পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রভাবের মধ্যে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ নাকি চালু থাকবে-এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধান বিচারপতি। এ কথা জানিয়েছেন, আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে সমিতির সভাপতি ও সাবেক আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর জানাজা শেষে সাংবাদিকদের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
করোনায় একের পর এক আইনজীবীর মৃত্যুর প্রেক্ষিতে আদালতের কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করে দেয়া হবে নাকি খোলা থাকবে কিনা তা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, করোনার এই অবস্থায় আদালত বন্ধ বা চালু রাখার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির। কিন্তু আমার বিশ্বাস, করোনা ভাইরাসের তীব্রতা বা কমে যাওয়া বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রসঙ্গত : গত ৪ এপ্রিল একটি মামলার ভার্চুয়াল শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন ‘সাংবিধানিক আদালত বন্ধ থাকতে পারে না’ মর্মে মন্তব্য করেন। লকডাউনের সময় আপিল বিভাগের কার্যক্রম চলবে কি না, সিনিয়র আইনজীবীরা আদালতের কাছে জানতে চাইলে এই মন্তব্য করেন তিনি। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতিতেও ভারতের সাংবিধানিক কোর্ট কখনও বন্ধ থাকে না। পরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন করোনা পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের চারটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ সচল রাখেন। কিন্তু এ সিদ্ধান্তের পর বেঞ্চ সংখ্যা বাাড়ানোর দাবিতে মানববন্ধন ও মিছিল করে আসছেন আইনজীবীদের একটি অংশ। ঢাকা,চট্টগ্রাম ও সিলেট আইনজীবী সমিতি অধস্তন আদালত চালুর জন্য প্রধান বিচারপতিকে অনুরোধ জানান।
এদিকে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণে একের পর এক আক্রান্ত হতে থাকেন সুপ্রিম কোর্ট বারসহ সারাদেশের আইনজীবীগণ। করোনা আক্রান্ত হয়ে ইন্তেকাল করেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু। একই দিন ইন্তেকাল করেন অ্যাডভোকেট মোকাদ্দাস আলী। ৩ এপ্রিল ইন্তেকাল করেন ব্যারিস্টার তানভীর পারভেজ। করোনা আক্রান্ত চিকিৎসাধীন অ্যাডভোকেট আজাহারউল্লাহ ভুইযা’র অবস্থা এখন সঙ্কটাপন্ন। করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অ্যাডভোকেট সোহেল রানা ও অ্যাডভোকে সুমন বণিক। বিচারাঙ্গনে করোনার এই উল্লম্ফনের মধ্যে আদালত চলবে নাকি বন্ধ থাকবে-এ প্রশ্নে উপরোক্ত মন্তব্য করলেন প্রধান বিচারপতি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।