পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর লাগাম টেনে ধরাই যাচ্ছে না। লকডাউন, টিকা প্রদানের পরও প্রতিদিন মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরো ৭৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে দেশে নতুন করে আক্রান্ত হিসেবে আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৪৩ জন। সবমিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ জনে। মোট মৃত্যু হয়েছে ৯ হাজার ৬৬১ জন। একদিনে ৭৭ জনের এই মৃত্যু করোনার মৃতের অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে। গতকাল শনিবার (১০ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৮৩৭ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যুর রেকর্ড হলেও আক্রান্তের সংখ্যা অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম। কারণ শুক্রবার সরকারি ছুটি থাকায় কম সংখ্যম মানুষ করোনা পরীক্ষা করেন। ২৪ ঘণ্টায় দেশের সরকারি বেসরকারি ২৪৩টি ল্যাবরেটরিতে ২৫ হাজার ১৮৫টি নমুনা সংগ্রহ ও ২৬ হাজার ৭৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ সময়ে নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এর আগের দিন গত বৃহস্পতিবারও পরীক্ষা করা হয়েছিল ৩১ হাজার ৬৫৪ জন। এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা ৪৯ লাখ ৭৩ হাজার ৪৮৯ জন। প্রথম রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এর আগে গত শুক্রবার দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে আক্রান্ত হয়েছে ৭ হাজার ৪৬২ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে ৬৩ জনের মৃত্যু হয়। তারও আগের দিন শুক্রবার (৯ এপ্রিল) দেশে ৭ হাজার ৪৬২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ ছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে মারা যান আরো ৬৩ জন।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তা সোয়া ৫ লাখ পেরিয়ে যায় চলতি বছরের (২০২১ সাল) ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে গতবছরের ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়, যা ছিল এক দিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। আর চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেকে দৈনিক শনাক্ত রোগীর সংখ্যা হাজারের নিচে ছিল। তবে বর্তমানে আক্রান্ত ও মৃত্যের সংখ্যা হুহু করে বাড়ছে।
বাংলাদেশে প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গতবছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সেবছরের ২৯ ডিসেম্বর তা সাড়ে ৭ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে গত বছরের ৩০ জুন এক দিনেই সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, গতকাল শনিবার পর্যন্ত বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৫২ লাখ ৯৫ হাজার ৬২২ জন। মৃত্যু হয়েছেন ২৯ লাখ ২৮ হাজার ৫৫৯ জনের। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ কোটি ৮৮ লাখ ৫৯ হাজার ৯১৭ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ১৮ লাখ ২ হাজার ৭৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৮৪০ জন।
আক্রান্তে ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৩৩ লাখ ৭৫ হাজার ৪১৪ জন এবং মারা গেছেন ৩ লাখ ৪৮ হাজার ৯৩৪ জন। আক্রান্তে তৃতীয় এবং মৃত্যুতে চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৩২ লাখ ২ হাজার ৭৮৩ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৬৮ হাজার ৪৬৭ জন। আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে ফ্রান্স রয়েছে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ লাখ ৮০ হাজার ৫০১ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৯৮ হাজার ৩৯৫ জন। আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ লাখ ২৩ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ দুই হাজার ২৪৭ জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, তুরস্ক সপ্তম, ইতালি অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে আছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।