Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চৈত্রের খরতাপে কাপ্তাইয়ে পাহাড়ে,পাহাড়ে আগুন : জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

ক্ষতি হচ্ছে মাটির টপ সয়েল

কাপ্তাই (রাঙ্গামাটি) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৩৮ পিএম

চৈত্রের খর তাপে পাহাড়ে,পাহাড়ে আগুনের লেলিহান।জীববৈচিত্র্য হুমকির মূখে। আগুনের শিখায় পুড়ছে বনের পশু,পাখি ও সবুজ গাছ গাছলা । নষ্ট হচ্ছে মাটির টপ সয়েল। চৈত্র-বৈশাখ মাস আসলেই প্রচন্ড খড়তাপে গাছের পাতা শুকিয়ে নিচে ঝড়ে পরে স্তুপ হয়ে যায়। এ যেন এক ঝঞ্জল মনে হয়। দেখতে তেমন একটা ভালো লাগে না। এক শ্রেণীর লোক ইচ্ছায়-অনিচ্ছাই বনের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং সিগারেটের অবশিষ্ট অংশ বনের মধ্যে ফেলে দিয়ে মজা পায়। অন্য এক শ্রেণীর মানুষ জুম চাষের জন্য প্রতি বছর বনের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দেয়। বিভিন্ন কারনে পার্বত্যঞ্চলের রিজার্ভ বনের মধ্যে আগুন ও ঝুম চাষের ফলে পার্বত্যঞ্চলের বিভিন্ন প্রজাতির পশু ,পাখি আগুনের লেলিহা শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে যাচ্ছে। এত করে অবাসস্থল ও প্রাণী জগৎ পার্বত্যঞ্চল হতে বিলুপ্ত হতে চলছে।
পাশা,পাশি,অনেক ছোট, বড় সবুজ গাছ পুড়ে পশু খাদ্য বাগান ধবংস হচ্ছে। পাহাড়ে,পাহাড়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ফলে নষ্ট হচ্ছে মাটির টপ সয়েল্ট। যার ফলে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করছে পরিবেশ বিধরা । চলতি মাসে রাঙ্গামাটি পার্বত্যজেলার দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন রিজার্ভ বনে একশ্রেণীর লোক কারনে,অকারনে বনের মধ্যে আগুন ধরিয়ে দিয়ে বনের জীববৈচিত্র্য সহ বনের অনেক ক্ষতিসাধন করেছে। এদিকে কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস কর্তব্যরত লোকজন বলেন,বন বিভাগ তথা বনের পাশে, সড়কের পাশে বসবাসরত লোকজনের সংবাদ পেয়ে মার্চ ও চলতি এপ্রিল মাসে বেশির ভাগ রাত, কিংবা দিনে একাধীকবার পাহাড়ের আগুনের লেলিহা আমরা পানি দিয়ে বন্ধ করেছি।পাহাড়ে আগুন নিভানোর সময় দেখিছি অনেক বনের পশু পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এদিকে কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্ক সিএমসি কমিটির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল বলেন,এক শ্রেণীর অসাধু লোকজন অজথা পহাড়ে আগুন ও ঝুম চাষ করার ফলে পাহাড়ে আগুন দিয়ে বন ধবংস করছে।পাশা,পাশি পশু,পাখি বিলুপ্ত হতে চলছে। হুমকির মুখে পড়েছে পার্বত্যঞ্চলের বন্যপ্রানী। এখনো প্রতিদিন হাতি বনের খাদ্য না পেয়ে লোকালয়ে এসে মানুষের বাসা-বাড়িতে হামলা করছে খাদ্য সংকটের ফলে। তিনি এ ধরনের কর্মকান্ড যারা করছে তাদের প্রতি প্রচন্ড ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং পাহাড়ে আগুন ও ঝুম চাষ বন্ধ করার আহবান জানান। এদিকে পার্বত্য চট্রগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোঃ রফিকুজ্জামান শাহ্(ডিএফও) বলেন, বন বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন বনভূমি বা পাহাড়ে কেউ আগুন দিচ্ছেনা ।

কেউ আগুন দেওয়ার অপচেষ্টা করলে তাৎক্ষনিকভাবে তা প্রতিহত করা হয়। মূলত জুম চাষীগন কর্তৃক পাহাড়ে চাষ করার জন্য আগুন দিচ্ছে। আগুন দেওয়ার ফলে পাহাড়ের উপরিভাগের মাটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।মাটিতে সমস্ত উপকারী অণুজীব আছে সেগুলো ধবাংসপ্রাপ্ত হয়।বন্যপ্রাণীর আবাসস্থল ধবংস হয়। প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো গাছপালাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ভ’মির উর্বরতা ক্ষয়সাধিত হয় । যার ফলে ভ’মিধবসের সৃষ্ঠি হয়। এবং বন্যপ্রাণী খাবার সংকট দেখা দেয় ,যার ফলে বন্যপ্রাণী লোকালয়ে আসে। এবং পরিবেশের মারতœাক ক্ষতিসাধিত হয়। পাহাড়ে আগুন দেওয়ার ফলে ক্ষতিকর প্রভাব গুলো সম্বন্ধনে স্থানীয় জনগনকে সচেতন করার পাশা,পাশি পাহাড়ে আগুন দেওয়া থেকে বিরত থাকার প্রচারণমূলক কার্যক্রম করে চলছে। এবং স্থানীয় জনগনকে সম্পৃক্ত করে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন চেস্টা করছি যার ফলে খালি পাহাড়গুলোতে বনায়ন করা সম্ভব হবে অন্য দিকে জনগনের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়ে আর্থ-সামাজিক উন্œতি সাধিত হবে বলে মত প্রকাশ করে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ