে, এমন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫৩ লাখ ৭২ হাজার ৭১৬। সেই হিসাবে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে গড়ে ৪ জন কর্মী রয়েছেন, এমনটি ধরলে দোকান কর্মচারীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২ কোটি ১৪ লাখ। মাসে ন্যূনতম ১৫ হাজার টাকা বেতন ধরলেও ঈদের আগে একজন কর্মচারীকে দুই মাসের (এপ্রিল ও মে) বেতন ও বোনাস বাবদ ৪৫ হাজার টাকা দিতে হবে। এতে মোট ৯৬ হাজার ৭০৮ কোটি টাকার প্রয়োজন। কিন্তু ৫ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বিধিনিষেধ ও চলমান লকডাউনে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দেয়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন।
আগামী বৃহস্পতিবার থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার পাশাপাশি শ্রমিক-কর্মচারীদের দুই মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের অর্ধেক, অর্থাৎ ৪৮ হাজার ৩৫৪ কোটি টাকা প্রণোদনা প্যাকেজ থেকে ঋণ হিসেবে দেয়ার দাবি জানান দোকান মালিক সমিতির সভাপতি। একই সঙ্গে অর্থনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার জন্য আগামী তিন মাসের মধ্যে দেশের অধিকাংশ মানুষকে টিকার আওতায় আনার জোর দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি কামরুল হাসান ও মহাসচিব হাফেজ হারুন, ঢাকা উত্তর দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, নিউমার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি দেওয়ান আমিনুর ইসলাম, পলওয়েল সুপার মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মনি তালুকদার এবং অভ্যন্তরীণ পোশাক প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি আলাউদ্দিন মালিক। এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনক থাকায় চলমান ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার। লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে আজ সোমবার সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।