পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৭২ ঘণ্টায় ইন্তেকাল করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের আরো তিন আইনজীবী। বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিন খসরুর দাফন সম্পন্ন করার পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যেই এই তিন আইনজীবীর মৃত্যুর খবর এলো। মৃতরা হলেন, অ্যাডভোকেট মনজুর কাদের, অ্যাডভোকেট মালা রউথ এবং অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরী। সদ্য করোনামুক্ত ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সুপ্রিম কোর্ট বারের আরো তিন আইনজীবী ইন্তেকাল করেছেন। এদের মধ্যে অ্যাডভোকেট মনজুর কাদের দীর্ঘদিন যাবত অসুস্থ ছিলেন। সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ধরা পড়ে যে, তিনি ক্যানসার আক্রান্ত। চিকিৎসা শেষে তাকে হাসপাতাল থেকে বাসায় আনা হয়। গত সপ্তাহে তিনি আবারো অসুস্থ হয়ে পড়লে তার করোনা টেস্ট করা হয়। এতে রিপোর্ট পজেটিভ আসে। পরে করোনায় আক্রান্ত মনজুর কাদেরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে আইসিইউতে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। সাতক্ষীরায় পারিবারিক কবরস্থানে বাবা মায়ের পাশে মনজুর কাদেরকে দাফন করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী মালা রউথও মারা যান করোনা আক্রান্ত হয়ে। গত ১৯ মার্চ তিনি মারা গেলেও গতকাল শনিবার তার করোনা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু জানান, মালা রউথ করোনায় আক্রান্ত হয়েই মারা গেছেন। আক্রান্ত অবস্থায় তিনি ধামরাইয়ে তার বোনের বাড়িতে ছিলেন। অ্যাডভোকেট সাজু জানান, মালা রউথ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের এক সময়ের মেধাবী শিক্ষার্থী। শেরপুরের ঐতিহ্যবাহী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম নিলেও তার ঘর সংসার করা হয়ে উঠেনি।
সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরী জেনি (৫৭) করোনা আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর শিকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে দুপুর ১২ টার দিকে শিকদার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে লাইফ সাপোর্ট থাকা অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। তিনি এক সপ্তাহ আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গত তিন দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। অ্যাডভোকেট রেজিনা চৌধুরীর গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায়। তিনি ১৯৯২ সালের ১০ মে আইন পেশার সনদপ্রাপ্ত হয়ে একই বছরের ৯ জুন ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট রেজিনা চৌধুরী হাইকোর্টে আইন পেশা পরিচালনার অনুমতিপ্রাপ্ত হন। ১৯৯৬ সালের ১১ ডিসেম্বর সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য হন। তিনি দীর্ঘদিন সুপ্রিম কোর্ট বারের প্রথিতযশা আইনজীবী টি.এইচ.খানের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেন। রেজিনা চৌধুরীর মা ও বড় বোন দুইজনই করোনা আক্রান্ত এখন ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এদিকে সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট মতিন খসরুর করোনা আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল এবং তাকে দাফনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এলো করোনা আক্রান্ত হয়ে আরো তিন আইনজীবীর মৃত্যুর সংবাদ। এর মধ্যে দু’জন নারী আইনজীবী। তাদের মৃত্যুতে আবাররো শোকের ছায়া নেমে আসে সুপ্রিম কোর্ট বারে। শোক যেন আইনাঙ্গন থেকে কাটছেই না। তিন আইনজীবীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।