Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

টঙ্গীতে কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণে নিহত ২১, ভবনে ধস

প্রকাশের সময় : ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৬, ১২:০০ এএম

গাজীপুর জেলা সংবাদদাতা : গাজীপুরের টঙ্গী বিসিক শিল্প নগরীতে একটি সিগারেট সামগ্রী তৈরির কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণের কারণে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ২১ জন নিহত এবং আহত হয়েছেন অর্ধ শতাধিক। আগুনে ভবনের বেশির ভাগ অংশ ধসে গেছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ শনিবার ভোর ৬টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণের পর কারখানাটিতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১৯টি ইউনিট। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে বেশির ভাগ টঙ্গী ৫০ শয্যাবিশিষ্ট সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বাকি ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। নিহতদের মধ্যে টঙ্গী হাসপাতালে ১৭ জন ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ৪ জনের লাশ রয়েছে।
এদের মধ্যে ১৭ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ঢামেকে ওহেদুজ্জামান (৪০),দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ও আনোয়ার হোসেন (২৫)।
আর টঙ্গি ৫০ শয্যা হাসপাতালে সুলায়মান (৩০), ইদ্রিস (৪০), আবদুল হান্নান (৬৫), আল মামুন (৪০), শঙ্কর সরকার (২৫), জাহাঙ্গীর আলম (৫০), সুভাস চন্দ্র (৪০), রফিকুল ইসলাম (২৮), রেদোয়ান (৩৫), জয়নুল (৩৭), আনোয়ার (৪০), প্রকৌশলী আনিসুর রহমান (৪০), রাজেশ (২২) ও রাশেদের (২৮) লাশ রয়েছে। বাকি চার লাশের পরিচয় জানা যায়নি।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান জানান, অগ্নিকাণ্ডে পাঁচতলা ভবন পুরোটা ধসে গেছে। এখন পর্যন্ত ২১ জন নিহত হয়েছেন।
এদিকে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, এই হাসপাতালে এক নারীসহ চারজনের লাশ রয়েছে। তাছাড়া ভর্তি রয়েছেন আরও ১৯ জন, তারা সবাই পুরুষ।
ঢামেক বার্ন ইউনিটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শঙ্কর পাল জানান, আহতদের মধ্যে চারজন তাদের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন। এরমধ্যে একজনের শরীরের ছয় ভাগ, আরেকজনের আট ভাগ পুড়েছে। একজনের শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে গেছে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দেহের ছয় শতাংশ পুড়েছে শাহ আলমের (৪৬), দিলীপ দাসের (৩৬) পুড়েছে আট শতাংশ বার্ন। রিপন দাসের (৩০) দেহের ৯০ ভাগ পুড়েছে। এছাড়া রাসেল খান (২৬) নামে একজনও বার্ন ইউনিটে রয়েছেন।
ভর্তি অন্যরা নানাভাবে আঘাত পেয়ে আহত হয়েছেন। তারা হলেন- রাসেল (২২), আনোয়ার (৫০), কামরুল (২৭), মনোয়ার (৩৫), মিজু মিয়া (২৫), ইকবাল (৩৫), আশিক (১২), শিপন (৩৫), শাহীন আকমল (৩০), রোকন (৩৫), কামরুল (২৭), প্রাণকৃষ্ণ (৩৮), অজ্ঞাত পুরুষ (৫০)।
জয়দেবপুর ফায়ার স্টেশনের জ্যেষ্ঠ স্টেশন কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান জানান, বিসিক নগরীর ট্যাম্পাকো নামের একটি কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। জয়দেবপুর, টঙ্গী, কুর্মিটোলা, মরপুর, উত্তরাসহ আশপাশের ফায়ার স্টেশনের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন।
গুরুতর আহত কয়েল কারখানাটির শ্রমিক রুবেল জানান, তারা ভোরে কাজে যোগদানের পর পরই কারখানার ব্রয়লার বিস্ফোরিত হয়।
টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, রাতের শিফটে কাজ করার সময় ট্যামাকো নামের কারখানায় বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে সৃষ্ট আগুনে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ