পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ৭ দিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা (লকডাউন) চলছে দেশে। ঢিলেঢালা লকডাউন কার্যকরের তৃতীয় দিনে গতকাল সরকারি নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে বেচাকেনা চালাচ্ছেন রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। বাইরে মার্কেট খেলার রাখার দাবিতে আন্দোলন করছে; ভিতরে ভিতরে রাজধানীর গাউছিয়া ও নিউমার্কেট এলাকার বেশ কিছু পাইকারি মার্কেটে চলছে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম। বাইরের শাটার বন্ধ রেখেই পাইকারি ব্যবসায়ীরা কেনাবেচা করছেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৫ এপ্রিল থেকে সব ধরনের শপিংমল ও বিপণিবিতান বন্ধ রাখতে বলেছে সরকার। তবে শুরু থেকেই এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে গিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন গাউছিয়া ও নিউমার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। রাজধানী ঢাকার বাইরেও বিভাগীয় শহর রাজশাহী, সিলেটসহ কয়েকটি শহরে মার্কেট খোলার রাখার দাবিতে ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া ব্যবসায়ীরা দিনের নির্দিষ্ট একটা সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে মার্কেট খোলা রাখার দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু তাদের দাবির বিষয়ে কর্ণপাত করেনি কর্তৃপক্ষ। তবু সরকারি নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যবসায়ীক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।
গত মঙ্গলবার ও গতকাল বুধবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর চাঁদনি চক মার্কেটের পাশে ইসমাইল ম্যানশন কমপ্লেক্স, নূর ম্যানশন ও চিশতিয়া পাইকারি মার্কেটের ফটকের সামনে ভিড় করছেনক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। কামরাঙ্গীর চরের ব্যবসায়ী মো: রুবেল জানান, সামনে রমজান। তাই পাইকারি দরে কাপড় কিনতে এসেছি। ইসমাইল ম্যানশন থেকে প্রায় লক্ষ টাকার মাল কিনেছি। সরকারি নিষেধাজ্ঞায় মার্কেট বন্ধ থাকার সিদ্ধান্তের বিষয়ে তিনি বলেন, লকডাউন তো এখন পুরোপুরি মানা হয় না। আমরা ব্যবসায়ী, ব্যবসা না থাকলে না খেয়ে থাকতে হবে। তাই যোগাযোগ করেই মালামাল কিনতে এসেছি।
গাজীপুর থেকে আসা ব্যবসায়ী আক্তার হোসেন বলেন, আমরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। দোকানে মালামাল নেই। তাই কিছু পাইকারি দরে কাপড় কিনতে এসেছি। আমাগোর মহল্লায়তো আর লকডাউন নেই।
হাজারীবাগ থেকে আসা ব্যবসায়ী শওকত বলেন, বাইরে শাটার বন্ধ থাকলেও ভেতরে বেচাকেনা চলছে। তাই গাউছিয়া আসলাম কিছু মালপত্র কিনতে। রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা। তাই মালামাল নিয়ে যেতে সুবিধা হবে।
সরেজমিনে চাঁদনি চক ও গাউছিয়া মার্কেটে ছোট পিকআপ ভর্তি মালামাল আনতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। কথা হয় চিশতিয়া ম্যানশনে মালামাল ডেলিভারি দিতে আসা কয়েকজনের সঙ্গে। তারা জানান, পুরান ঢাকার ইসলামপুর থেকে চিশতিয়া মার্কেটে কাপড় ডেলিভারি দিতে এসেছি। পথে কোনো সমস্যা হয়নি।
মার্কেট খোলার বিধিনিষেধের বিষয়ে চাঁদনি চক বিজনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, গত বছরের সাধারণ ছুটি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ধাক্কা জানুয়ারি মাস থেকে একটু একটু করে সামলে উঠতে শুরু করেছি। আমাদের কাপড়টা পাইকারি বিক্রেতাদের কাছ থেকে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে যাবে। তারপর কাস্টমাররা কিনবেন, তারপর টেইলরের কাছে বানাতে দেবেন। ঈদকে সামনে রেখে এখন আমাদের আমাদের ব্যবসার পিকআওয়ার চলছে।
করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি রোধে গত সোমবার থেকে সারাদেশ ৭ দিনের কঠোর নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করে সরকার। স্বাস্থ্যবিধির কড়াকড়ি আরোপের প্রজ্ঞাপনে ১১টি বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে বলা হয়েছে, শপিংমল বন্ধ থাকবে। তবে অনলাইনে পণ্য কেনাবেচা করা যাবে। মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত ই-কমার্সের পণ্য ডেলিভারি চলমান রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর আগে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ১৮ দফা নির্দেশনা দেয়।
এদিকে গতকালও রাজধানীতে মার্কেট খোলা রাখা ও বন্ধ করা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।