পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে মুক্তিপণ নেয়ার অভিযোগে র্যাবের চার সদস্যকে আটক করেছে ডিএমপির হাতিরঝিল থানা পুলিশ। পরে তাদের র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে তিনজন সেনাবাহিনীর ও একজন বিমান বাহিনীর সদস্য রয়েছেন। অপহরণ মামলায় আটককৃতরা হলেন-ল্যান্স করপোরাল দুলাল মৃধা, সৈনিক রোকন মিয়া, ল্যান্স করপোরাল মো. রনি ও সৈনিক সাগরকে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে আদালতকে জানিয়েছে হাতিরঝিল থানা-পুলিশ।
ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, অপহরণ করে মুক্তিপণ নেয়ার অভিযোগে হাতিরঝিল থানায় চার র্যাব সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এই অপহরণ চক্রে মোট ছয়জন সদস্য ছিল। তাদের তিনজন সেনাবাহিনীর, একজন বিমান বাহিনীর, একজন বিজিবির ও আরেকজন সাধারণ নাগরিক। তারা এক ব্যক্তিকে অপহরণ করে তার কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবি করেন। এরপর অভিযান চালিয়ে তাদের চারজনকে গ্রেফতার করা হয়। বিজিবি সদস্য ও সাধারণ নাগরিক এখনও পলাতক।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে তাদের র্যাবের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। তাদের নিজস্ব আইন অনুযায়ী তাদের বিচার হবে।
র্যাবের মিডিয়া উইংয়ের প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, আটককৃত চারজনকে পুলিশের পক্ষ থেকে র্যাবের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে কাউকে অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত পাওয়া গেলে কোন ছাড় দেয়া হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) একটি নম্বর থেকে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে বলা হয় তার (বাদী) বড় ভাই র্যাবের হেফাজতে রয়েছেন। ক্রসফায়ারেও দেওয়া হতে পারে। ভাইকে বাঁচাতে হলে দুই কোটি টাকা রেডি কর। থানায় কিংবা ডিবি পুলিশকে জানানো যাবে না। যদি থানা কিংবা ডিবি পুলিশকে জানান তাহলে আপনার ভাইকে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। এ কথা বলে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী সেই ব্যক্তি ফোনের লাইন কেটে দেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পরবর্তীতে অনেকবার তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী সেই ব্যক্তি ফোন কেটে দেন। দুপুর দেড়টার দিকে র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয় দানকারী সেই ব্যক্তি মোবাইল ফোনে আবারও জানান, বড় ভাইকে র্যাব অফিসের সিনিয়র অফিসাররা জিজ্ঞাসাবাদ করছেন, তার নামে অস্ত্র ও মাদক মামলা হবে। র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী সেই ব্যক্তি মোবাইল ফোনে আমার ভাইকে তাদের সহযোগীদের দিয়ে মারধরের শব্দ শোনান। এরপর ভাইকে তারা মোবাইল ফোন দিলে তিনি কাঁদতে কাঁদতে জানান তাকে চোখ বেঁধে গাড়িতে তুলে বেদম মারধর করছে। পরবর্তীতে ওই নম্বর থেকে আরও অজ্ঞাত দুই-তিন জন ফোন করে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা পরিচয়দানকারী সেই ব্যক্তি নগদ ১২ লাখ টাকা নিয়ে যমুনা ফিউচার পার্কের দিকে আসতে বলেন। থানা কিংবা ডিবি পুলিশকে জানালে মেরে ফেলার হুমকিও দেয়া হয়। বেলা সাড়ে তিনটার দিকে আমার ভাইয়ের ব্যবহৃত নম্বর হতে ফোন করে আমার সঙ্গে ভাইয়ের কথা বলিয়ে দেয়। তখন আমি তার অবস্থান জানতে চাইলে তিনি পুনরায় হাত পা চোখ বাঁধা থাকার কথা জানান। ফলে তিনি কোথায় আছেন বলতে পারবেন না। মামলায় উল্লেখ করা রাইয়ানার মুঠোফোন নম্বর ধরে যোগাযোগ করলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।