পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে ৭ দিনের লকডাউন দেওয়া হলেও অনেকেই তা মানছেন না। লকডাউনের নিষেধাজ্ঞা ভেঙেই ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন শহরে দোকানপাট খোলা রাখা হয়েছে। রাস্তায় চলা ফেরা করছে মানুষ। কেউ কেউ স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে মাস্ক ছাড়াই ঘোরাফেরা করছে। অনেকের অভিযোগ প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে লকডাউন কোনো কাজে আসছে না।
নজরদারির অভাবে লকডাউনের তোয়াক্কা না করে চলছে মানুষ। লকডাউনের বিধিনিষেধ ঘোষণার পরেও টঙ্গী, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন শহরে দোকানিরা দোকানপাট খোলা রেখেছে। রাস্তার আশপাশের হাট-বাজারগুলোও বসছে আগের মতো এবং তা চলছে গভীর রাত পর্যন্ত। এ সব হাট-বাজারে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। ক্রেতা-বিক্রেতা কারো মুখে মাস্ক নেই। রাস্তার পাশের চায়ের দোকানে আগের মতোই ভিড় এবং আড্ডা চলছে।
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, অধিকাংশ অফিসই খোলা, সেকারণে রাস্তায় অনেক বেশি মানুষ যাতায়াত করছে। পুলিশ কিছু চেকপোস্ট বসিয়ে মানুষকে থামানোর চেষ্টা করছে। তবে তাতে কাজ হচ্ছে না। অনেক দোকানি তাদের দোকান খোলা রেখেছেন। নারায়ণগঞ্জের বিবি রোডের এক দোকানি জানান, বাধ্য হয়েই তারা দোকান খুলেছেন। অফিস-আদালত এমনকি বইমেলা যদি খোলা থাকতে পারে, তাহলে তাদের দোকান খুলতে বাধা কেন। তারাও স্বাস্থবিধি মেনে ব্যবসা করতে চান।
টঙ্গী এবং গাজীপুরেও ঢিলেঢালাভাবেই পালন হচ্ছেÑ সরকার-ঘোষিত সাত দিনের লকডাউন। দোকানপাট বন্ধ থাকলেও দোকানের সামনে বা আশপাশেই চুপচাপ বসে রয়েছেন দোকানের মালিক বা কর্মচারী। পরিস্থিতি বুঝে বন্ধ সাঁটার খুলে বেচাকেনাও করছেন তারা। কলকারখানা খোলা থাকায় শিল্পাঞ্চল টঙ্গী ও গাজীপুরে লকডাউনের প্রভাব নেই বললেই চলে। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই গাদাগাদি করে বাসে উঠে অফিসে যাচ্ছেন কারখানার শ্রমিকরা। পোশাকশ্রমিকদের অনেকে পায়ে হেঁটে, অনেকে রিকশাভ্যান কিংবা অটোরিকশায় গাদাগাদি করে বসে যাচ্ছেন কর্মস্থলে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোথাও বালাই নেই। শ্রমিকরা বলছেন, কলকারখানা খোলা রাখায় বাধ্য হয়েই তাদের অফিসে যেতে হচ্ছে। যানবাহন কম থাকায় গাদাগাদি করে অফিসে যেতে হচ্ছে।
মাইকিং করা ছাড়া সরকার ঘোষিত নির্দেশনা কার্যকরে প্রশাসনের তেমন কোনো ব্যবস্থা চোখে পড়েনি। এসব শহরের পৌরবাজারসহ রাস্তার আশপাশের সবগুলো কাঁচাবাজারে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। সেখানে সামাজিক দ‚রত্বের কোনো বালাই নেই। বাজারের দোকানদার কিংবা বাজারে আসা অধিকাংশ মানুষের মুখে মাস্ক নেই।
সাভার এলাকায়ও মানছে না কেউ লকডাউন। মানছে না কোন আইন, গনহারে চলছে পরিবহন। গতকালও স্বাভাবিক দিনের মতোই মানুষের ভিড় দেখা গেছে সাভারের রাস্তাঘাটে। কলকারখানা খোলা থাকায় শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ায় লকডাউনের প্রভাব তেমনটা নেই বললেই চলে। লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই গাদাগাদি করে বাসে উঠেছেন শিল্প কারখানার শ্রমিকরা। সড়কে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন ও গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় বিপাকে পড়েছেন কর্মস্থলমুখী অসংখ্য যাত্রী। পোশাকশ্রমিকদের অনেকে পায়ে হেঁটে, অনেকে রিকশাভ্যান কিংবা অটোরিকশায় গাদাগাদি করে বসে যাচ্ছেন কর্মস্থলে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কোথাও বালাই নেই। শ্রমিকরা বলছেন, কলকারখানা খোলা রাখায় বাধ্য হয়েই তাদের অফিসে যেতে হচ্ছে। যানবাহন কম থাকায় গাদাগাদি করে অফিসে যেতে হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন তারা।
বাইপাইল বাসস্ট্যান্ডে পোশাক শ্রমিক দুলাল বলেন, যানবাহন না পেয়ে আমরা গাদাগাদি করে অফিসে যাই। বাড়তি ভাড়া দিতে হয়। লকডাউনে আমাদের ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।