Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পটুয়াখালীতে ডায়রিয়ায় ২৪ ঘন্টায় ২৭২,৭দিনে ১২১৩ জন হাসপাতালে ভর্তি

দুমকীতে মারাত্মক ডায়রিয়ায় ৮২ বছরের বৃদ্ধ ভর্তির ৪ ঘন্টা পরে হাসপাতালে মৃত্যু

পটুয়াখালী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ৭:১৪ পিএম

পটুয়াখালীর জেলায় ডায়রিয়া ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা হাসপাতাল গুলিতে ডায়রিয়া রোগীর ব্যাপক চাপ বেড়েছে, রোগীদের চাপ সামলাতে ডাক্তাররা হিমশিম খাচ্ছেন।
উপজেলা হাসপাতালের ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যার হাসপাতালগুলিতে বেডের তুলনায় প্রায় ডাবল ডায়রিয়ার রুগীও ভর্তি রয়েছে। জেলার মির্জাগঞ্জের ৫০ শয্যা হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ৭৩ জন ডায়রিয়া রুগী ভর্তি হয়েছে।দুমকী উপজেলার ৩১ শয্যা হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় ৩১ জন ডায়রিয়া রুগী ভর্তি হয়েছে। এ দিকে আজ শনিবার সকাল ৯-৩৫ মিনিটে দুমকী উপজেলার জলিশা গ্রামের আ: হক মুনশী(৮২)পিতা করিম মুনশী মারাত্মক ডায়রিয়া নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন, পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ।দুমকী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: মীর শাহিদুল হাসান জানান,মৃত আ: হক মুনশী ডায়রিয়া নিয়ে আসলেও তার গ্যাস্ট্রো এন্টিরাইটিজ এসপিরেসন নিমোনিয়া আক্রান্ত হন,তার শ্বাসকষ্ট,এজমাওছিল।
কলেরা স্যালাইন সরবরাহ সংকট ছিল বেশ কয়েকদিন পরে আজ উপজেলা পরিষদ থেকে ২৫০ স্যালাইন দেয়া হয়েছে আগামীকাল আরো একহাজার কলেরা স্যালাইন সরবরাহ করা হবে।
এ দিকে পটুয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের সূত্র মতে ,জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ২৭২ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সহ মোট ৮ টি উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৮৪ জন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ৭৩ জন,দুমকী উপজেলা হাসপাতালে ৩১ জন,গলাচিপা উপজেলপা হাসপাতালে ১৫ জন,দশমিনা হাসপাতালে ২৭ জন, কলাপাড়া হাসপাতালে ১৬ জন, বাউফল হাসপাতালে ২০ জন ,সদর উপজেলা হাসপাতালে ৬ জন।গত ১ সপ্তাহে জেলায় মোট ১২১৩ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৩৫৪ জন, মির্জাগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ১৯৭ জন,দশমিনায় ১৫৭ জন,বাউফলে ১৬৫ জন , দুমকীতে ৮১ জন ,গলাচিপায় ৬৭ জন,সদরে ১১৯ জন ,কলাপাড়ায় ৭৩ জন।
এ দিকে পটুয়াখালী জেলার সকল নদ-নদী খাল ও পুকুরের পানিতে অতিমাত্রার ললবনাক্ততা বৃদ্ধি পেয়েছে,যা আগে কখন ও দেখা যায়নি। এবারে অনাবৃষ্টি,খরার কারনে নদ-নদীর পানি হয়ে গিয়েছে দুষিত । এমনিতে গ্রাম গঞ্জে টিউবওয়েলের সংখ্যা অনেক কম। যে পরিমান টিউবওয়েল রয়েছে পানির স্তর নীচে নেমে যাওয়ায় তার অধিকাংশই এখন অকেজো হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে সাধারন মানুষ নদী,নালা,খাল,পুকুরের দুষিত পানি ব্যবহার করছে যার ফলে ডায়রিয়া সহ পানি বাহিত রোগের সংখ্যা দিনে দিনে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এ বিষয়ে পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জানান,তিনি ইতোমধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত উপজেলাগুলিতে ভিজিটি করেছেন,পানির অতিমাত্রার লবনাক্ততা সর্ম্পকে তিনি আই,সি,ডি,ডিআরবিকে জানিয়েছেন।জেলা ওষুধ প্রশাসনের সঠিক নজরদারীর অভাবে বাজারে ডায়রিয়া স্যালাইনের কৃত্তিম সংকটের চেষ্টা চালাচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ