বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720453631](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কৃষকের আগাম বোনা ইরি-বোরো ধান ঘরে তুলতে করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়েছে। অধিক মজুরিতেও ধানকাটা শ্রমিক না পেয়ে বিপাকে পড়েছে এলাকার কৃষক। করোনার কারণে উত্তরবঙ্গসহ বাইরের জেলার ধানকাটা শ্রমিক আসতে না পারায় অধিক টাকা মুজুরিতেও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।ফলে ধানকাটা নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছে কৃষক।
স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় চলতি মৌসুমে ২১ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো আবাদ করা হয়েছে। শুরু থেকে আবহাওয়া অনকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। ইতিমধ্যে আগাম বোনা নীচু জমির ধান পাকতে শুরু করেছে। বিগত বছরগুলোতে রংপুর, কুড়িগ্রাম, সিরাজগজ্ঞ, বগুড়াসহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে ধানকাটা শ্রমিক আসলেও করোনাভাইরাসের কারণে এবছর আসতে না পারায় মির্জাপুরে দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। চড়া দামে ধান কাটা শ্রমিক না পেয়ে অনেক কৃষক এলাকার দরি্দ্র যুবকদের মাধ্যমে চুক্তিভিত্তিক ধান কেটে ঘরে তুলছেন বলে খোজ নিয়ে জানা গেছে।এতে বাজার মুল্যের চেয়ে অধিক মূল্যে দিয়ে ধান কাটতে হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মশিউর রহমানের দাবি, আগাম বোনা ইরি-ধান কিছু কিছু কাটা শুরু হলেও এখনও পোরোমাত্রায় ধানকাটা শুরু হয়নি। পোরোমাত্রায় ধানকাটা শুরু হলে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিগত বছরের ন্যায় শ্রমিক নিয়ে আসা হবে।এছাড়া এ উপজেলায় ছোট বড় ২০টি হারবেস্টার মেশিন রয়েছে।এছাড়া হাওড় এলাকার ধানকাটা শেষ হলে সেখান থেকে আরও ৩০টি মেশিন মির্জাপুরে চলে আসবে।ফলে ধানকাটা শ্রমিকের সংকট থাকবে না। উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে ধানকাটা শ্রমিক নিয়ে আসতে প্রশাসনের মাধ্যমে দ্রুত প্রদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে উপজেলা কৃষি অফিসার মশিউর রহমান জানিয়েছেন।
উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের বাসিন্দা আবদুস সামাদ সিকদার বলেন, তার ৪২ শতাংশ জমির পাকা ধান কাটার শ্রমিক না পেয়ে এলাকার কয়েকজন যুবক দিয়ে চুক্তির মাধ্যমে ধান কেটেছেন।এতে তার অধিক খরচ হয়েছে বলে জানান।
মির্জাপুর পৌর এলাকার বাওয়ার কুমারজানী গ্রামের বাসিন্দা কৃষক আলাল উদ্দিন জানান, তার নীচু জমিতে আগাম বোনা ধানকাটা নিয়ে দুঃচিন্তায় রয়েছেন। যে কোন সময় বড় ধরনের ঝড়-বৃষ্টি হলে ধান তলিয়ে যাবে। করোনার কারণে শ্রমিক আসতে না পারায় ধানকাটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে তিনি জানান।একই কথা জানান, গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ও চাঁন মিয়াও। নীচু জমির পাকা ধান জমিতে থাকায় তারা দুশ্চিন্তায় দিন পার করছেন।
মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান জানান, লকডাউনের কারণে সাধারণের চলাচলে নিষেজ্ঞা থাকলেও ধানকাটা শ্রমিক আসতে বাঁধা নেই।যারা বাইরের জেলা থেকে ধানকাটা শ্রমিক নিয়ে আসতে চান তারা যেন উপজেলা কৃষি অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ করে।ধানকাটা শ্রমিক সংকট বলে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।