পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
তাপদাহের বিস্তৃতি ঘটেছে। ভ্যাপসা গা-জ¦লা অসহনীয় গরম। দিনভর ঠা ঠা চৈত্র শেষের রোদের কড়া তেজ। বাতাসেও যেন আগুনের ঝাপটা। দিনে-রাতে স্বস্তি নেই কোথাও। সর্বত্র হাঁসফাঁস অবস্থায় কাহিল মানুষ। পাঁচ মাসের টানা খরা অনাবৃষ্টিতে ফল-ফসলি জমি, মাঠ-ঘাট পুড়ে ফেটে চৌচির। করোনাকালে প্রচন্ড গরমে মৌসুমী রোগে কষ্ট-দুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশিহারে থাকায় গরমের সঙ্গে অতিরিক্ত ঘাম ঝরছে। পানিশূণ্যতায় দুর্বল হয়ে পড়ছে মানুষ।
আবার অনেকেই শহর-বন্দর, হাট-বাজার-গঞ্জে রাস্তাঘাটে খোলামেলা স্থানে বিক্রি করা বরফের শরবত পান করে অসুস্থতার বিপদ ডেকে আনছে। সবখানেই এখন বিশুদ্ধ পানির অভাব তীব্র। এ অবস্থায় দূষিত পানিবাহিত বিভিন্ন রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। চাতক পাখির মতো সবার দৃষ্টি আকাশপানে- রহমতের বৃষ্টির ধারা চাই। চাই মেঘের সুশীতল ছায়া। কিন্তু বৃষ্টি তো নেই। এদিকে গতকাল রোববার বাপাউবো’র বিশেষ পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, প্রত্যাশিত ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা আছে আগামী ১৮ থেকে ২৪ এপ্রিলের দিকে।
গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দুয়েক জায়গায় মাত্র এক থেকে ৫ মিলিমিটার পর্যন্ত ধূলিভেজা বৃষ্টির ফোঁটা পড়েছে। তাতে গরমের অস্বস্তি আরও উসকে উঠেছে। দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৮.৫ এবং সর্বনিম্ন তেঁতুলিয়ায় ১৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় যথাক্রমে ৩৫.৮ এবং ২৬.১ ডিগ্রি সে.।
আজ সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, রাঙ্গামাটি, ফেনী, রাজশাহী, পাবনা, নওগাঁ, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড় অঞ্চলসহ খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
কুমিল্লা অঞ্চলসহ সিলেট, ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা থেকে ঝড়ো হাওয়াসহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এরপরের ৫ দিনে বৃষ্টি-বজ্রবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপের একটি বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে।
বাপাউবো’র পূর্বাভাস : বৃষ্টিপাত সম্পর্কিত গতকাল বিশেষ পূর্বাভাস প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বাপাউবো’র বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুজ্জামান ভূূঁইয়া জানান, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং বৈশি^ক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের গাণিতিক মডেলের তথ্য মতে, বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চলতি এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত হতে পারে।
উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জলবায়ু (১৯৮০-২০২০) পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ১৬০ থেকে ২৩০ মিলিমিটার। ১১ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চল ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সংলগ্ন ভারতের আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ সময়ে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদ-নদীসমূহের পানির সমতল সামগ্রিকভাবে হ্রাস পেতে পারে। আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। বৈশি^ক আবহাওয়া সংস্থাসমূহের গাণিতিক মডেলের তথ্য মতে, এর পরবর্তী সপ্তাহে (১৮ থেকে ২৪ এপ্রিল) ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।