পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহামারি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ার কারণে বুধবার থেকে ফের কঠোর লকডাউনের ঘোষণা আসছে। তাই আটকা পড়ার আশঙ্কায় ঢাকা ছাড়ছে রাজধানীতে বসবাসকারী বিভিন্ন জেলার মানুষ। কিন্তু দূরপাল্লার পরিবহণ বন্ধ থাকায় তারা মিনি বাস ও মাইক্রোবাসে করে ঢাকা ত্যাগ করছেন।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। প্রথম দফায় সাতদিনের জন্য এই লকডাউন দেয়া হবে। এ সময়ে জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে গণপরিবহন, শিল্পকারখানাও। তাই ঢাকায় বসবাসকারী বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ গ্রামের চলে যেতে দেখা গেছে।
গত শুক্রবার রাতে কাওরান বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সবজির গাড়িতে করে নিম্ন আয়ের লোকজন ঢাকা ত্যাগ করছেন। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নয়, রাজধানীর বেশির বাসিন্দা গ্রামে চলে যাচ্ছেন।
ফার্মগেটের বাসিন্দা মনির মিয়া জানান, বেসরকারী একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। তাই পরিবারে নিয়ে ফার্মগেট এলাকায় বসবাস করেন। কিন্তু কঠোর লকডাউকের কথা শুনার পর গতকাল তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি মাইক্রোবাসে করে গ্রামে চলে গেছেন। এছাড়া সায়দাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকেও মাইক্রোবাসে করে মানুষ ঢাকা ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
পশ্চিত তেজতুরী বাজার এলাকার বাসিন্দা তুহিম আহমেদ। তিনি একটি ভবনের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বলেন, কঠোর লকডাউনের কথা শুনে ইতোমধ্যে তাদের ভবন থেকে অর্ধেক লোকজন গ্রামে চলে গেছেন। তারা কিভাবে গেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, কেউ কেউ প্রাইভেট গাড়ি নিয়ে গেছেন। আবার কেউ কেউ বিকল্প গাড়িতে করে বাড়ি গেছেন।
এদিকে, সরকারের নির্দেশে ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর পরও গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। মহানগরে গণপরিবহন চলাচল করার কথা থাকলেও কিছু চালক বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অধিক ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছেন। আবার কিছু বাস ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে। তবে তল্লাশিতে ধরা পড়লেও টাকা নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের এক সার্জেন্টের বিরুদ্ধে।
গতকাল দুপুরে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুরে গাড়িতে তল্লাশি চালায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আবদুল্লাহপুর এলাকায় তল্লাশির সময় গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করায় ৪টি মাইক্রোবাস ও ২টি বাস আটক করা হয়। কিছু সময় গাড়ি গুলোকে আটকে রেখে ছেড়ে দেন কর্মরত ট্রাফিক সার্জেন্ট রকি।
মাইক্রোবাস চালক সুজন বলেন, আমার গাড়ির সকল কাগজ ঠিক আছে কিন্তু গাদাগাদি করে যাত্রী তোলায় জন্য গাড়ি আটক করা হয়। পরে এক হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে, কোনো মামলা দেয়নি। বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাজীপুর চৌরাস্তা থেকে আব্দুল্লাহপুর ১৫০ টাকা ভাড়া দিয়েছেন। করোনায় গণপরিবহন তুলনামূলক কম থাকায় যাত্রীরাও বিপাকে পড়েছেন। কর্মরত সার্জেন্ট মো. রকি টাকা নেওয়ার অভিযোগটি অস্বীকার করে বলেন, বাস ও মাইক্রোবাসে গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করছে চালকরা। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তরা-পূর্ব জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) কাজী হানিফুল ইসলাম জানান, ট্রাফিকের কোনো কর্মকর্তার অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবে না। গণপরিবহনে গাদাগাদি করে যাত্রী নেয়ার বিষয়েও অভিযান অব্যাহত থাকবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।