পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ থাকার সংবাদে আগ মুহুর্তে ব্যাংক থেকে টাকা তোলার হিড়িক পড়েছে। গাদাগাদি করে কার আগে কে টাকা তুলবেন তা নিয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন গ্রাহকরা। আর ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, আমানতের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রের মুনাফা উত্তোলনসহ বিভিন্ন ভাতা তোলার চাপ বেড়েছে। সীমিত সময়ে গ্রাহকের বাড়তি চাপে ভেঙে পড়ছে স্বাস্থ্যবিধি ব্যবস্থা। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন ব্যাংক কর্মীরাও। যদিও পরে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে লকডাউনে সীমিত পরিসরে ব্যাংক খোলা থাকবে। ব্যাংক কর্মকর্তাদের মতে, ঈদের সময়ে সাধারণত লেনদেন এ রকম বেশি হয়। কিন্তু লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ থাকার খবরে মানুষ নগদ টাকা হাতে রাখতে ব্যাংকে ভিড় করেছেন। যা ঈদের সময়ের থেকে বেশি বলে উল্লেখ করেন তারা।
গতকাল রাজধানীর ব্যাংকপাড়া মতিঝিল, দৈনিক বাংলা, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এসব ব্যাংকের সামনে গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি। চৈত্রের কাঠফাঁটা রোদে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ব্যাংকে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে গ্রাহকদের। তীব্র গরমে মেজাজ হারিয়ে নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে অনেকেই জড়িয়েছেন বাক-বিতন্ডায়।
আজ বুধবার থেকে কঠোর লকডাউনে যাবে পুরোদেশ। তার আগে মতিঝিলের ব্যাংকপাড়ায় গ্রাহকদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কার আগে কে সারবেন প্রয়োজনীয় লেনদেন সেই প্রতিযোগিতায় উধাও স্বাস্থ্যবিধি। লকডাউন ও রমজানের কেনাকাটায় যাতে আর্থিক সংকটে পড়তে না হয় সেজন্য কেউ এসেছেন সঞ্চয়পত্রের সুদের টাকা তুলতে। কেউবা তুলছেন জমানো পুঁজি।
ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে টাকা জমা দেয়ার চেয়ে উত্তোলনের চাপ বেশি। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঈদকেন্দ্রিক লেনদেনের সাথে তুলনা করছেন তারা। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের কর্মকর্তা রুহুল আমিন বলেন, লকডাউনে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে গ্রাহক ব্যাংকে এসে ভিড় করেছেন টাকা উত্তোলনের জন্য। আমরা তাদের চাহিদা মতো সেবা দেয়ার চেষ্টা করছি। তবে গ্রাহক উপস্থিতি বেশি হওয়ায় হিমশিম খেতে হয়েছে।
সোনালি ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক (স্থানীয় কার্যালয়) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ঈদের চেয়েও বেশি মানুষ এসেছেন টাকা তুলতে। কারণ গ্রাহকরা মনে করছেন হয়ত সামনে বড় ধরনের লকডাউন আসতে পারে। সেই হিসেবে তারা নগদ টাকা হাতে রাখার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছেন।
গতকাল লকডাউনের আগে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন চালু ছিল। আর লেনদেন পরবর্তী আনুষাঙ্গিক কাজের জন্য ব্যাংক খোলা ছিল বিকেল ৩টা পর্যন্ত।
লকডাউনে খোলা থাকছে ব্যাংক
লকডাউনে খোলা থাকছে ব্যাংক। আজ থেকে কঠোর লকডাউন শুরুর কথা। তবে লকডাউনের মধ্যেই ব্যাংকের সব ধরনের কার্যক্রম চালু থাকবে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ফলে সরকারি ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিন সীমিত পরিসরে ব্যাংকের লেনদেন চালু থাকবে।
নতুন সময় অনুযায়ী, ব্যাংক খোলা থাকবে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত। লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত। সিটি করপোরেশন এলাকায় ব্যাংকের প্রতিটি শাখা একদিন পরপর খোলা থাকবে। অর্থাৎ শাখাগুলো একদিন বন্ধ থাকলে পরের দিন খোলা থাকবে। এই নিয়মে চলবে উপজেলা পর্যায়ের শাখাও। জেলা পর্যায়ে সদর শাখা খোলা থাকবে। আর বৈদেশিক বাণিজ্য শাখাগুলো খোলা থাকবে নিয়মিত।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া আগামী ১৫ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই সময়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম চলবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।