পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে আশঙ্কাজনকভাবে করোনা সংক্রমণ বেড়েছে। টিকার প্রথম ডোজ নিয়েও অনেকে আক্রান্ত হচ্ছেন। এর কারণ হলো টিকা নেয়ার পর তারা বেপরোয়া চলাচল করতে শুরু করেছিলেন। তারা ভেবেছিলেন, টিকা নিয়ে করোনা প্রতিরোধী হয়ে গেছেন। একই সঙ্গে সংক্রমণ যেভাবে বাড়ছে, এভাবে চলতে থাকলে পুরো ঢাকা শহরকে হাসপাতাল বানানো হলেও মানুষের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে না।
জাহিদ মালেক বলেন, যারা কক্সবাজার-বান্দরবান গেছেন এবং বিয়ে-শাদীসহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন তারা বেশি সংক্রমিত হয়েছেন। এখন তারা নিজের পরিবারের সদস্যদের সংক্রমিত করছেন। সর্বোপরি সমাজকে করোনা সংক্রমিত করেছেন।
গতকাল মহাখালীতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মার্কেটে নির্মিত কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল পরিদর্শনে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দুই ডোজের। প্রথম ডোজ নিলেই অ্যান্টিবডি হয় না। টিকা নিয়ে যারাই আক্রান্ত হচ্ছেন, তাদের বেপরোয়া চলাচলই দায়ী।
জাহিদ মালেক বলেন, এক বছর ধরে মহাখালী কাঁচাবাজারের ওই স্থাপনা ডিএনসিসি আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করত। পাশাপাশি এই সেন্টারে বিদেশগামী মানুষের করোনা পরীক্ষা করা হতো। এখন এই স্থাপনাটিতে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় হাসপাতাল স্থাপন করা হবে। এখানে ২০০টির বেশি আইসিইউ শয্যা স্থাপন করা হচ্ছে। একসঙ্গে এক হাজার ২০০’র বেশি মানুষ করোনা চিকিৎসা নিতে পারবেন। এতদিন এক লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ বর্গফুট আয়তনের ফাঁকা এ মার্কেটটি করোনার আইসোলেশন সেন্টার এবং বিদেশগামীদের করোনা পরীক্ষার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এখন করোনা হাসপাতাল চালু হলে বিদেশগামীদের জন্য এক পাশে পৃথকভাবে জায়গা রাখা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রতিরোধে ঢাকার সব হাসপাতালে শয্যা বাড়ানোর ব্যবস্থা করছি। আড়াই হাজার শয্যাকে পাঁচ হাজার করা হয়েছে, এরচেয়ে বেশি বাড়ানো সম্ভব না। প্রতিদিন যদি ৪-৫ হাজার রোগী বাড়ে তাহলে সারা শহরকে হাসপাতাল বানালেও সামাল দেয়া সম্ভব না।
জাহিদ মালেক বলেন, গত কয়েক মাস আগেও করোনা সংক্রমণের হার ৬০০ এর মধ্যে নেমে এসেছিল। মৃত্যুর হারও অনেক কমে গিয়েছিল। এখন মৃত্যু এবং সংক্রমণের হার ১০ থেকে ১২ গুণ বেড়েছে। এই সংক্রমণ থেকে বাঁচতে সরকার ঘোষিত লকডাউন সবাইকে মেনে চলতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের জন্যই লকডাউন। আমি আশা করি, জনগণ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলবেন। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে, জনগণ সচেতন হচ্ছে। তবে সতর্ক না হলে মনে রাখতে হবে, পাঁচ হাজার শয্যার পর হাসপাতালগুলোতে এক ইঞ্চি জায়গা নেই আর শয্যা স্থাপনের।##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।