Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মোবাইলে প্রেমের ফাঁদ অতঃপর অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবী, আটক ২

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৫:২২ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণের দাবীতে অপহৃত আনিছুর রহমান নামের এনজিও কর্মী উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬। আনিছুর রহমান মহেশপুর উপজেলার শিবানন্দপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে ও এনজিও সংস্থা আশার শৈলকূপা উপজেলার ফুলহরি শাখার ব্যবস্থাপক। এ সময় আটক করা হয় নারীসহ দুই অপহরণকারীকে। আটককৃতরা হলো শহরের নতুন কোর্টপাড়ার খায়রুল ইসলামের ভাড়া বাড়ি থেকে উদয়রপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে হুমায়ুন কবীর রিপন (৩০) ও তার স্ত্রী মারিয়া মেরি মোহনা (২২)। শনিবার ভোররাতে ঝিনাইদহ শহরের নতুন কোর্টপাড়ার একটি বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। শনিবার সকাল ১১ টার দিকে ঝিনাইদহ র‌্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানান, শুক্রবার সকালে শহরের চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ড থেকে অপহরণ করা হয় আশা এনজিও’র ম্যানেজার আনিছুর রহমানকে। পরে তাকে শহরের কোর্টপাড়ার বাসায় আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করা হয়। আনিছুরের স্বজনেরা বিষয়টি র‌্যাবকে জানালে অভিযানে চালায় তারা। রাত ১০ টার দিকে আনিছুরকে উদ্ধার করা হয় এবং শনিবার ভোররাতে শহরের কোর্টপাড়ার হুমায়ুন কবির রিপন ও তার স্ত্রী মারিয়া মেরি মোহনাকে আটক করা হয়। আটককৃতরা দীর্ঘদিন ধরে এ ধরনের কাজ করে আসছিল বলে জানিয়েছেন র‌্যাব কমান্ডার। এই চক্রের সাথে উদয়পুর গ্রামের রিয়াজের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক, নতুন কোর্টপাড়ার মজিবর রহমানের ছেলে সাগর, শামিম ও পোড়াহাটি গ্রামের খলিলুর রহমান জড়িত বলে আটক সাথী ও তার স্বামী রিপন র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। র‌্যাব কমান্ডার প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, এই চক্রের দুই সদস্যকে আটকের পর বিশেষ মহল থেকে তদ্বীরও করা হয়। এ নিয়ে ভোর রাত পর্যন্ত ঝিনাইদহ শহরের আবুল কালাম পেট্রোল পাম্পে জটলা লক্ষ্য করা যায়। এ সময় র‌্যাবের পিটুনিতে ৩ জন আহত হয়। তাদের ভোর পর্যন্ত পাম্পের মধ্যে আটকে রাখা হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এদিকে বিভিন্ন সূত্রে জানান, মোবাইলে মারিয়া মেরি মোহনার সাথে আনিছুরের পরিচয় হয়। শুক্রবার সেই সূত্র ধরে এনজিও কর্মী আনিছকে ঝিনাইদহ শহরে আসতে বলে। একটি লাল মোটরসাইকেলে চুয়াডাঙ্গা বাসষ্ট্যান্ডে আসা মাত্রই চক্রটি আনিছকে কব্জা করে ৩ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে। এর মধ্যে মুক্তিপণের ৬০ হাজার টাকা দেয় অপহরণকারীদের। বাকী টাকা জোগাড় করতে না পেরে আনিছের ভাই র‌্যাবের কাছে অভিযোগ করে। অভিযোগ পেয়ে র‌্যাব শনিবার ভোরে অপহরণকারী চক্রের দুই সদস্য আটক করে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানায় একটি মামলা হলেও এই চক্রের বাকী চার জনকে এখনো আটক করা যায় নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ